বিশ্বনাথ
বিশ্বনাথে খাল থেকে লাশ উদ্ধার
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় খাল থেকে সিরাজ উদ্দিন ওরফে সিরই (৫৬) নামের এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের রামপাশা (কোনাপাড়া) গ্রামের মৃত আফছার উল্ল্যাহ’র ছেলে।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাহাড় থেকে সাবেক নিরাপত্তা কর্মীর লাশ উদ্ধার
বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রমা প্রসাদ চক্রবর্তী বলেন, প্রাথমিক তদন্তে লাশের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি, তবে লাশের কাছে একটি বিষের বোতল পাওয়া গেছে। ময়না তদন্ত শেষে তার মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে তেল ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার
১১ মাস আগে
বিশ্বনাথ উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আরও ৩ মামলা
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়ার বিরুদ্ধে সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে আরও তিনটি মামলা করা হয়েছে।
রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সিলেটের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম প্রথম আদালতে পৃথক এই তিনটি মামলা করেন উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের তিন ভূক্তভোগী।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মাদক মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মামলার বাদী তিনজন হলেন- দিঘলী (দত্তপুর) গ্রামের রইছ উদ্দিন (৫৫), উপজেলার বশিরপুর (উত্তর সিরাজপুর) গ্রামের জমির আলী (৪০) এবং একানিধা গ্রামের মোতাওয়াল্লী মো. আব্দুল্লাহ (৫০)।
অভিযুক্ত দবির পৌরসভার মিয়াজানেরগাঁও গ্রামের মৃত সাজিদ মিয়ার ছেলে।
মামলা তিনটিরই শুনানি হয় জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তৃতীয় আদালতে। শুনানি শেষে ওই আদালতের বিচারক দিলরুবা ইয়াছমিন অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্তের জন্যে সিলেটের গোয়েন্দা (সিআইডি) পুলিশকে দায়িত্ব দিয়েছেন।
একই সঙ্গে আগামি ২৩ অক্টোবরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলা তিনটিতেই উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়া ও তার পিএস দবির মিয়াকে আসামি করা হয়েছে। তিন মামলাতেই দবির মিয়াকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
এনিয়ে টাকা আত্মসাতের ৫টি ও সাইবার ট্রাইব্যুনালের একটিসহ মোট ৬টি মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়া।
মামলাগুলোর এজাহারে বলা হয়েছে, উপজেলা চেয়ারম্যান নুনু মিয়া ও তার পিএস দবির মিয়া গভীর নলকূপের জন্য ৩০-৪০ হাজার টাকা জমা নেন।
গিয়ে চেয়রাম্যান নুনু মিয়ার নিকট টাকা চাইলে তিনি অস্বীকার করেন। সর্বশেষ গত ১ সেপ্টেম্বর দবিরের বাড়িতে গেলে দবির টাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন। কিন্তু পরবর্তীতে যোগাযোগ করা হলে দবির টাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
তবে এসকল অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, সুবিধা না পেয়ে একটি পক্ষ তার বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা মামলা করাচ্ছে।
মামলার সত্যতা জানিয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী আইনজীবী সুমন পারভেজ বলেন, মামলা তিনটি তদন্তের জন্য সিআইডিকে দায়িত্ব দিয়েছেন বিচারক মো. আলমগীর হোসেন।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি মামলায় বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমান কারাগারে
চবিতে ভাঙচুরের ঘটনায় ২ মামলা
১ বছর আগে
সিলেটে বাসিয়া নদী থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
সিলেটের বিশ্বনাথে বাসিয়া নদী থেকে অর্ধগলিত অবস্থায় অজ্ঞাত পরিচয়ে একটি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১ আগষ্ট) সন্ধ্যায় উপজেলার অলংকারী ইউনিয়নের বাসিয়া নদীর তীর থেকে ওই অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: রামপুরায় দম্পতির লাশ উদ্ধার
ধারণা করা হচ্ছে- ওই ব্যক্তির বয়স ৩৫ থেকে ৪০ বছর। তার পরনে ছিল কালো রঙের মোবাইল প্যান্ট ও শার্ট।
বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী আতাউর রহমান বলেন, নদীর স্রোতের পানিতে ভেসে এসে বাসিয়া নদী তীরের ঝোপ-ঝাঁড়ের মধ্যে আটকা ছিল লাশটি।
তিনি বলেন, এরপর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
তিনি আরও বলেন, পানি কমায় স্থানীয়রা দেখে পুলিশে খবর দেয়। এই ব্যক্তি হত্যাকাণ্ড না দুর্ঘটনার শিকার, তা বুঝতে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের অপেক্ষা করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: নাটোরে যুবকের লাশ উদ্ধার
দিনাজপুরে ঢেপা নদী থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
১ বছর আগে
সিলেটে সড়কের পাশে থেকে নবজাতক উদ্ধার
সিলেটের বিশ্বনাথে সড়কের পাশ থেকে এক নবজাতককে উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার (২ জুলাই) রাতে উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের সমেমর্দান গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, সুবল দেবনাথ ও নাজিম মিয়া নামক স্থানীয় দুই ব্যক্তি ওই নবজাতককে উদ্ধার করে স্থানীয় পীরের বাজারের পল্লী চিকিৎসক এসবি নিরুর কাছে দিয়ে যান।
আরও পড়ুন: ক্লিনিক থেকে চুরি যাওয়ার ২দিন পর নবজাতক উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩
ওই চিকিৎসক শিশুটির যথাযথ চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় খাবারের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।
পল্লী চিকিৎসক এসবি নিরু জানান, রাতে সুবল দেবনাথ ও নাজিম মিয়া গ্যারেজে টমটম বন্ধ করতে গেলে রাস্তার পাশে কান্না শুনতে পায়। পরে তারা রাস্তা থেকে নবজাতক শিশুকে উদ্ধার করে আমার কাছে নিয়ে আসে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে শিশুটি সুস্থ আছে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে বাজারের ব্যাগ থেকে জীবিত নবজাতক উদ্ধার
হাসপাতালের সিঁড়ি থেকে নবজাতক উদ্ধার
১ বছর আগে
বিশ্বনাথে অগ্নিকাণ্ডে পুড়েছে ৫ বসতঘর
সিলেটের বিশ্বনাথে অগ্নিকাণ্ডে পাঁচ পরিবারের আধা-পাকা টিনসেডের বসতঘর পুড়ে ছাই হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ জুন) বিকাল পৌনে ৪টার দিকে উপজেলার দৌলতপুর ইউনয়িনের মালিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন গ্রামের সৌদি প্রবাসী ছুরুক মিয়া, ফারুক মিয়া ও তাদের চাচাতো ভাই বকুল মিয়া, নেছার মিয়া ও লয়লুস মিয়া। প্রায় ৬০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফারুক মিয়া।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার ঝড়-বৃষ্টি ও ভূমিকম্পের কারণে বিশ্বনাথ উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় বৈদ্যুতিক খুঁটি নড়ে যায়। এতে পুরো উপজেলা জুড়ে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ ছিল না। এরপর বিকাল পৌনে ৪টার দিকে বিদ্যুৎ সংযোগ সচল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উপজেলার মালিপাড়া গ্রামের সৌদী প্রবাসী ছুরুক মিয়ার বসতঘরে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের শুরু হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বসতঘরে আগুন: নারী-শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যু
আগুন ছড়িয়ে পড়লে পাঁচটি পরিবারের সর্বস্ব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও ওসমানীনগরের ফায়ার ব্রিগেডের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছার চেষ্টা করেন। কিন্তু তার আগেই সব পুড়ে যায়।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে সন্ধ্যায় স্থানীয় সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের খোঁজখবর নেন এবং ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে তাৎক্ষণিক নগদ ১০ হাজার টাকা অনুদান দেন। পরবর্তীতে তাদেরকে আরও ৬০ হাজার টাকা ও ২০ বান্ডিল টিন এবং একটি গভীর নলকূপ দেওয়ার আশ্বাস দেন।
বিশ্বনাথ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রেদওয়ান ও ওসমানীনগর ফায়ার ব্রিগেডের ফায়ারম্যান মো. স্বপন মিয়া বলেন, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে অগ্নিকাণ্ডে ৮ বসতঘর পুড়ে ছাই
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আগুন নিয়ন্ত্রণে, ৫০০ বসতঘর পুড়ে ছাই
১ বছর আগে
বিশ্বনাথে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী: প্রথম পুরস্কার পেল ‘রাজা বাবু অগি’
সিলেটের বিশ্বনাথে আয়োজিত এবারের প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীতে প্রথম পুরস্কার পেয়েছে পার্সিয়ান প্রজাতির বিড়াল ‘রাজা বাবু অগি’।
‘খরগোশ, কবুতর, বিড়াল ও পাখি’- ক্যাটাগরিতে বিড়ালটি প্রথম স্থান অধিকার করে।
প্রদর্শনীতে আসা দর্শণার্থীদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা সাত মাস বয়সী ভিনদেশি এই বিড়ালের মালিক মরিয়ম আক্তার প্রিয়া নামের এক কিশোরী।
আরও পড়ুন: বিড়ালদের নতুন ঠিকানা ‘লিটল হুইস্কার ফোস্টার হোম’
পুরস্কার হিসেবে তার হাতে তুলে দেয়া হয় একটি ক্রেস্ট ও চেক।
মরিয়ম আক্তার প্রিয়া জানান, ‘বিড়াল পোষা আমার অন্যতম শখের বিষয়। আর আগেও আমি দুটি বিড়াল পুষেছি। চার মাস ধরে রাজা বাবু অগিকে লালনপালন করছি। প্রিয় এই বিড়ালটি বেশ কয়েক মাস আগে সিলেট শহর থেকে ১২ হাজার টাকায় কিনেছিলাম। এখন তার বাজার মূল্য প্রায় ২৩ হাজার টাকা।
প্রিয়া আরও জানান, ‘আমার বাবার পরামর্শেই আজকের প্রদর্শনীতে রাজা বাবু অগিকে নিয়ে এসেছিলাম। প্রিয় বিড়াল প্রথম পুরস্কার পাওয়ায় আমি খুবই খুশি।’
উল্লেখ্য, সারা দেশের মতো শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিশ্বনাথ উপজেলায়ও দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয় প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী।
সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুনু মিয়া। বিকালে অনুষ্ঠিত হয় পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান।
প্রদর্শনীতে বিভিন্ন খামারিদের খরগোশ, পাখি, কবুতর, টার্কি, গাড়ল, মহিষ, গাভী, ষাড়, মোরগ, তিতির, ছাগল, বিড়ালসহ বিভিন্ন প্রাণি প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন: বিড়ালের র্যাম্প শো!
