রবিবার মধ্যরাতে এ ঘটনায় শ্লীলতাহানী করতে আসা মিঠু বিশ্বাস নামের ওই যুবককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা।
জানা যায়, আটক মিঠু বিশ্বাস ভুক্তভোগী মেয়েটির গৃহশিক্ষক ছিলেন। পড়ানোর এক পর্যায়ে মেয়েটিকে কুপ্রস্তাব দিতে শুরু করে মিঠু। বিষয়টি মেয়ে বাবাকে জানালে মিঠুকে গৃহশিক্ষক থেকে বাদ দেয়া হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মিঠু সোমবার গভীর রাতে কৌশলে ঘরে প্রবেশ করে মেয়েটির শ্লীলতাহানীর চেষ্টা চালায়। এসময় চিৎকার শুনে বাবা মেয়েকে রক্ষা করতে ছুটে গেলে মিঠু নিজের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাবাকে কুপিয়ে জখম করে। এসময় তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে মিঠুকে আটক করে পুলিশে দেয়।
একই উপজেলার সিঙ্গিয়া গ্রামের বাসিন্দা মিঠু এর আগেও প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নিজ গ্রামের এক ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী, ছাত্রীর বোন ও দাদীকে কুপিয়ে মারাত্নক জখম করে বলে অভিযোগ রয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে নড়াইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাসুদ রানা বলেন, মিঠুর বিরুদ্ধে তিন নারীকে হত্যা চেষ্টাসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের একাধিক মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।