নওগাঁ
নওগাঁয় ৫৫০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি
ঊর্ধ্বগতির বাজারে ক্রেতাদের স্বস্তি দিতে নওগাঁর মান্দায় চালু হয়েছে ন্যায্য মূল্যের মাংসের দোকান। যেখানে ১ কেজি গরুর মাংস পাওয়া যাবে ৫৫০ টাকায়।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে মান্দা উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন বাজারে ন্যায্য মূল্যের মাংসের দোকান উদ্বোধন করেছেন মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (উএনও) মো. শাহ আলম মিয়া।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামানসহ প্রশাসনের অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।ইউএনও মো. শাহ আলম মিয়া জানান, বাজারে গরুর মাংস ৭০০ টাকা কেজি। ফলে সমাজের গরিব মানুষের ইচ্ছে হলেও মাংস কেনার সামর্থ্য থাকে না। সেই বিষয়টি চিন্তা করে জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আউয়ালের নির্দেশে ন্যায্য মূল্যে গরুর মাংস বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখানে ২৫০ গ্রাম থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১ কেজি পর্যন্ত মাংস কিনতে পারবেন একজন ক্রেতা। এর ফলে সাধারণ মানুষ তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী মাংস কিনে খেতে পারবে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের সহযোগিতায় প্রথম দিকে একটি গরু জবাই করা হবে। পরে চাহিদা অনুযায়ী গরুর সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে এবং সপ্তাহে ১ দিন গরুর মাংস বিক্রির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
১ সপ্তাহ আগে
নওগাঁয় ট্রাকচাপায় নিহত ৩
নওগাঁর মান্দায় ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের তিন আরোহী নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে দেলুয়াবাড়ী-চৌবাড়ীয়াহাট আঞ্চলিক সড়কের বাঁকাপুর এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন- মহাদেবপুরের ফাজিলপুর গ্রামের শাকিল হোসেন, কালুশহর গ্রামের জাহিদুল ইসলাম ও মান্দা উপজেলার সতিহাট এলাকার নুর আলম।
স্থানীয়রা জানায়, নিহতরা পেশায় রং মিস্ত্রি। তারা কাজ শেষে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় মান্দা উপজেলার চৌবাড়িয়াহাটে একটি ট্রাক তাদের মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই একজন নিহত হন এবং বাকিদের রাজশাহী মেডিকেলে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: ভোলায় ট্রাকচাপায় এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত
লাশগুলো বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুনছুর রহমান বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
ঘাতক ট্রাকটিকে আটক করা গেলেও ট্রাকের চালক ও সহকারী পালিয়ে গেছেন।
১ সপ্তাহ আগে
নওগাঁয় ট্রাক-প্রাইভেটকারের সংঘর্ষে ২ যুবক নিহত
নওগাঁর মান্দায় ড্রামট্রাকের সঙ্গে প্রাইভেটকারের সংঘর্ষে প্রাইভেটকারের দুই যাত্রী নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুইজন।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে মান্দা উপজেলা নওগাঁ-রাজশাহী আঞ্চলিক মহাসড়কের মোহাম্মদপুর নামক স্থানে এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন- নওগাঁর সাপাহারা চৌধুরীপাড়ার এনামুল হকের ছেলে আলভী রাব্বানী জিহান ও আব্দুল জব্বারের ছেলে মাহিন আহমেদ সাগর।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে ছাত্রদলের দু'গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১
স্থানীয়রা জানায়, প্রাইভেটকারটি রাজশাহী থেকে নওগাঁর দিকে আসার সময় দ্রুতগামী একটি ড্রামট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে প্রাইভেটকারটি দুমড়ে-মুচড়ে রাস্তার পাশে পিলারে আটকে যায়।
এতে ঘটনাস্থলেই প্রাইভেটকারের দুই যাত্রী নিহত হয়। এসময় প্রাইভেটকারের পেছনে থাকা একটি বাসকেও ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায় ড্রাম ট্রাকটি।
