সমাবেশ
তারেক রাহমানের বক্তব্যে উদ্বুদ্ধ করতে সমাবেশ ধামরাই উপজেলা বিএনপি-অঙ্গদলের
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্যের আলোকে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে সমাবেশ করেছে ধামরাই উপজেলা রোয়াইল ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল, ছাএদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল।
গতকাল শুক্রবার ধামরাইয়ের বিভিন্ন স্থানে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা যুব দলের সভাপতি ইয়াছিন ফেরদৌস মুরাদ।
আরও পড়ুন: বিএনপি ক্ষমতায় গেলে পরিবারের চাহিদানুযায়ী খাদ্য সহায়তার দেবে সরকার: তারেক রহমান
সমাবেশে ইয়াছিন ফেরদৌস মুরাদ বলেন, ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশবাসী তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আছে। তারেক রহমানের এই ঐক্যের বার্তা জনগণের মাঝে পৌঁছে দিতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রোয়াইল ইউনিয়ন বিএনপি সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম মোল্লা।
বক্তব্য দেন ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক সুনীল সাহা, ধামরাই উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান, যুব দলের সাবেক সহসভপতি ইবাদুল হক জাহিদ।
সমাবেশ পরিচালনা করেন ঢাকা জেলা যুব দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুরাদ বিশ্বাস।
আরও পড়ুন: খুলনায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও মারধরের ঘটনায় সদ্যবহিষ্কৃত বিএনপি নেতা বাবুল গ্রেপ্তার
৩ সপ্তাহ আগে
চট্টগ্রামে বিএনপির আজকের সমাবেশ স্থগিত
বৈরী আবহাওয়ার কারণে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে চট্টগ্রামে সোমবারের অনুষ্ঠেয় সমাবেশ স্থগিত করেছে বিএনপি।
দেশব্যাপী ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নগরীর কাজীর দেউড়িতে নগরীর নাসিমন ভবনের সামনে এ সমাবেশ করার কথা ছিল।
বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম ইউএনবিকে বলেন, 'প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে চট্টগ্রামে আজকের (সোমবার) আমাদের সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, সমাবেশটি আগামী ৭ জুলাই করা হবে।
এর আগে বুধবার(২৭ জুন) রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম।
এসব কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি।
এছাড়া ১ জুলাই সব মহানগর শহরে এবং ৩ জুলাই সব জেলা সদরে সমাবেশ করার কথা ছিল বিএনপি নেতা-কর্মীদের।
গত ২২ জুন দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে গুলশানের বাসায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে খালেদা জিয়াকে অ্যাম্বুলেন্সে করে এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। পরদিন অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি দল সফলভাবে তার বুকে পেসমেকার বসিয়ে দেন। তিনি এখন হাসপাতালের সিসিইউ সুবিধাসহ একটি কেবিনে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস এবং কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারিতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিচারিক আদালত তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। পরে ওই বছরই আরেকটি দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন তিনি।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ এক নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে তার গুলশানের বাসায় অবস্থান এবং দেশত্যাগ না করার শর্তে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। তাকে কারাগারের বাইরে রাখতে একাধিকবার এই জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
২০২১ সালের নভেম্বরে লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে খালেদা জিয়ার চিকিৎসকরা তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর পরামর্শ দিয়ে আসছেন।
৩ মাস আগে
৭ সপ্তাহ পর বিজয় দিবসে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ
৪৯ দিন পর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীর নয়াপল্টনে তাদের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালযয়ের সামনে থেকে মিছিল বের করেছে বিএনপি।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সমাবেশে অংশ নিতে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শত শত বিএনপি নেতা-কর্মী জড়ো হন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান তার বক্তব্যে বলেছেন, আগামী ৭ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের নামে প্রহসন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকার।
বর্ণাঢ্য জনসভার আগে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের এমন তামাশা করার জন্য দেশ স্বাধীন হয়নি’
