শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টায় টাউন হলে প্রতিবাদ সমাবেশ শুরু হয়। মুক্ত মঞ্চে প্রতিবাদী গান স্লোগানে মুখর হয়ে উঠে গোটা টাউন হল ময়দান। সমাবেশের পরেই ফেনীর উদ্দেশ্যে রওনা হয় লংমার্চটি।
লংমার্চটিকে পুলিশ লাইন্স থেকে স্বাগত জানান কুমিল্লার নেতারা।
প্রতিবাদকারীরা প্ল্যাকার্ড-লাল পতাকা নিয়ে স্লোগান দিয়ে টাউন হলে প্রবেশ করে। এ সময় টাউন হলের মুক্ত মঞ্চে লংমার্চকে স্বাগত জানিয়ে গান পরিবেশন করেন উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সদস্যরা।
বাসদ মার্কসবাদী নেতা ও নারী মুক্তি কেন্দ্রের প্রেসিডেন্ট সীমা দত্ত বলেন, শুক্রবার সকালে ধর্ষণ ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে ঢাকা থেকে নোয়াখালীমুখী লংমার্চ শুরু করি। মাঝে নারায়ণগঞ্জ, সোনারগাঁও অবস্থান নিয়ে বিকাল ৪টায় কুমিল্লা চান্দিনা ও বিকাল সাড়ে ৫টায় নগরীর টাউন হলে এসে আমরা অবস্থান নেই। এখানে আমাদের সাথে কুমিল্লার নেতা-কর্মীরা অংশগ্রহণ করে।
লংমার্চে উপস্থিত বাসদ মার্কসবাদী নেতা ও নারী মুক্তি কেন্দ্রের অর্থ সম্পাদক নাঈমা খালিদ মনিকা জানান, রাতে তারা ফেনীর উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। শনিবার নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে পৌঁছাবেন।
লংমার্চে অংশগ্রহণকারী সিপিবি প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুল্লাহিল কাফি রতন বলেন, ‘আমরা ৯ দফা দাবি নিয়ে লংমার্চ শুরু করেছি। আমাদের সাথে ডান সংহতি আন্দোলন, ছাত্র ফেডারেশন, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রসহ আরও কয়েকটি সংগঠন যোগ দিয়েছে।’
প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে লংমার্চটি সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ফেনীর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে।