সমাবেশ
আমিনবাজারের সমাবেশ স্থগিত করেছে বিএনপি
সমাবেশের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি না পাওয়ায় ঢাকার আমিনবাজারে অনুষ্ঠিতব্য আজকের সমাবেশ স্থগিত করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে বলেন, প্রশাসন আমাদের অনুমতি না দেওয়ায় আমরা আমিন বাজারে আজকের সমাবেশ স্থগিত করেছি।
সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিএনপির চলমান এক দফা আন্দোলনের অংশ ছিল এই সমাবেশ।
ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরীর বরাত দিয়ে শায়রুল অভিযোগ করেন, রবিবার মধ্যরাতে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা অনুষ্ঠানস্থলে নির্মিত মঞ্চ ভাঙচুর করেছে।
বিএনপির সিনিয়র নেতা ও সমাবেশের প্রধান অতিথি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বিষয়টি নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ‘মেগা দুর্নীতির’ মাধ্যমে কিছু মানুষ ধনী হয়েছেন: বিএনপি নেতা নজরুল
আজ বিকাল ৩টায় নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৈঠকের পর সমাবেশের নতুন তারিখ ঘোষণা করা হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে বিকাল ৩টায় পুরান ঢাকার ধোলাইখাল এলাকায় সমাবেশ করবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর সরকারের পদত্যাগের দাবিতে চলমান এক দফা আন্দোলনের অংশ হিসেবে রোডমার্চসহ ৩ অক্টোবর পর্যন্ত ১৫ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার কর্মসূচি দুই দিন বাড়িয়ে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খালেদাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা নিন: ফখরুল
ছাত্রলীগের সমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাবি ক্যাম্পাসের জনজীবন বিপর্যস্ত
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। সারা ক্যাম্পাস যেন 'বাসস্ট্যান্ডে' পরিণত হয়েছে।
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সারাদেশ থেকে সমাবেশে যোগ দিতে আসা নেতা-কর্মীরা বাস ও মাইক্রোবাস ভাড়া করে নিয়ে এসেছে। তারা তাদের গাড়িগুলো ঢাবি ক্যাম্পাসে পার্কিং করে রেখেছে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংলগ্ন এলাকায় ছাত্রলীগের সমাবেশ শুরু হওয়ায় সকাল থেকেই নেতা-কর্মীদের বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আসতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অগ্রগতির জন্য প্রহরীর মতো জেগে থাকুন: ছাত্রলীগের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
ঢাবি কর্তৃপক্ষের কোনো প্রকার অনুমতি না নিয়ে কবি জসিমুদ্দিন হলের খেলার মাঠ, মহসীন হলের খেলার মাঠ এবং সড়কের সর্বত্র যানবাহন পার্কিং করা হয়। এছাড়া, ক্যাম্পাসজুড়ে অবাধে জনসমাগমের কারণে অবস্থা আরও খারাপ হয়ে পড়ে।
অন্যদিকে, বাইরে থেকে আসা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হলের ক্যান্টিনে ভিড় জমায়।
এমনকি ঢাবি ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা শিক্ষার্থীদের 'গণরুম' থেকে বের করে দিয়ে বহিরাগতদের হলে থাকতে দেন।
বহিরাগতদের এই বাড়তি চাপের কারণে প্রায় প্রতিটি পুরুষ হলেই রান্না করা খাবারের ঘাটতি দেখা দেয় এবং একটু দেরিতে খাবার খেতে যাওয়া ছাত্ররা ক্যান্টিন থেকে দুপুরের খাবার খেতে পারেনি।
অন্যদিকে, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের ক্যান্টিনগুলোতে বহিরাগত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের খাবার রান্নার প্রি-অর্ডার নেওয়া হলেও শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো খাবার রান্না করা হয়নি।
কিছু নেতা-কর্মী খাবার ও থালা-বাসন নিয়ে সমাবেশে এসে ক্যাম্পাসে রান্না করে ক্যাম্পাসের পরিবেশ অস্বস্তিকর করে তোলে।
আরও পড়ুন: খালেদার চিকিৎসার বিষয়ে আইনের বাইরে আওয়ামী লীগের কিছু করার নেই: কাদের
বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীতে বিশাল সমাবেশ
৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার রাজধানীতে বিশাল বর্ণাঢ্য সমাবেশ করেছে বিএনপি।
কর্মসূচিতে অংশ নিতে দুপুর থেকেই বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতা-কর্মী রঙিন পোশাক ও ক্যাপ পরে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ভিড় জমায়।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের পর দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান সমাবেশের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: ১ সেপ্টেম্বর সমাবেশে ৫ লাখ সমাগমের ঘোষণা ছাত্রলীগের
পরে র্যালিটি ফকিরাপুল মোড় থেকে ইত্তেফাক মোড় পর্যন্ত বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ঢাকার রাজধানী মার্কেটে গিয়ে শেষ হয়।
যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় বিপুল সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী যথাযথভাবে পালনে দলের পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি এ সমাবেশের আয়োজন করে।
আগের দিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নেতৃত্বে দলের নেতা-কর্মীরা জিয়ার শেরেবাংলা নগরের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
তারা জিয়ার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত এবং দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য কামনা করে বিশেষ মোনাজাতেও করেন।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের মহাসমাবেশ: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হাজারো মানুষের সমাগম
সুপ্রিম কোর্টে মিছিল-সমাবেশ নিষিদ্ধের রায় কঠোরভাবে অনুসরণের নির্দেশ
সুপ্রিম কোর্টে সমাবেশ ও মিছিল না করার বিষয়ে ২০০৫ সালের উচ্চ আদালতের একটি রায় কঠোরভাবে অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
বুধবার (৩০ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন- বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বিচারপতি বোরহান উদ্দিন, বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম।
একই সঙ্গে দুই বিচারপতির পদত্যাগের দাবিতে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করার প্রেক্ষাপটে বিএনপি সমর্থক সাত আইনজীবীর বিরুদ্ধে যে আদালত অবমাননার আবেদন করা হয়েছে সে বিষয়ে শুনানির জন্য ১৯ অক্টোবর দিন ধার্য করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আপিল বিভাগে মেয়র জাহাঙ্গীরের নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা
আদালত অবমাননার আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন- নাহিদ সুলতানা যুথি। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন- অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
আদেশের পরে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, সুপ্রিম কোর্টসহ দেশের সব আদালত প্রাঙ্গণে কোনো ধরনের মিছিল, সভা-সমাবেশ ও লিফলেট বিতরণ করা যাবে না।
সুপ্রিম কোর্টের এ রায় এখন থেকে মানা না হলে তা হবে আদালত অবমাননা। কারণ আপিল বিভাগ আজ ২০০৫ সালে দেওয়া ওই রায় মেনে চলতে বলেছেন। নিষেধ অমান্য করে কেউ মিছিল, সভা-সমাবেশ ও লিফলেট বিতরণ করলে সেই আইনজীবী আইনি কার্যক্রম থেকে বিরত থাকবে বলেও তিনি জানান।
তিনি আরও বলেন, মূলত ২০০৫ সালে তৎকালীন হাইকোর্টের বিচারপতি আবদুল মতিনের বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এসব নিষেধাজ্ঞা দেন। আজ থেকে সেই রায় কঠোরভাবে অনুসরণ করা হবে। তবে আদালত অবমাননার অভিযোগ ওঠা বিএনপির ৭ আইনজীবীর ক্ষেত্রে এই রায় কার্যকর হবে না বলেও জানান অ্যাটর্নি জেনারেল।
