সোমবার পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা ও বাঙ্গালী নদীর পানি বাড়েনি। যমুনা নদীর পানি সারিয়াকান্দি পয়েন্টে বিপদসীমার ১১২ সেন্টিমিটার উপরে এবং বাঙ্গালী নদীর ২৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তবে, বন্যায় এরই মধ্যে জেলার তিনটি উপজেলা সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনটের ১৮টি ইউনিয়নের ১৬৭টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ৩২ হাজার ৯১১টি পরিবারের ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯০ জন মানুষ।
বগুড়া জেলা ত্রাণ ও দূর্যোগ কর্মকর্তা মো. আজহার আলী জানান, এ পর্যন্ত বন্যায় জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ২৫ হাজার ৭৫০ পরিবারের ১ লাখ ৩০০ জন পানিবন্ধী হয়ে পড়েছে। বন্যায় এ উপজেলায় মোট ক্ষতির পরিমাণ ৬৬ কোটি ৬৬ লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ টাকা। পানিতে তলিয়ে গেছে ৬ হাজার ৩৪০ হেক্টর জমির ফসল। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৬০টি। পাকা রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৫ কিলোমিটার।
তিনি বলেন, সোনাতলা উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের ৫ হাজার ৬৩৬ পরিবারের ২৫ হাজার ১৬৫ জন এবং ধুনট উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ১৫২৫ পরিবারের ৭ হাজার ৬২৫জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে ৯ হাজার ৩৮ হেক্টর ফসলি জমি।
জেলা ত্রাণ ও দূর্যোগ কর্মকর্তা আরও জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগদ ১৩ লাখ টাকা এবং ৬০০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া গো-খাদ্যের জন্য ৬ লাখ এবং শিশু খাদ্যের জন্য আরও ৪ লাখ টাকা ও ৬ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।