তবে বাসে থাকা কোনো যাত্রীর হতাহত হয়নি। সকাল থেকেই ঘন কুয়াশা আচ্ছন্ন থাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে স্থানীয়রা জানান।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা (ওসি) মনসুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় লাশ উদ্ধার করা করা হয়েছে।
এছাড়া আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে বলে জানান ওসি মনসুর রহমান।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে সংঘর্ষে দুই ইউপি সদস্য নিহত, আহত ১০
১ সপ্তাহ আগে
কুয়াশায় আচ্ছন্ন নওগাঁ, তাপমাত্রা বাড়লেও কমেনি শীত
ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে আছে নওগাঁর পথঘাট। কুয়াশার কারণে সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহনগুলো।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এর আগে গত শনিবার দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল নওগাঁয় ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল রবিবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত দুই দিনের তুলনায় আজ তাপমাত্রা বাড়লেও কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে অব্যাহত রয়েছে শীতের তীব্রতা।
স্থানীয়রা জানায়, কয়েক দিন ধরেই সন্ধ্যার পর শীতের প্রকোপ বাড়ছে। রাত থেকে ভোর পর্যন্ত কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুতই কুয়াশা ভেদ করে দেখা মিলেছে সূর্যের। তবে সোমবার বেলা গড়ানোর পরও কুয়াশায় কাটছে না। বৃষ্টির মতো টপ টপ করে ঝরছে কুয়াশা। সেই সঙ্গে উত্তরের হিমেল বাতাস যোগ হওযায় শীতের তীব্রতা বাড়ছে। এতে দিনমজুর, কৃষি শ্রমিকসহ খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বেলা ১২টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে ফুটপাতে জমে উঠেছে শীতের পোশাক বিক্রি
সদর উপজেলার ঠাংভাঙ্গা মোড়ে এলাকার আফছার আলী বলেন, ‘গত দুই দিন ধরে খুব ঠান্ডা পড়েছে। তবে সকাল ৯টা দিকে সূর্য উঠলেও আজকে সূর্যের দেখা নাই। বৃষ্টির মতো ঝির ঝির করে কুয়াশা পড়ছে। শুরুতেই যদি এত ঠান্ডা পড়ে তাহলে সামনের দিনে তো আরও বেশি ঠান্ডা হবে। এমনিতেই ঠান্ডায় কোনো কিছু করা যাচ্ছে না। হাত-পা নিস্তেজ হয়ে যায়।’
নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, সোমবার সকাল ৯টায় জেলায় ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গেলো ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে এ জেলার তাপমাত্রা বেড়েছে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উত্তর দিক থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়া শীতের তাপমাত্রা আগামীতে বাড়তে পারে বলেও জানান তিনি।
নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্ববধায়ক জাহিদ নজরুল ইসলাম বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে শিশু ও বৃদ্ধরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
শীত বাড়ায় শিশু ও বয়স্কদের ঘরের বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। ঠান্ডা পানি ব্যবহার না করে গরম ভাইয়ের পানি ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন।
এদিকে নওগাঁ জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আল জানান, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়কে নওগাঁয় শীতার্ত মানুষের জন্য গরম কাপড় বরাদ্দ দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। কিন্তু শনিবার পর্যন্ত নওগাঁয় সরকারিভাবে কোনো গরম কাপড় বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।
তিনি জানান, একটি বেসরকারি সংস্থা বিতরণের জন্য আজ পর্যন্ত ৪০০টি কম্বল জেলা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করেছে।
