বন্দরের প্রায় ৫০টি পোল্ট্রি খামারে মুরগি মরে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, বন্দরের বেজেরগাঁও, চর ইসলামপুর, তিনগাঁও, পদুঘর এলাকার পোল্ট্রি খামারের মুরগিগুলো বার্ড ফ্লু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে খামার মালিকরা দাবি করেন।
জোবায়দা পোল্ট্রি খামারের মালিক সিকান্দার আলী জানান, দেড় মাস যাবত প্রতিদিনই তার খামার থেকে মুরগি মরে যাচ্ছে। উপজেলা থেকে মুরগির ভ্যাকসিন এনে প্রয়োগ করেও কোনো ফল পাচ্ছেন না।
তিনি আরও বলেন, এ পর্যন্ত তার খামার থেকে প্রায় ৪৮ লাখ টাকার মুরগি মরে গেছে।
এ ব্যাপারে বন্দর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. ফারুক বলেন, বার্ড ফ্লু শীতকালীন সময়ে পশু পাখির মধ্যমে ছাড়িয়ে পড়ে। তবে এখন পর্যন্ত আমাদের কেউ জানায়নি। এ ভাইরাসের জন্য আগে থেকেই সতর্ক হতে হবে। বার্ড ফ্লু আক্রান্ত মুরগি অন্যান্য মুরগি থেকে দ্রুত আলাদা করে ফেলতে হবে। তাহলে ক্ষতি কমিয়ে আনা যায়।
এ ব্যাপারে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইনচার্জ ডা. মুহাম্মদ আব্দুল কাদের বলেন, করোনাভাইরাস ও নিপা ভাইরাস একই ধরনের ক্ষতি করে এবং এর লক্ষণ একই ধরনের। বার্ড ফ্লু ভাইরাস অতিথি পাখি থেকে বাংলাদেশে এসেছে। বার্ড ফ্লু আক্রান্ত মুরগি খেলে মানুষ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। আর মুরগি কাটার আগে ও পরে হাত ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
এদিকে বার্ড ফ্লু রোগে আক্রান্ত হয়ে মুরগি মরে যাওয়ার ফলে খামার মালিকরা ব্যাপকভাবে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। খামার মালিকরা এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠার জন্য সরকারি সহযোগিতা কামনা করেছেন।