গত ১৫ অগাস্ট সুপ্রিম কোর্ট আয়োজিত শোক দিবসের এক আলোচনা সভায় দুই বিচারপতি তাদের বক্তব্যে বলেন, ‘বিচারপতিরা শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ’। ওই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে তাদের অপসারণ চেয়ে সংবাদ সম্মেলনের পাশাপাশি কয়েকটি কর্মসূচি পালন করেছেন বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা।
এর পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বিএনপি সমর্থক সাত আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে ব্যবস্থা গ্রহণ চেয়ে সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন করেন মো. নাজমুল হুদা নামে এক আইনজীবী। সেই আবেদন আপিল বিভাগে উপস্থাপন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথী।
বিএনপির যে সাত আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হয়েছে তারা হলেন- জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, ফোরামের মহাসচিব ও বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল, ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট শাখার সভাপতি আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল, সাবেক সহসম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ফাহিমা নাসরিন মুন্নি এবং ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট শাখার সাধারণ সম্পাদক গাজী কামরুল ইসলাম সজল।
বুধবার (৩০ আগস্ট) আবেদনটি শুনানির জন্য আদালতে আবেদন করেন আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথি।
এ পর্যায়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা আবেদনটি অবকাশের পর শুনানি গ্রহণ করব। এরপরই ২০০৫ সালে হাইকোর্টের দেওয়া রায় কঠোরভাবে অনুসরণের আদেশ দেন প্রধান বিচারপতি।
উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে বিচারপতি এম.এ মতিন ও বিচারপতি এএফএম আব্দুর রহমানের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রায়ে বলেছিলেন, সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে প্রধান বিচারপতিসহ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের সভা-সমাবেশ বা মিছিল করা যাবে না। বহন করা যাবে না কোনো প্ল্যাকার্ড। এ ধরনের কর্মকাণ্ড করলে তা হবে বিচার প্রশাসনে হস্তক্ষেপের সামিল। এমনকি তা আদালত অবমাননাও বটে।
এ ছাড়া কর্মসূচি দিয়ে কোনো আইনজীবীকে মামলা পরিচালনা করতে বাধা দেওয়া যাবে না বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু এই রায় গত ১৮ বছরেও মেনে চলেনি আইনজীবীদের সংগঠনগুলো।
আরও পড়ুন: বিচারপতিকে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য, মেয়রকে আপিল বিভাগে তলব
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আপিল বিভাগেও খারিজ
১ সেপ্টেম্বর সমাবেশে ৫ লাখ সমাগমের ঘোষণা ছাত্রলীগের
আগামী ১ সেপ্টেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যে সমাবেশ করতে যাচ্ছে ছাত্রলীগ, সেখানে সারাদেশ থেকে ৫ লাখ নেতা-কর্মী জড়ো করার ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।
শনিবার (২৬ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন তিনি।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের ২১ নেতা বহিষ্কার
তিনি বলেন, এটি একটি ঐতিহাসিক ছাত্র সমাবেশ হতে যাচ্ছে। এই সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
তিনি বলেন, আমাদের রাজনীতি আদর্শ ও সংবিধানের বিধি-বিধানের ওপর প্রতিষ্ঠিত। আমরা সহিংসতার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না।
ছাত্রলীগের সভাপতি বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বিশ্বাস করে যে- ১ সেপ্টেম্বরের সমাবেশ হবে এ দেশ ও মানুষের চিরশত্রু, যুদ্ধাপরাধী, জঙ্গি-সন্ত্রাসী, বিএনপি-জামায়াতের জন্য একটি আলটিমেটাম।