এছাড়া তিনি জানান, গত বছর তিন ধাপে ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয় থেকে নওগাঁতে ৭৬ হাজার গরম কাপড় অসহায় ছিন্নমূল মানুষের মধ্যে বিতরণ করার জন্য সরকারিভাবে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এবছর এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে অসহায় দরিদ্র মানুষের মধ্যে বিতরণের জন্য কোনো গরম কাপড় বরাদ্দ দেওয়া হয় নাই।
তিনি এ বছরের জন্য নওগাঁর দুস্থ অসহায় মানুষের শীত নিবারণে এক লাখ গরম কাপড়ের বরাদ্দ চেয়ে ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানান এবং সেগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে সরবরাহ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরের শুরুতেই শীতে কাঁপছে নওগাঁ, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
১ সপ্তাহ আগে
ডিসেম্বরের শুরুতেই শীতে কাঁপছে নওগাঁ, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
উত্তরের জেলা নওগাঁয় জেঁকে বসেছে শীত।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় নওগাঁর বদলগাছি উপজেলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা চলতি বছরে এখন পর্যন্ত এই জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যার পর তাপমাত্রা বাড়ছে। সেই সঙ্গে বয়ে যাচ্ছে হিমেল হাওয়া। আর এ হাওয়া শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিচ্ছে কয়েকগুণ। সন্ধ্যার পর থেকেই গরম কাপড় পরে চলাফেরা করছে মানুষ। রাত থেকে ভোর পর্যন্ত কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকছে চারপাশ। তবে দ্রুতই কুয়াশা ভেদ করে দেখা মিলছে সূর্যের।এদিকে শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ছিন্নমূল মানুষ ও খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে।
সদর উপজেলার সামনে কুরবার আলী নামে এক রিকশাচালক বলেন, ‘দিন যখন তাপমাত্রা একটু বেশি থাকে থাকে তখন যাত্রী পাওয়া যায়। রিকশাও ভালোভাবে চালানো যায়। কিন্তু সন্ধ্যার পর কিংবা খুব সকালে যাত্রী তেমন পাওয়া যায় না। শীতের কারণে রিকশা ঠিকভাবে চালানোও যায় না। ফলে আয় উপার্জন কমে গেছে।’
নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, শনিবার সকাল ৯টায় জেলায় ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে, শুক্রবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই হিসেবে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে এ জেলার তাপমাত্রা কমেছে ২ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
উত্তর দিক থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়ায় শীতের তাপমাত্রা আগামীতে আরও বাড়তে পারে বলেও জানান তিনি।
২ সপ্তাহ আগে
নওগাঁর পিপির বিরুদ্ধে বিচারকদের হুমকি-আদালত অবমাননার অভিযোগ
নওগাঁ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ও জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ন আহ্বায়ক আবু জাইদ মো. রফিকুল আলমের বিরুদ্ধে বিচারকদের উদ্দেশ্য অশোভন বক্তব্য, হুমকি ও আদালত অবমাননার অভিযোগ উঠেছে।
নওগাঁ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট রবিউল ইসলাম ওই সরকারি আইন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন। আবেদনে নওগাঁ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আরও সাত বিচারক প্রতিস্বাক্ষর করেছেন।
এছাড়া বিচারকদের হুমকি ও আদালত অবমাননাকর বক্তব্য প্রদানের অভিযোগে নওগাঁ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি এজেডএম রফিকুল আলমকে ১০ দিনের মধ্যে অপসারণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস এসোসিয়েশন।
গত রবিবার (১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস কাউন্সিলের সভাপতি আমিনুল ইসলাম ও মহাসচিব মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলামের সই করা এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে গতকাল সোমবার (২ ডিসেম্বর) পাঠানো ওই লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম হত্যার প্রতিবাদে গত ২৭ নভেম্বর নওগাঁ আদালত চত্বরে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ওই সমাবেশে পিপি এজেডএম রফিকুল আলম বলেন, বিচারকদের উদ্দেশে বলব, ‘জুডিসিয়ারি কিলিং, ন্যায়বিচারের পরিপন্থী আপনারা অনেক বিচার করেছেন। আমি জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, চিফ জুডিসিয়াল সকল বিচারকদের উদ্দেশে বলব, আপনারা আওয়ামী লীগের সময় নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন। আমি এনএসআই, ডিজিএফআই, এসবি, দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীদেরকে বলব, আপনারা আমার কথা লিপিবদ্ধ করবেন, সরকারকে জানাবেন।
আরও পড়ুন: সিলেট আদালতে দুই পিপি’র রুমে আইনজীবীদের তালা
তিনি বলেন, নওগাঁতে কিছু বিচারক আছেন, সে সকল বিচারক আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীর ভাগিনা, ভাতিজা। বিচারকরা ভাল ব্যাখ্যা দেন। বদমায়েশী করার জায়গা পান নাই? ছাত্র-জনতা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে খুনি হাসিনা হিন্দুস্তানে পালিয়েছে। আপনাদের পালানোর জায়গা হবে না।
তিনি আরও বলেন, ম্যাজিস্ট্রেটদেরকে বলব, যদি আপনাদেরকে ঘেরাও করে তার দায়-দায়িত্ব আপনাদেরকে নিতে হবে। বাংলাদেশে চাকরি করবেন, আর আওয়ামী লীগের দালালি করবেন, চাকরি করতে দেবো না, ঘেরাও করা হবে। আগামীতে যদি কোনো সন্ত্রাসী লীগের কোনো কর্মী, কোনো নেতা যে আদালতে সারেন্ডার দিবে, সেই আদালত ঘেরাও করা হবে। বিচারককে আমি নাম ধরে বলতে চাচ্ছি না, এখনি সাবধান হয়ে যান এবং আগামীতে এই রকম কর্মকাণ্ড যদি আপনারা অব্যাহত রাখেন, আপনাদের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা ও আইনজীবীরা আপনাদেরকে ঘেরাও করবে।’
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, পিপি এজেডএম রফিকুল আলম অপ্রাসঙ্গিকভাবে বিচারকদের উদ্দেশ্যে অশোভন বক্তব্য, হুমকি ও আদালত অবমাননাকর বক্তব্য প্রদান করেছেন। তার এ ধরণের বক্তব্যে বিচার বিভাগ ও বিচারকদের ওপর চাপ সৃষ্টির একটি প্রবণতা বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। আদালত চত্বরে বিচারকদের নিয়ে একজন পিপির এ ধরনের বক্তব্য জনসাধরণের মধ্যে ম্যাজিস্ট্রেসি তথা বিচার বিভাগ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে, যা আদালত অবমাননার শামিল। ম্যাজিস্ট্রেটদের আদালত ঘেরাওয়ের হুমকিসহ আদালত অবমাননার বক্তব্যের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয় লিখিত বক্তব্যে।
অভিযোগের বিষয়ে নওগাঁ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি এজেডএম রফিকুল আলম বলেন, ‘সেদিন সমাবেশে ওই বক্তব্য একজন আইনজীবী কিংবা পিপি হিসেবে দেই নাই। একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে সেদিন কথাগুলো বলেছি। ৮ আগস্টের পর ফ্যাসিজমের দোসর হত্যা, মানুষের ওপর অন্যায় জুলুমের অভিযোগে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আমরা লক্ষ্য করেছি, কিছু কিছু ম্যাজিস্ট্রেট আইন লঙ্ঘন করে ঢালাওভাবে তাদেরকে জামিন দিচ্ছেন। এতে করে মানুষ ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অপরাধীরা ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে সেদিন বক্তব্যগুলো দিয়েছি। কোনো ম্যাজিস্ট্রেট কিংবা আদালতকে অবমাননা করে আমি বক্তব্য দেইনি। সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বরাবর অভিযোগ হয়েছে। সেখান থেকে তলব করা হলে, অবশ্যই আমি আমার বক্তব্য তুলে ধরব।’
আরও পড়ুন: আইসিটিতে হাজির করা হলো সাবেক মন্ত্রী আমু-কামরুলকে
২ সপ্তাহ আগে
নওগাঁয় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ জন নিহত
নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলায় ট্রাকের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এর চালক ও হেলপার নিহত হয়েছে। অন্যদিকে, জেলা শহরে পিকআপের ধাক্কায় এক পথচারী নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) ভোরে মহাদেবপুর উপজেলার রানীপুকুর এলাকায় ও সকাল সাড়ে ৯টায় জেলা শহরের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কার্যালয়ের সামনে দুর্ঘটনা দুটি ঘটে।
নিহতরা হলেন- গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারনাই গ্ৰামের সামছুল আলমের ছেলে ট্রাকচালক সুমন মিয়া (৪০)। তবে এর প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ট্রাকের হেলপারের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে, পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ের সামনে নিহত ব্যক্তির নাম আবুল কাশেম (৭৫)। তিনি সদর উপজেলার ভবানীগাছী দেওয়ান পাড়া গ্রামের মৃত কুদরত প্রামাণিকের ছেলে।
দুর্ঘটনার বিষয়ে নওহাটা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আবু বকর সিদ্দিক জানান, রাতে খড়বোঝাই একটি ট্রাক নওগাঁ থেকে রাজশাহীর দিকে যাচ্ছিল। ভোরে নওগাঁ-রাজশাহী আঞ্চলিক মহাসড়কের রানীপুকুর এলাকায় ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে ট্রাকের চালক ও হেলপার নিহত হন। পরে খবর পেয়ে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়।
নওগাঁ সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু তাহের বলেন, ‘মঙ্গলবার সকালে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সামনে রাস্তার এক পাশ দিয়ে হেটে বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডের দিকে যাচ্ছিলেন আবুল কাশেম নামের এক ব্যক্তি। এ সময় নওগাঁ শহরগামী দ্রুত গতিতে আসা একটি পিকআপ তাকে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন।
ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা পিকআপটিকে জব্দ করলেও চালক পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি বলে জানান এসআই আবু তাহের।
২ সপ্তাহ আগে
কমলা চাষে পরিশ্রম-খরচ দুটোই কম: নওগাঁর উদ্যোক্তা শফিকুল
নওগাঁর মহাদেবপুরে বাণিজ্যিকভাবে কমলা চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন শফিকুল ইসলাম রানা নামে একজন যুব কৃষি উদ্যোক্তা।
পাঁচ বছর আগে মহাদেবপুর উপজেলার সফাপুর ইউনিয়নে ঈশ্বর লক্ষীপুর গ্রামে ১০ কাঠা জমিতে ৪৫টি কমলা গাছের চারা রোপণ করেন। বাংলাদেশের সাধারণত সবুজ রঙের কমলা চাষ হলেও রানার বাগানের কমলাগুলো কমলা রঙের।
রানা চুয়াডাঙ্গা থেকে চারা সংগ্রহ করে রোপণ করেন। চারার মূল্য, পরিচর্যা, জমির তৈরি ইত্যাদি বাবদ তার মোট খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকা।
এ উদ্যোক্তা জানান, গত বছর গাছগুলোতে প্রথমবার ফল ধরে। সেবার তেমন ভারো ফলন হয়নি। তবে চলতি মৌসুমে গাছে গাছে পর্যাপ্ত ফল এসেছে। জুলাই মাসের শেষ দিক থেকে গাছে মুকুল এসেছে। গড়ে চার মাস পর নভেম্বর মাসে কমলাগুলো পেড়ে নেওয়ার উপযুক্ত সময়।
রানা বলেন, বর্তমানে প্রতিটি গাছে কমপক্ষে ২০ কেজি করে কমলা রয়েছে। সেই হিসেবে ৪৫টি গাছ থেকে এবছর কমপক্ষে ৯০০ কেজি কমলা পাওয়া যাবে।
এরই মধ্যে এই বাগানের কমলা স্থানীয় বাজারগুলোতে বিক্রি শুরু হয়েছে। এসব বাজারে তারা ২০০ টাকা কেজি দরে কমলাগুলো বিক্রি করছেন। স্থানীয় গ্রামীণ বাজার ছাড়াও ক্রেতারা সরাসরি বাগান থেকেও কমলা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। সেই হিসেবে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকার কমলা বিক্রি করবেন বলে আশাবাদী বাগান মালিক।
কমলার বাগান পরিচর্যার কাজে সার্বক্ষণিক কাজ করেন রানার বড় ভাই আশরাফুল ইসলাম।
তিনি জানান, কমলা চাষে তেমন কোনো খরচ নেই। সামান্য কিছু জৈব সার এবং সামান্য সেচ দিতে হয়।
প্রতিবেশী ইউনুস ও ফরহাদ জানান, রানার বাগানের কমলাগুলো খুবই মিষ্টি ও সুস্বাদু। বিদেশি যেসব কমলা বাজারে পাওয়া যায়, রানার বাগানের কমলা সেগুলো থেকে স্বাদে কোনোভাবেই কম না। তারা নিয়মিত বাগানে আসেন এবং কমলার স্বাদ গ্রহণ করেন।
