শনিবার দুপুরে উপজেলার কবাই ইউনিয়নের চর লক্ষীপাশা এলাকার পান্ডব নদীর তীর থেকে বাবা হেলাল উদ্দিন হাওলাদারের (৫৫) লাশ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় তার ছেলে ইয়াসিন হাওলাদারের (২০) গলাকাটা লাশও একই স্থান থেকে উদ্ধার করা হয়।
তারা পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার কলারদোয়ানিয়া গ্রামের বাসিন্দা। নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শেরে-ই বাংলা মেডিকেলের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, ‘মায়ের পরশ’ নামক একটি ট্রলার নিয়ে মাছ ধরার ‘চাই’ বিক্রি করতে বাকেরগঞ্জ উপজেলার শিয়ালঘুনি বাজারে আসে হেলাল উদ্দিন ও তার ছেলে ইয়াসিন।
একই এলাকা থেকে চাই বিক্রি করতে আসা হাসান জানায়, হেলাল ও তার ছেলে ইয়াসিন শিয়ালঘুনি হাটে এক লোকের কাছে প্রায় ৬০ পিস চাই বিক্রি করে। ওই বিক্রিকৃত চাই পৌঁছে দিতে যাওয়ার পর থেকে তাদের আর কোনো খোঁজ-খবর পাওয়া যায়নি। পরে শুনি তাদের লাশ নদী তীরে পাওয়া গেছে।
এদিকে নিহতদের ট্রলারটি এখন পর্যন্ত উদ্ধার করতে পারেনি থানা পুলিশ।
বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশ পরিদশর্ক (তদন্ত) নকীব আকরাম জানান, নিহতদের পরিচয় পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
বরিশাল জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বাকেরগঞ্জ সার্কেল) আনোয়ার সাঈদ বলেন, ‘হয়তো পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লোকালয় থেকে নিহতদের দূরে নির্জন জায়গায় ফেলে রাখা হয়েছে। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’