পানি বৃদ্ধির ফলে জেলা সদর থেকে চরভদ্রাসন ও সদরপুর উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। পানিতে নিমজ্জিত হওয়ার পাশাপাশি ওই সড়কের বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে।
এর আগে গত সোমবার সকালে ফরিদপুর শহরের বর্ধিত পৌরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের একটি পাকা সড়ক পানির চাপে ভেঙে যায়।
ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ বলেন, ‘গোয়ালন্দ পয়েন্টে পদ্মার পানি তিন সেন্টিমিটার বেড়ে এখন বিপদ সীমার ১০৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকায় পানি প্রবেশ করছে।’
পানির চাপে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে মধুমতি নদীর আলফাডাঙা ও মধুখালী উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে।
আলফাডাঙা উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম জাহিদ হাসান জানান, চলতি বর্ষা মৌসুম শুরুর পর থেকেই এ উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামজুড়ে মধুমতি নদীর ভাঙন শুরু হয়েছে। সরকারিভাবে বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে তবে তা খুব একটা কাজে আসছে না।
সমস্যা সমাধানে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানান তিনি।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার জানান, জেলার ৩০ ইউনিয়নে মানুষ পানিবন্দী হয়ে রয়েছে। তাদের জন্য সরকারি খাদ্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলাগুলোতে ২০০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ তিন লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
জেলার নিম্নাঞ্চলের বেশ কয়েকটি সড়কে পানি উঠে যাওয়ায় যান চলাচল সাময়িক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।