স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম জানান, সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে যমুনা নদী তীর রক্ষা বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যেই বাঁধের প্রায় ৫৫ মিটার অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। একই উপজেলার নাটোয়ারপাড়ায়ও ভাঙন দেখা দিয়েছে। সেখানেও অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সিমলা বাঁধ এলাকায় ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। সেখানে একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ অনেক ঘরবাড়ি হুমকির মুখে।
তিনি বলেন, এ তিনটি ভাঙন স্থান প্রতিরোধে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড শনিবার সকাল থেকেই জিও ব্যাগ ফেলছে। এরআগে সিমলা এলাকার পাঁচঠাকুরীতে ভয়াবহ ভাঙনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে প্রায় সহস্রাধিক পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এছাড়া কাজিপুর উপজেলার ১ নম্বর সাইড ঢেকুরিয়া পয়েন্টের শহীদ এম মনসুর আলী ইকোপার্কের উত্তরে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনের মুখ থেকে লোকজন বাড়িঘর ও অন্যান্য জিনিসপত্র অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। যমুনা নদীর পানি সামান্য করে কমলেও বৃষ্টির কারণে বাঁধের নিচের অংশে ঘূর্ণাবতের সৃষ্টি হয়ে এ ভাঙন দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়দের দাবি, পানি উন্নয়ন বোর্ড যথাসময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ হাসান সিদ্দিকীসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ বেশকিছু পরিবারকে অন্যত্র স্থানান্তরসহ শুকনো খাবার ও নগদ অর্থ প্রদান করা হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ফিরোজ মাহমুদ বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসনের তালিকা অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্থদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।’