ভোলায় বিপন্ন প্রজাতির বনবিড়াল উদ্ধার
১ বছর আগে
বিশ্বনাথে সরিষার বাম্পার ফলন
সিলেটের বিশ্বনাথে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় বিভিন্ন প্রকার সবজির পাশাপাশি এবার সরিষার আবাদ বেড়েছে বহুগুণ। রোগ-বালাই না থাকায় অন্য ফসলের চেয়ে উৎপাদন খরচ অনেক কম হওয়ায় কৃষকরা ঝুঁকেছে সরিষা চাষে।
এবার উপজেলায় সরিষার হলুদ ফুলের বর্ণিল সাজে সেজেছে মাঠের পর মাঠ।
ফুলের মৌ মৌ গন্ধ আর মৌমাছির গুঞ্জন এখন সর্বত্র। অপরূপ এ দৃশ্য দেখে কৃষকদের মুখেও হাসির ঝিলিক। মনে হয় তারা তাদের জমিতে সোনা ছড়িয়ে রেখেছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় সরিষার বাম্পার ফলন
এবার উপজেলায় সরিষার আবাদ অন্যান্য বছরের তুলনায় দ্বিগুণেরও চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে আধুনিক পদ্ধতিতে হচ্ছে না এ সরিষার চাষ। সরেজমিনে উপজেলার কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়- দশঘর, রামপাশা, খাজাঞ্চী ও দৌলতপুর এলাকায় কিছুটা চাষ হলেও সবচেয়ে বেশি সরিষা চাষ হয়েছে অলংকারী ইউনিয়নে।
ভোজ্য তেলের আমদানি নির্ভরতা কমাতে মূলত তাদের এ সরিষা চাষ। এবার ফসলি জমিতে সরিষার বাম্পার ফলন হবে মনে করছেন কৃষকরা। তারা রয়েছেন ফুরফুরে মেজাজে। আশা করছেন এবার প্রতি বিঘা জমিতে সরিষা পাঁচ থেকে ছয় মণ উৎপাদন হবে।
অন্যান্য ফসলের তুলনায় সরিষা আবাদে খরচ কম, লাভ বেশি।
এ কারণে সরিষা আবাদে এখানকার কৃষকরা সবচেয়ে বেশি আগ্রহী। ক্ষুদ্র ঋণ সহায়তা পেলে তারা আরও বেশি করে সরিষা চাষ করবেন এমনটিই প্রত্যাশা এ অঞ্চলের কৃষকদের।
সরেজমিনে উপজেলার সরিষা চাষি জমসিদ মিয়া বলেন, উপজেলা কৃষি অফিস কর্তৃক সার, বীজ ও পরামর্শ পেয়ে প্রথমবারের মতো সরিষা চাষ করছি। আশা করছি ভালো ফলন পাবো।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কনক চন্দ্র ধর জানান, তেলের আমদানি নির্ভরতা কমাতে এ বছর সরিষা চাষ সম্প্রসারণে ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এবারে উপজেলায় ৪২২ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছে যা অন্য বছরের তুলনায় দ্বিগুণেরর চেয়ে বেশি।
কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় কৃষকদের মাঝে সার বীজও প্রদান করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরে চলতি মৌসুমে সরিষার বাম্পার ফলন
হলুদে ছেয়ে গেছে মাঠ, সরিষার বাম্পার ফলনের আশায় কৃষক
১ বছর আগে
বিশ্বনাথে করবস্থান থেকে নিখোঁজ ব্যক্তির কঙ্কাল উদ্ধার
সিলেটের বিশ্বনাথে করবস্থান থেকে এক নিখোঁজ ব্যক্তির কঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার বিকালে কঙ্কালটি উদ্ধার করা হয়।
নিখোঁজ ব্যক্তিটির নাম মো. সেবুল মিয়া। তিনি বিশ্বনাথের পুরান সৎপুর গ্রামের আশ্বদ আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে নিখোঁজের ছয় মাস পর নারীর কঙ্কাল উদ্ধার
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বনাথ থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে কঙ্কালের আশপাশে একটি জ্যাকেট, এক জোড়া স্যান্ডেল ও একটি কোমরে বাঁধা কাপড়ের ব্যাগের মধ্যে অন্যান্য কাগজের সঙ্গে একটি জাতীয় পরিচয়পত্র উদ্ধার করে।
সেই পরিচয়পত্রের সুবাদে সেবুল মিয়ার পরিবারকে জানালে তার ভাগিনা ছয়ফুল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কঙ্কালটি সেবুলের বলে নিশ্চিত করেন।
