এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২২ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে গেছেন। এছাড়া বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইন শেষ হয়েছে তিন হাজার ১৯৬ জনের। বাগেরহাট সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে একজন ভর্তি রয়েছেন।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়াটার) মো. মিজানুর রহমান জানান, গত ১ মার্চ থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন দেশ থেকে তিন হাজার ৯৫৪ জন প্রবাসী বাগেরহাটে আসেন। এদের অধিকাংশই ভারত থেকে এসেছেন। বর্তমানে জেলার বিভিন্ন এলাকায় তিন হাজার ৫৯৫ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে।
অন্যদিকে বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জের বড় বাদুরা গ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া দুলাল হাওলাদার (৪০) নামে এক ব্যক্তির বাড়িসহ আশপাশের ৫০টি বাড়ি এবং বাগেরহাট সদর উপজেলার বড় বাঁশবাড়িয়া গ্রামের ১৩ বছর বয়সী এক কিশোর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় ওই কিশোরের পরিবারসহ দুইটি বাড়ি লকডাউন করেছে প্রশাসন।
এছাড়া করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে বাগেরহাট জেলার প্রবেশ মুখে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া অন্য জেলা থেকে কাউকে বাগেরহাটে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। বাগেরহাট জেলা থেকেও কাউকে বের হতে দেয়া হচ্ছে না।
বাগেরহাটের বিভিন্ন সড়কে সেনাবাহিনী, পুলিশ এবং র্যাব সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তা করছে সেনা সদস্যরা।