১ সেপ্টেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই ছাত্র সমাবেশ হবে। ৩১ অগাস্ট এই সমাবেশ করার পরিকল্পনা প্রথমে নিলেও কর্মদিবসে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ভোগান্তি এড়াতে তা এক দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ এনান বলেন, আমরা খুব গুরুত্বপূর্ণ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের ভবিষ্যৎ ও দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের এটাই সময়।
তিনি আরও বলেন, এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আমরা আগামী ১ সেপ্টেম্বর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিশাল ছাত্র সমাবেশের আয়োজন করতে যাচ্ছি।
এর আগে ১৮ আগস্ট ছাত্র সমাবেশের প্রস্তুতি নিতে ছাত্রলীগের বর্ধিত সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: সাঈদীর মৃত্যুতে ফেসবুকে পোস্ট: কিশোরগঞ্জে ছাত্রলীগের ৭ নেতাকে অব্যাহতি
চবি ফটকে তালা দিয়ে রাতে সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ
শুক্রবারের সমাবেশের অনুমতি পায়নি জামায়াত
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের আবেদন নাকচ করে দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
এর আগে মঙ্গলবার (১ আগস্ট) সমাবেশের অনুমতি চেয়ে ডিএমপি কমিশনারের কাছে চিঠি দেয় দলটি। আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে দলটির কয়েকজন নেতা এই চিঠি জমা দেন।
চিঠি জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রাজ্জাক বলেন, ‘কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি না পাওয়ায় আমরা ১ আগস্ট আমাদের নির্ধারিত সমাবেশ করতে পারিনি। তাই আমরা শুক্রবার দুপুর আড়াইটায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেই।’
আরও পড়ুন: ৪ আগস্ট সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে চায় জামায়াত
চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠে ২২ জুলাই সমাবেশ করতে চায় জামায়াত
পাকিস্তানে সমাবেশে বোমা হামলায় ৪৪ জন নিহত, আহত প্রায় ২০০
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় বাজুর জেলায় রবিবার (৩০ জুলাই) একজন কট্টরপন্থী ধর্মগুরু ও রাজনৈতিক নেতার সমর্থকদের সমাবেশে শক্তিশালী বোমা হামলা করা হয়েছে।
দেশটির পুলিশ ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কমপক্ষে ৪৪ জন নিহত এবং প্রায় ২০০ জন আহত হয়েছে।
সিনিয়র পুলিশ অফিসার নাজির খান বলেন, বাজুর জেলার রাজধানী খারের উপকণ্ঠে মাওলানা ফজলুর রহমানের জমিয়ত উলেমা ইসলাম (জেইউআই) পার্টির কর্মী সম্মেলনে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এপি’র ভিডিওতে দেখা গেছে, বিস্ফোরণের পর বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে আহত ব্যক্তিদের ঘটনাস্থল থেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
সমাবেশে আসা ৪৫ বছর বয়সী আদম খান পায়ে ও দুই হাতে স্প্লিন্টারে আঘাত পান।
তিনি বলেন, বিকাল ৪টায় বোমা হামলা হয় এবং তিনি মাটিতে পড়ে যান।
তিনি বলেন, ‘চারপাশে আমি শুধু ধুলো ও ধোঁয়া দেখতে পাই।’
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বন্দুকযুদ্ধে ৩ সেনাসদস্য ও ২ বিদ্রোহী নিহত
কেউ তাৎক্ষণিকভাবে হামলার দায় স্বীকার করেনি, তবে ইসলামিক স্টেট (আইএস) গোষ্ঠী আফগানিস্তানে সীমান্তের বাইরেও হামলা করা শুরু করছে।
খান বলেন, আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক এবং মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
একটি বাজারের কাছে একটি হলের মধ্যে জেইউআই কর্মী সম্মেলন আয়োজন করা হয়। তবে, সমর্থক সংখ্যা বেশি হওয়ায় বাইরে তাঁবু করা হয়। এসময় দলীয় স্বেচ্ছাসেবকরা অনুষ্ঠানস্থলটি পাহারা দিচ্ছিল।
