সিলেটের বিশ্বনাথে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা যোগদান না করায় প্রায় ৭০০ প্রাথমিক শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন বন্ধ রয়েছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৩১ অক্টোবর অবসরে চলে যান বিশ্বনাথ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক। তার পরিবর্তে ২৪ অক্টোবর বিশ্বনাথে যোগদান করার কথা ছিল মাহমুদুল হক নামে একজন শিক্ষা কর্মকর্তার। তবে তিনি অজ্ঞাত কারণে বিশ্বনাথ উপজেলায় যোগদান করেননি। এর ফলে অক্টোবর মাসের বেতন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।
বিশ্বনাথ উপজেলার ১৩৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান ও সহকারী শিক্ষকসহ ৭০২ জন শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন বন্ধ রয়েছে। এর ফলে বাসা ভাড়া ও পরিবারের অন্যান্য খরচ মেটাতে না পারায় চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিন পার করছেন।
এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জেলা সহকারী শিক্ষক সমিতির সহসভাপতি ও মুফতিরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বাবুল কান্তি দাশ মেঘল।
তিনি বলেন, ‘গত ৩১ অক্টোবর সাবেক উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক অবসরে চলে যান। তার পরিবর্তে ২৪ অক্টোবর মাহমুদুল হক যোগদান করার কথা ছিল। কিন্তু ১৮ দিন পার হলেও তিনি যোগদান করেননি। ফলে প্রায় ৭০২ জন শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে শিক্ষকরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সুহেল রানা জানান, গত ৪ নভেম্বর নতুন শিক্ষা কর্মকর্তা জেলা শিক্ষা অফিসে যোগদান করেছেন। তবে তিনি ৩ দিনের ছুটিতে ছিলেন। সম্প্রতি শুনেছি তিনি আবার জেলা শিক্ষা অফিসে যোগদান করেছেন।’
তবে এর বাইরে তিনি আর কোনো মন্তব্য করতে পারেননি।