সোমবার হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম জাকারিয়া বলেন, করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে সতর্কতামূলক বর্ডার হাট আপাতত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির পরবর্তী সভায় হাট খোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে ততদিন পর্যন্ত হাট বন্ধ থাকবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এ ব্যাপারে ভারতে চিঠি দিয়েছি। এখন পর্যন্ত তাদের থেকে কোনো উত্তর পাইনি। তবে মৌখিকভাবে তাদের সাথে আমাদের আলাপ হয়েছে। আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত জানিয়েছি। আশা করি তারাও এ ব্যাপারে সম্মতি দেবে।’
হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব ও ছাগলনাইয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজিয়া তাহের বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় হাটটি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না নেয়া পর্যন্ত এর কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
উল্লেখ্য, দুদেশের মধ্যে সম্প্রীতি বাড়ানো ও বাণিজ্য প্রসারে বাংলাদেশের ছাগলনাইয়া ও ভারতের শ্রীনগর সীমান্তে ২০১৫ সালের ১৩ জানুয়ারি চালু হয় দেশের তৃতীয় সীমান্ত হাট। হাটের শুরুতে দুদেশের আশপাশের পাঁচ কিলোমিটারে বসবাসরত গ্রামবাসীদের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কেনাবেচাই ছিল মূল লক্ষ্য। তবে প্রতি মঙ্গলবার বসা এ হাটে দূর দূরান্ত থেকে ক্রেতারা গাড়ি হাঁকিয়ে ঢুকে অবাধে ভারতীয় মাল কিনছেন।