খাইবার পাখতুনখোয়া পুলিশ প্রধান আখতার হায়াত গন্ডাপুর বলেছেন, প্রাথমিক তদন্তে বলা হয়েছে দলীয় স্বেচ্ছাসেবকদের নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও একজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী অনুষ্ঠানস্থলে ঢুকে পড়ে।
তিনি বলেন, বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞরা আলামত সংরক্ষণের জন্য ঘটনাস্থলে চিরুনি অভিযান চালাচ্ছেন।
জেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফয়সাল খান জানান, বিস্ফোরণে নিহত ৪৪ জনের লাশ এবং প্রায় ২০০জন আহত ব্যক্তি খারের প্রধান হাসপাতালে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর এবং তাদের পেশোয়ার এবং পার্শ্ববর্তী জেলা দিরের একটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ, রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভি এবং অন্যান্য নেতারা এই হামলার নিন্দা করেছেন। তারা আহত ও শোকাহত পরিবারকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ভারী বর্ষণে নিহত ২৫, আহত ১৪৫
নিহতদের মধ্যে রেহমানের দলের স্থানীয় প্রধান মাওলানা জিয়াউল্লাহও রয়েছেন।
সিনেটর আবদুর রশিদ এবং সাবেক সংসদ সদস্য মাওলানা জামালউদ্দিনও মঞ্চে ছিলেন; তবে তিনি অক্ষত রয়েছেন।
রেহমান সমাবেশে ছিলেন না বলে দলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
দলের আঞ্চলিক প্রধান রাশেদ বলেছেন, হামলাটি নভেম্বরে সংসদ নির্বাচনের আগে জেইউআইকে মাঠ থেকে সরানোর চেষ্টা।
তিনি বলেন, এ ধরনের কৌশল কাজ করবে না।
রেহমানকে তালেবানপন্থী ধর্মগুরু বলে মনে করা হয় এবং তার রাজনৈতিক দল ইসলামাবাদের জোট সরকারের অংশ। আসন্ন নির্বাচনের জন্য সমর্থকদের একত্র করতে সারাদেশে সভা-সমাবেশ করছে দলটি।
তিনি বলেন, ‘এই ঘটনায় আমাদের অনেক সহকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন। আমি ফেডারেল ও প্রাদেশিক প্রশাসনকে এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ ও চিকিৎসা সুবিধা দিতে বলব।’
মোহাম্মদ ওয়ালি বলেন, তিনি একজন বক্তার বক্তব্য শুনছিলেন, তখন বিকট বিস্ফোরণে সাময়িকভাবে বধির হয়ে যান।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে কয়লা খনি নিয়ে দুই উপজাতির মধ্যে সংঘর্ষে নিহত ১৫
তিনি বলেন, ‘আমি এক গ্লাস পানি আনতে ওয়াটার ডিসপেনসারের কাছে গিয়েছিলাম, আকস্মিক বোমা বিস্ফোরণের ধাক্কায় আমি মাটিতে পড়ে যাই।’
তিনি বলেন, ‘আমরা হাসিমুখে সমাবেশে এসেছিলাম। কিন্তু হাসপাতালে গিয়ে শেষ পর্যন্ত কান্নারত আহত মানুষ এবং তাদের প্রিয়জনের লাশ নিয়ে স্বজনদের কাঁদতে দেখেছি।’
বাজুর একটা সময় একটি উপজাতীয় অঞ্চল ছিল, কিন্তু এখন একটি জেলা।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী উপজাতীয় অঞ্চল থেকে জঙ্গিবাদ নির্মূল করার জন্য ব্যাপক অভিযান চালানোর আগ পর্যন্ত ইসলামিক জঙ্গিদের একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থল ছিল এটি। জঙ্গিরা এখনও প্রায়ই নিরাপত্তা বাহিনী ও বেসামরিকদের ওপর হামলা চালায়।
সোমবার দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা বিএনপির
রাজধানীর বিভিন্ন প্রবেশপথে শনিবারের অবস্থান কর্মসূচিতে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের উপর নিপীড়নের প্রতিবাদে সোমবার (৩১ জুলাই) সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।
শনিবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ: গুলিবিদ্ধসহ আহত ২০, আটক ৫
তিনি বলেন, সব মহানগর ও জেলা শহরে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হবে।
ফখরুল বলেন, ‘আমরা আগামীকাল (রবিবার) আমাদের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করার কথা ভেবেছিলাম। কিন্তু আমরা জানতে পেরেছি, ক্ষমতাসীন দল রবিবার রাজপথের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। তাই বিশৃঙ্খলা এড়াতে আমরা একই দিনে আমাদের কর্মসূচি ঘোষণা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
বিএনপির শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালনে সরকার কোনো বাধা সৃষ্টি করবে না বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় ৫০০ জামায়াত-শিবির কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ২০ পুলিশ আহত, আটক ৯০: ডিএমপি
আ. লীগের সহযোগী সংগঠনের সমাবেশ এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত
সারাদেশ থেকে আওয়ামী লীগের ৩ সংগঠনের লাখ লাখ নেতা-কর্মী শান্তি সমাবেশে যোগ দিয়েছে। রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেট ও আশপাশের এলাকায় জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে।
দেশাত্মবোধক গান পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় এই শান্তি সমাবেশ।
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনের জনসভায় স্ট্রোক করে বিএনপি নেতার মৃত্যু
আ.লীগের সহযোগী সংগঠনের সমাবেশের জন্য মঞ্চ প্রস্তুত
নগরীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুব মহাসমাবেশের মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে।
বিএনপি বৃহস্পতিবারের পরিবর্তে শুক্রবার সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নেয় আওয়ামী লীগ।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ইউএনবি দেখতে পায় সেখানে ২০ থেকে ২২ জন কর্মী কাজ করছেন এবং মঞ্চের পেছনে কাজ করছেন ১০ থেকে ১৫ জন কর্মী।
ডেকোরেশনের দায়িত্বে থাকা টোটাল সলিউশনের স্বত্বাধিকারী মোজাম্মেল হক জানান, মঞ্চটি হবে ৬৪ ফুট লম্বা ও ২৮ ফুট চওড়া। বিকেল থেকেই মঞ্চ তৈরি করছেন আমাদের কর্মীরা।
আরও পড়ুন: আ.লীগের নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন সমৃদ্ধি তুলে ধরুন: নেতা-কর্মীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের তিন সহযোগী সংগঠনের শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাড. কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু জানান, ঢাকা বিভাগের তিন থেকে পাঁচ লাখ ছাত্র-যুবক এখানে জড়ো হবেন। এটা আরো বাড়তে পারে।
তিনি আরও বলেন, ‘আগত অতিথিদের জন্য পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা করা হবে। ইতোমধ্যে অনেক জেলা থেকে নেতাকর্মীরা এসেছেন। আমি তাদের খাবারের ব্যবস্থা করছি। সমাবেশে পর্যাপ্ত পানি, খাবার ও পানীয় ও চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকবে। । যারা অসুস্থ তাদের জন্য স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২০ জন ডাক্তারের একটি টিম গঠন করেছি।’
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বলেন, প্রস্তুতি প্রায় শেষ, আমি মনে করি শুক্রবার লক্ষাধিক তরুণ-শিক্ষার্থীর গণসমাবেশ হবে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ ছাত্রলীগের কার্যালয়ে সমাবেশ সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন খাঁন নিখিল ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু উপস্থিত ছিলেন।
যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, সমাবেশ আমাদের প্রত্যাশার চেয়েও বড় হবে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, ‘অনুষ্ঠানে শুধু নেতা-কর্মী-সমর্থকরাই যোগ দেবেন না, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী গণমানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগ দেবেন।
এর আগে শুক্রবার ২৩টি শর্তে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের তিন সহযোগী সংগঠনকে যথাক্রমে নয়াপল্টন ও বায়তুল মোকাররমে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: আ.লীগ ও বিএনপির জন্য শর্ত একই: শুক্রবারের সমাবেশ নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী