একই সময় অপর ভাই ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) শিক্ষার্থী ফজলুল হক অর্ক ও আহত হয়েছেন।
বুধবার সকাল ৭টার দিকে ধুনট উপজেলার চৌকিবাড়ি ইউনিয়নের বিশ্বহরিগাছা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, উপজেলার বিশ্বহরিগাছা গ্রামের মৃত আজাহার আলীর ছেলে রুয়েট শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমান করোনার কারণে কয়েক মাস ধরে নিজ বাড়িতে মা ও ভাইয়ের সঙ্গে অবস্থান করছেন। পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে তার সৎভাই ফজর আলী(৫০) দীর্ঘদিন ধরে হাফিজুর রহমান ও তার মা-ভাইকে অত্যাচার করে আসছে। সৎভাই ফজর আলীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন হাফিজুর রহমান ও তার পরিবারের লোকজন।
একই আঙিনায় বসবাসের সুবাদে বুধবার সকালের দিকে ফজর আলী ও তার স্ত্রী মেরিনা খাতুন চুলা জ্বালিয়ে ধোঁয়ার কুন্ডলী হাফিজুরের ঘরের ভেতর দিতে থাকে। এ সময় ধোঁয়ার কারণে তাদের শ্বাসকষ্ট হলে প্রতিবাদ করেন হাফিজুর ও তার বড় ভাই অর্ক। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ফজর আলী ও তার লোকজন হাফিজুরের একটি কাঁঠাল গাছ কেটে ক্ষতি করে। এ ঘটনা নিয়ে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে ফজর আলী ও তার লোকজন কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হাফিজুর রহমানকে আহত করে। এ সময় ভাইকে রক্ষা করতে গেলে অর্ককে পেটান তারা।
আহত হাফিজুর রহমান ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
ওই অভিযোগে ফজর আলী, তার স্ত্রী মেরিনা খাতুন ও মেয়ে সনিয়া খাতুনকে আসামি করা হয়েছে। ঘটনার পর ফজর আলী ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে।
ধুনট থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা জানান, অভিযোগটি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।