শফিকুল ইসলাম রানার এই কমলা চাষের সফলতা স্থানীয় অনেক উদ্যোক্তাকে আকৃষ্ট করেছে।
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, মহাদেবপুরের মাটি বরেন্দ্র অঞ্চল ভুক্ত। এই জমিতে কমলা চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। কমলা চাষে তেমন কোনো খরচ নেই। একবার গাছ লাগালে অনেকদিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এক্ষেত্রে সামান্য জৈব সার সেচ এবং নিড়ানি দিতে হয়। তারপরেও এটি লাভজনক। কমলা চাষে যদি কেউ এগিয়ে আসেন কৃষি বিভাগ থেকে তাকে সব ধরনের পরামর্শ এবং সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
২ সপ্তাহ আগে
নওগাঁয় অনূর্ধ্ব-১৮ জাতীয় ক্রিকেট প্রতিযোগিতা শুরু
বিসিবি আয়োজিত ২০২৪-২৫ সালের রাজশাহী বিভাগের ইয়ং টাইগার্স অনূর্ধ্ব-১৮ জাতীয় ক্রিকেট প্রতিযোগিতার বি গ্রুপের খেলার উদ্বোধন করা হয়েছে।
রবিবার (১ ডিসেম্বর) সকালে নওগাঁ জেলা ক্রীড়া সংস্থার ব্যবস্থাপনায় নওগাঁ স্টেডিয়ামে এ খেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল।
বি-গ্রুপে রয়েছে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ ও জয়পুরহাট জেলা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান, জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার এনামুল হক, জেলা ফুটবল রেফারিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, আম্পায়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও বিসিবির টিকিট কোচ সেলিম হোসেন সাবু, সাবেক ফুটবলার গোলাম রাব্বানী সাজ্জু, সাবেক ক্রিকেট খেলোয়ার রুহুল কুদ্দুস পলাশ, শামীনুর রহমান শামীম, ছাত্র সমন্বয়ক ফজলে রাব্বি, মেহেদীসহ উভয় দলের খেলোয়াড়, কোচ, ম্যানেজার ও বিভিন্ন অতিথিরা।
আঞ্চলিক পর্যায়ের এ ক্রিকেট খেলার প্রথম দিন রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার মধ্যে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।
২ সপ্তাহ আগে
নওগাঁর মান্দায় ২ জনের লাশ উদ্ধার
নওগাঁর মান্দায় আত্রাই নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় এক যুবক ও পুকুরের পাড় থেকে এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার লক্ষ্মীরামপুর এলাকায় যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কের শাহপুকুর এলাকা থেকে বৃদ্ধের লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহতদের নাম শফিকুল ইসলাম বাবু (৩২) ও রতন চন্দ্র মোদক (৬৩)। তাদের মধ্যে শফিকুল গোপালগঞ্জের সদর উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের আবুল কালাম আজাদের ছেলে। অন্যদিকে রতন চন্দ্র মোদক মান্দা উপজেলার কালিগ্রাম এলাকার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিখোঁজের ৪ দিন পর আদিবাসী শিশুর লাশ উদ্ধার
শফিকুল ইসলাম বাবুর মা শেফালি বেগম মোবাইলফোনে বলেন, ‘আমার ছেলে ঢাকার গাবতলী এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করে। গত সোমবার শ্বশুর বাড়ি পাবনা যাওয়ার কথা বলেছিল। গত দুই দিন ধরে তার মোবাইলফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। বৃহস্পতিবার মান্দা থানা পুলিশের মাধ্যমে ছেলের লাশ উদ্ধারের বিষয়টি জানতে পারি।’
অন্যদিকে নিহত রতন মোদকের নাতি বাঁধন কুমার মোদক বলেন, ‘আমার দাদু ১৫ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। বিভিন্ন স্থানে খুঁজেও তাকে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে মান্দা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে পুকুরের পাড়ে তার লাশ পাওয়া যায়।’
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর রহমান বলেন, ‘উদ্ধার হওয়া লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
ওসি আরও বলেন, ‘নিহত যুবকের কাছে পাওয়া মোবাইলফোনের সূত্র ধরে তার নাম ও পরিচয় শনাক্ত করা হয়। এসব বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: যশোরে বাস থেকে হেলপারের লাশ উদ্ধার
৪ সপ্তাহ আগে