দুপুর আড়াইটার দিকে বিরোধী দলের অনুসারীরা নয়াপল্টন থেকে র্যালি বের করে এবং বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে কাকরাইল হয়ে মালিবাগ পর্যন্ত বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে নয়াপল্টনে এসে এটি শেষ হয়।
২৮ অক্টোবর দলটির সমাবেশ পণ্ড হওয়ার পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তারের ভয়ে দলের অধিকাংশ নেতা আত্মগোপনে চলে যান।
আরও পড়ুন: শনিবার নয়াপল্টনে বিজয় দিবসের সমাবেশ করবে বিএনপি
অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ থেকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ২০ হাজারের বেশি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় এখনও বন্ধ থাকায় বেলা ১১টা থেকে ছোট ছোট মিছিলে দলের নেতা-কর্মীরা এর সামনে জড়ো হতে থাকেন।
বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে সমাবেশে রাজধানীসহ আশপাশের জেলা ও উপজেলা থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।
সমাবেশের আগে দেওয়া বক্তৃতায় নজরুল ইসলাম খান বলেন, দেশের জনগণ এ ধরনের একতরফা নির্বাচন দেখতে চায় না এবং তারা ৭ জানুয়ারি তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে ভোটকেন্দ্রে যাবে না।
তিনি বলেন, নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ না থাকায় ক্ষমতাসীন দলকে নিজ দলের 'ডামি প্রার্থী' দিতে হচ্ছে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘যেভাবে প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে, সবাই জানে কে এমপি হবেন।’
তিনি অভিযোগ করেন, নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে সরকার বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি অব্যাহত রেখেছে।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদন
নজরুল বলেন, বিরোধী দলগুলোর অংশগ্রহণ ছাড়াই নির্বাচনের নামে খেলা খেলতে গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করা হয়েছে।
এর আগে দলটি ৫২তম বিজয় দিবস উপলক্ষে সাভারে জাতীয় সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়।
সকাল ১০টায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ড. মঈন বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ, গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের লাখ লাখ মানুষ রক্ত ঝরিয়েছিল এবং জীবন উৎসর্গ করেছিল।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু আওয়ামী লীগ দেশের কোটি মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে অকালে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। তারা চরম দুর্নীতির মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে।’
মঈন বলেন, স্বাধীনতার ৫২ বছর পর আওয়ামী লীগের কাছে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের প্রশ্ন করা উচিৎ, কেন তারা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের দাবি করে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে ধ্বংস করে বাংলাদেশে একদলীয় স্বৈরাচারী সরকার বাহিনী প্রতিষ্ঠা করেছে।
পরে তারা রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দেন।
আরও পড়ুন: সোমবার বিএনপির হরতাল
এসময় বিএনপি নেতারা জিয়ার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাতও করেন।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুবউদ্দিন খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল, মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, তাইফুল ইসলাম টিপু, রফিক শিকদার, নিপুণ রায় উপস্থিত ছিলেন।
সারাদেশে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করছে বিএনপির বিভিন্ন ইউনিট ও অঙ্গ সংগঠন।
এর আগে সকালে তারা বিজয় দিবস উপলক্ষে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে জাতি বিজয় দিবস উদযাপন করছে।
১০ মাস আগে
১০ ডিসেম্বর আ. লীগের সমাবেশের অনুমতি দেয়নি ইসি: ওবায়দুল কাদের
নির্বাচন কমিশন (ইসি) বাইরে সমাবেশের অনুমতি না দেওয়ায় ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ঢাকায় আওয়ামী লীগের সমাবেশ হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘আমরা ইসির কাছে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটের সামনে মহাসমাবেশের অনুমতি চেয়েছিলাম, কিন্তু ইসি তা গ্রহণ করেনি। আমরা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করতে চাই না বলে সেখানে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছি।’
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৬০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর এসব কথা জানান ওবায়দুল কাদের।
এসময় তিনি জানান, আগামী ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ একটি ইনডোর কর্মসূচি পালন করবে।
আ.লীগের এই নেতা আরও বলেন, আসন্ন সাধারণ নির্বাচন বর্জন, অবরোধ ও হরতাল ডাকা গণতান্ত্রিক আচরণ নয়।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে চিন্তিত নয় আওয়ামী লীগ: কাদের
নির্বাচন সংক্রান্ত সংঘাত-বিশৃঙ্খলায় ব্যবস্থা নেওয়া ইসির দায়িত্ব: কাদের
নির্বাচনের ট্রেন চলছে, কোথাও থামবে না: কাদের
১০ মাস আগে
সমাবেশে হামলার প্রতিবাদে বিএনপির ডাকা দেশব্যাপী হরতাল চলছে
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে হামলার প্রতিবাদে দেশব্যাপী সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হরতাল চলছে।
শনিবারের মহাসমাবেশ বানচাল করার জন্য পুলিশি পদক্ষেপের প্রতিবাদ জানিয়েছে বিরোধী দলটি। জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অনুমতি দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
শনিবার মতিঝিলের শাপলা চত্বরে জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে দলটিও সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে হরতালের ঘোষণা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: গুলশানের বাসা থেকে মির্জা ফখরুল আটক
এ সময় রাজধানীতে টহল দিতে পুলিশ ও র্যাবের সঙ্গে যোগ দেয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বিক্ষোভের প্রথম প্রহরে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে শিকড় পরিবহনের একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার এরশাদ হোসেন জানান, সকাল ৮টা ৫ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে।
তিনি বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে সহিংসতায় যুবদল নেতা নিহত, বিএনপির এক হাজারের বেশি নেতা-কর্মী আহত: ফখরুল
শহরের রাস্তায় অল্প সংখ্যক বাস, প্রাইভেট কার চলাচল করতে দেখা গেছে।
রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন জানিয়েছেন, কমলাপুর রেলস্টেশনে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক রয়েছে।
হরতালের সমর্থনে জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীরা আজ সকাল ৮টার দিকে নগরীর মাদারটেক এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
সদরঘাট টার্মিনালে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক দেখা গেলেও যাত্রী কম দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: রবিবার সারাদেশে হরতালের ডাক দিল বিএনপি
১১ মাস আগে
শর্তসাপেক্ষে আ. লীগ ও বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি
আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে (বিএনপি) শনিবার যথাক্রমে রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেট ও নয়াপল্টনে ২০টি শর্তে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) হেডকোয়ার্টার্স শুক্রবার রাতে উভয় দলকে এ সংক্রান্ত পৃথক চিঠি দিয়েছে।
চিঠিদ্বয়ে অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগ এবং নয়াপল্টনে তাদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপি অনুমতি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: সমাবেশ সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ হবে, সরকারকে বাড়াবাড়ি না করতে হুঁশিয়ারি ফখরুলের
ডিএমপি'র শর্তে বলা হয়েছে, ডিএমপি শুধুমাত্র দুপুর ১২টার পর জনসমাগম করার অনুমতি দিয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সমাবেশ শেষ করতে হবে, সমাবেশ থেকে কোনো উস্কানিমূলক বা রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য দেওয়া যাবে না, ব্যানার বা ফেস্টুন বহনের নামে নেতা-কর্মীদের লাঠি বা রড বহন করতে দেওয়া হবে না। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে বা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলে আয়োজকরা দায়ী থাকবেন।
এর আগে গত ২০ ও ২১ অক্টোবর সমাবেশের অনুমতি চেয়ে ডিএমপিতে আবেদন করে যথাক্রমে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি।
আরও পড়ুন: আ. লীগের সমাবেশ: বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু
শনিবারের সমাবেশকে সামনে রেখে বিএনপি নেতা-কর্মীরা নয়াপল্টনে জড়ো হতে শুরু করেছে
১১ মাস আগে
আ. লীগ-বিএনপির শনিবারের সমাবেশকে ঘিরে রাজধানীতে আতঙ্ক
দেশের চির রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ডাকা শনিবারের সমাবেশের ঠিক আগে শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) জামায়াতে ইসলামী এবং অন্যান্য ছোট বিরোধী দলগুলোও একই ধরনের সমাবেশের পরিকল্পনা করছে।
সমাবেশ চলাকালে সম্ভাব্য সহিংসতা ঠেকাতে রাজধানীতে হাজার হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী-পুলিশ, র্যাবসহ অন্যান্য সংস্থা মোতায়েন করা হয়েছে।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এবং এর উপকণ্ঠে স্থাপিত চেকপোস্টগুলোকে ম্যানেজ করছেন অনেকে।
ঢাকাগামী বাসে যাত্রীদের চেক করতে দেখা গেছে পুলিশকে। শহরের প্রবেশপথে নিরাপত্তা বাহিনী নিয়োজিত রয়েছে।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ঢাকা মহানগর পুলিশের কাছ থেকে তাদের নিজ নিজ স্থানে সমাবেশ করার অনুমতি পেয়েছে। জামায়াত অবশ্য ডিএমপির কাছ থেকে কোনো অনুমতি পায়নি।
আরও পড়ুন: সমাবেশ সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ হবে, সরকারকে বাড়াবাড়ি না করতে হুঁশিয়ারি ফখরুলের
১১ মাস আগে
সমাবেশ সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ হবে, সরকারকে বাড়াবাড়ি না করতে হুঁশিয়ারি ফখরুলের
বিএনপির মহাসমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে নিশ্চিত করে সর্বস্তরের জনগণকে এতে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। যাতে করে আওয়ামী লীগকে পদত্যাগ করে একটি নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের বার্তা দেওয়া যায়।
শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘সরকার বা ক্ষমতাসীন দল যদি কোনো বাড়াবাড়ি করে বা সমাবেশে কোনো বাধা সৃষ্টি করে, তাহলে তার জন্য দায়ী থাকবে সরকার।’
আরও পড়ুন: শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে: ফখরুল
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির এই নেতা এসব কথা বলেন।
নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতির জন্য প্রয়োজনে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে বলেও জানান ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে ডিএমপিকে চিঠি দেওয়ায় আমরা নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে এই সমাবেশ করব।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘নয়াপল্টনে কর্মসূচি পালনের অনুমতি দিয়ে ডিএমপির পক্ষ থেকে এখনো কোনো চিঠি পায়নি বিএনপি। আমরা এখনও আশা করি, তারা (ডিএমপি) কোনো বাধা সৃষ্টি করবে না এবং মহাসমাবেশে সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা দূর করতে সহায়তা করবে।’
তিনি বলেন, তাদের সমাবেশের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য চাপ সৃষ্টি করা।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই আমাদের এক দফা দাবি মেনে নিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, দেশে নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ নেই।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি কোনো সহিংসতার ভয় পায় না, কারণ তাদের দল অতীতে শান্তিপূর্ণভাবে একই ধরনের কর্মসূচি পালন করেছে।
ফখরুল অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা লাঠি হাতে রাস্তায় নামার মতো বিভিন্ন উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, সরকার তার দমনমূলক নীতি ও পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে সমগ্র জনগণকে জিম্মি করার চেষ্টা করছে।
এমতাবস্থায় ভোটাধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতাসহ অন্যান্য গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধার এবং একটি মুক্ত ও বাসযোগ্য সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে সারা দেশের জনগণের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির পক্ষ থেকে আমরা আন্তরিকভাবে জনগণকে আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যেন শনিবারের মহাসমাবেশে যোগ দেয় এবং সরকারকে পদত্যাগ আর ক্ষমতায় না থাকার বার্তা দেয়।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার টিআইপিএস প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে: ফখরুল
তিনি অভিযোগ করেন, সরকার রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠান ও অর্থনীতিকে ধ্বংস করে লুটপাট ও বিদেশে অর্থ পাচারের মাধ্যমে দেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।
ফখরুল দাবি করেন, গত সোমবার থেকে শুক্রবার বেলা ১১টা পর্যন্ত মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে প্রায় ১ হাজার ৩৫০ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার বেলা ১১টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন স্থানে অন্তত ৩৩০ জন বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, এ সময়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ১৮টি ‘মিথ্যা মামলা’ দায়ের করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এ ছাড়া চলতি বছরের ২৭ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির ৪ হাজার ২০ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার, ৪১৮টি মামলায় ২৮ হাজার ৫৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে এবং বিএনপির নয় নেতাকে মৃত্যুদণ্ড ও ৯০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা (প্রধানমন্ত্রী) ব্রাসেলসে বলেছেন, খুব সুন্দর একটি নির্বাচন হবে, কারণ সরকার সেই নির্বাচনের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করছে। কিন্তু আমাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে এবং প্রতি রাতে তাদের বাড়িতে অভিযান চালানো হচ্ছে। সবচেয়ে খারাপ বিষয় হচ্ছে, বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে আমাদের নেতাদের সাজা দেওয়া হচ্ছে।’
তিনি বলেন, সরকার গুরুতর দমনমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ার উপর তার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রহসনে পরিণত করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের অবস্থান পরিষ্কার যে, নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকার ছাড়া এ দেশের জনগণ কোনো নির্বাচন মেনে নেবে না।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সত্যিকারের অংশগ্রহণমূলক, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোনো ইচ্ছা নেই।
তিনি আরও বলেন, ‘এ জন্য তারা বিরোধী দলের অংশগ্রহণ ছাড়াই একতরফাভাবে নির্বাচন করতে সারাদেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে।’
তিনি বলেন, ‘কিন্তু জনগণ জেগে উঠেছে। তাদের দাবি আদায় এবং তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য এবার রাস্তায় নেমেছে।’
বিএনপির পক্ষ থেকে ফখরুল ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে তৈরি পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে মালিকদের তা মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: কোনো কিছুই ২৮ অক্টোবরের বিএনপির সমাবেশ বন্ধ করতে পারবে না: ফখরুল
১১ মাস আগে
নয়াপল্টনেই বিএনপির সমাবেশ করতে হবে: রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আগামী ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তাদের বহুল আলোচিত মহাসমাবেশ করতে হবে।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার 'পেশিশক্তি' হিসেবে কাজ করায় বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে মন্ত্রীদের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, ‘ডিএমপি কর্মকর্তারা বলেছেন, যেখানেই অনুমতি দেওয়া হবে সেখানেই বিএনপিকে সমাবেশ করতে হবে। এই বক্তব্য প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশের জনগণ এখন পরাধীন এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সকল কর্মকাণ্ড ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা এখন পুলিশের ছাড়পত্রের ওপর নির্ভর করবে।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসছেন ৩ চিকিৎসক
তিনি বলেন, আগামী ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশের সব প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। সর্বস্তরের মানুষের অভূতপূর্ব অংশগ্রহণে নয়াপল্টনে অবশ্যই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এটি (নয়াপল্টন) সঠিক জায়গা যেখানে আমরা বেশ কয়েকবার শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করেছি।
বিএনপি নেতা বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দৃঢ় অঙ্গীকার নিয়ে সারা দেশের মানুষ অব্যাহত গণগ্রেপ্তার ও সকল দমন-পীড়নের মধ্য দিয়ে ঢাকার দিকে ছুটে আসতে বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, 'পুলিশ কর্মকর্তারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী, দেশের মালিক নয়। কোন রাজনৈতিক দলের সভা কোথায় হবে তা তারা কীভাবে ঠিক করবে? বিএনপি একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল, যার বেশ কয়েকবার দেশ পরিচালনার অভিজ্ঞতা রয়েছে। বিএনপি কি জানে না কোথায় সমাবেশ করতে হবে?
বিএনপির সমাবেশের অনুমতি নিয়ে ডিএমপি কর্মকর্তাদের বক্তব্য রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচিতে সরাসরি বাধা ও হস্তক্ষেপের শামিল বলে দাবি করেনে বিএনপির এই নেতা।
আরও পড়ুন: কোনো কিছুই ২৮ অক্টোবরের বিএনপির সমাবেশ বন্ধ করতে পারবে না: ফখরুল
তিনি বলেন, বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর বিরুদ্ধে 'অবৈধ' প্রধানমন্ত্রী ও পুলিশের ক্ষোভ তাদের বিভিন্ন বক্তব্যের মাধ্যমে সমানভাবে ফুটে উঠছে।
রিজভী বলেন, 'তারা (প্রধানমন্ত্রী ও পুলিশ) মনে করে আওয়ামী লীগ ছাড়া সব রাজনৈতিক দলের লোকজন দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আক্ষরিক অর্থেই শেখ হাসিনার পেশী হিসেবে কাজ করছে।’
তিনি আরও বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা এবং পুলিশ কর্মকর্তারা বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে তাদের বক্তব্য ও হুমকি দিয়ে ঢাকাকে আতঙ্কের শহরে পরিণত করতে চায়।
তিনি বলেন, র্যাবের সদস্যরা চেকপয়েন্ট বসিয়ে রাজধানীর প্রবেশপথে তল্লাশির নামে মানুষকে হয়রানি করছে এবং পুলিশের সদস্যরা বিএনপি নেতা-কর্মী ও তাদের আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার ও পরিবারের সদস্যদের নানাভাবে লাঞ্ছিত করছে।
আরও পড়ুন: গ্রেপ্তার-তল্লাশির ক্ষমতা আনসারদের দেওয়ার সরকারের উদ্যোগ প্রত্যাখান বিএনপির
১১ মাস আগে
কোনো কিছুই ২৮ অক্টোবরের বিএনপির সমাবেশ বন্ধ করতে পারবে না: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তাদের আন্দোলন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে, তাই আগামী ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে ঘোষিত বিএনপির মহাসমাবেশ কেউ আটকাতে পারবে না।
তিনি বলেন, ‘আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, কোনো কিছুই আমাদের থামাতে পারবে না। আওয়ামী লীগের ভয়ভীতি, পাল্টা সমাবেশ, গ্রেপ্তার, মামলা ও রাতভর বিচারিক কার্যক্রম জনগণকে তাদের দাবি আদায় থেকে বিরত রাখতে পারবে না।’
মঙ্গলবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, জনগণ যখন তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন আওয়ামী লীগ 'শান্তি সমাবেশের' নামে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিরোধী দলের প্রতিটি পদক্ষেপ ঝুঁকিপূর্ণ, যারা সচেতনভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে: ফখরুল
বিএনপির এই নেতা বলেন, জনগণ রাজপথে আন্দোলনের কোনো ঝুঁকি নিয়ে উদ্বিগ্ন নয়, কারণ তারা তাদের দাবি আদায়ে অঙ্গীকারবদ্ধ।
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা নিশ্চিত হতে পারেন যে, আমাদের আন্দোলন এবার একটি চূড়ান্ত পর্যায়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং জনগণের বিজয় অনিবার্য।’
এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আগামী ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে সমাবেশ করার পরিকল্পনার বিষয়ে তারা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন।
তিনি বলেন, 'পুলিশের কাছে অনুমতি চাওয়ার কিছু নেই। আমরা তাদের (সমাবেশের বিষয়ে) অবহিত করেছি। এটা এখন তাদের দায়িত্ব... তারাই সিদ্ধান্ত নেবে এখানে কী করা উচিত বা কী করবে না।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ, জামায়াতসহ অন্যান্য দলও তাদের গণতান্ত্রিক অধিকারের অংশ হিসেবে ২৮ অক্টোবর সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে।
ফখরুল বলেন, সরকার সংবিধান অনুযায়ী অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা বলে বিশ্ব সম্প্রদায়কে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।
কিন্তু তারা যা বলছে, তাদের কর্মকাণ্ড সেগুলোর বিপরীত। বিরোধী দল যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে এবং ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারে সেজন্য তারা নির্বাচনের পরিবেশ ধ্বংস করে সারা দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে।
আরও পড়ুন: সিসিইউ থেকে কেবিনে খালেদা জিয়া
একতরফা ও নিয়ন্ত্রিত নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার ক্ষমতা ধরে রাখতে সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা।
এর আগে গত ১৩ অক্টোবর কুমিল্লায় হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের মিছিলে হামলার ঘটনায় বিএনপির গঠিত পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি সংবাদ সম্মেলনে তাদের প্রতিবেদন উপস্থাপন করে।
তদন্ত কমিটির সভাপতি ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু গত ১৭ অক্টোবর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্থানীয় জনগণ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারসহ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের 'ক্যাডাররা' এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত।
তদন্ত প্রতিবেদনকে সমর্থন করে দিয়ে ফখরুল এ হামলার জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে দায়ী করেন। এতে প্রমাণিত হয়েছে, আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য বাহাউদ্দিন বাহারের নির্দেশেই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ক্যাডাররা কুমিল্লায় হামলা চালিয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে মূলত আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটছে কারণ এটি একটি সন্ত্রাসী দল।
তিনি বলেন, ‘তারা (আওয়ামী লীগ) সন্ত্রাসবাদের মাধ্যমে টিকে আছে এবং তারা আবারও একইভাবে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করছে। এটাই তাদের চরিত্র।’
আরও পড়ুন: গ্রেপ্তার-তল্লাশির ক্ষমতা আনসারদের দেওয়ার সরকারের উদ্যোগ প্রত্যাখান বিএনপির
১১ মাস আগে