মঙ্গলবার দুপুরে ভ্যানচালক জয়েন উদ্দিনের বাড়ি থেকে এই চাল উদ্ধার করে ইউনিয়ন পরিষদে মজুদ রাখা হয়েছে।
ওই বাড়ির মালিক জয়েন উদ্দিনের মা জোবেদা বিবি জানান, যাত্রাপুর গ্রামের চাল ব্যবসায়ী মুজিবরের ছেলে বাবু এই চাল কিনে জোরপূর্বক তার বাড়িতে মজুদ করে বস্তা পরিবর্তন করছিল।
এসময় সংবাদকর্মীদের উপস্থিতি টের পেয়ে সবাই পালিয়ে যায়। পরে বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানালে পরিত্যাক্ত অবস্থায় মোট ৩ হাজার কেজি চাল এবং সরকারি ৯৮টি খালি বস্তা ও ২টি চাল ভর্তি বস্তা উদ্ধার করে জব্দ করে রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আল মামুন।
স্থানীয়রা জানান, বাবু দীর্ঘদিন যাবত একডালা ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল ইসলামের যোগসাজসে সরকারি চাল ক্রয়-বিক্রয়ের এই অবৈধ ব্যবসা করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় বাবু পরিষদে চাল বিতরণের সময় উপকার ভোগীদের কাছ থেকে এই ভিজিডির চাল কিনে খোলা বাজারে বিক্রি করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আল মামুন বলেন, ‘সংবাদ পেয়ে চালগুলো উদ্ধার করে জব্দ করেছি। এর সাথে জড়িতদের বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। ’
তিনি আরও জানান, চাল ব্যবসায়ী মুজিবরের বাড়িতে আরও সরকারি চাল মজুদ আছে এমন তথ্য পাওয়ায় বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। খবর পেয়ে বাড়ি ছেড়ে সবাই পলাতক থাকার কারণে ওই বাড়ির তিনটি ঘর সিলগালা করা হয়েছে।