ছয়ফুল ও সেবুলের ভাই ফারুক মিয়া জানান, তিনি (সেবুল) মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। দুই মাস আগে তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে গেলে তার মানসিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। এরপর থেকে তাকে আর এলাকায়ও দেখা যায়নি।
ঘটনাস্থলে সিআইডি, পিবিআই, সিলেট ক্রাইম সিন টিম এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ নমুনা সংগ্রহ করেছে বলে পুলিশের পক্ষে জানানো হয়েছে।
বিশ্বনাথ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মামুনুর রশীদ বলেন, প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে এটি সেবুল মিয়ার কঙ্কাল। কঙ্কালটি উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
রির্পোটের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: বরিশাল মেডিকেল কলেজ এলাকা থেকে কঙ্কাল উদ্ধার
চট্টগ্রামের হাটহাজারী থেকে মানব কঙ্কাল উদ্ধার
১ বছর আগে
বিশ্বনাথে হাওরে মিললো বৃদ্ধের লাশ
সিলেটের বিশ্বনাথে হাওরে মিললো এক বৃদ্ধের লাশ।সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বিকালে উপজেলার চাউলধনী হাওরের চানপুর গ্রাম এলাকার সমস্যার খাল নামক স্থান থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
মৃত আশক আলী (৭২) উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের জগদীশপুর গ্রামের বাসিন্দা।
জানা গেছে, আশক আলী সোমবার সকালের দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাড়িতে ফেরেননি। তার পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজির পর চাউলধনী হাওরের চানপুর গ্রাম এলাকার সমস্যার খাল নামক স্থানে তার লাশ পানিতে ভাসতে দেখলে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত জাহিদুল ইসলাম বলেন, লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। তবে মৃত্যুর কারণ এখনো জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: বিশ্বনাথে পুকুরে ডুবে বাক প্রতিবন্ধী কিশোরের মৃত্যু
বিশ্বনাথে সাঁকো থেকে পড়ে শিশুর মৃত্যু
১ বছর আগে
বিশ্বনাথে ঐতিহ্যবাহী পলো বাওয়া উৎসব শুরু
সিলেটের বিশ্বনাথে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বার্ষিক ‘পলো বাওয়া উৎসব’- শুরু হয়েছে। শনিবার (২১ জানুয়ারি) উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের গোয়াহরি গ্রামের দক্ষিণের (বড়) বিলে এই উৎসব শুরু হয়। এতে অংশ নেন গ্রামের কয়েক শতাধিক মানুষ।
এই উৎসব আগামী ১৫ দিন পর্যন্ত চলবে। কেননা গোয়াহরি গ্রামের পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে এই ১৫দিন বিলে মাছ ধরায় আটল (নিষেধাজ্ঞা) নেই।
আরও পড়ুন: পর্দা উঠল ২১তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের
এ উৎসবকে কেন্দ্র করে গোয়াহরি গ্রামে গত কয়েকদিন ধরে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছিল। পানি ও কচুরিপানা বেশি না থাকায় মাছ নিয়ে ঘরে ফিরছেন গ্রামবাসী।
শিকারকৃত মাছের মধ্যে ছিল- বোয়াল, শোল, মিরকা, কার্পু, বাউশ ও ঘনিয়াসহ বিভিন্ন জাতের মাছ।
গোয়াহরি গ্রামের ঐতিহ্য অনুযায়ী প্রতি বছরের মাঘ মাসের পহেলা তারিখ এই পলো বাওয়া উৎসব অনুষ্ঠিত হত। কিন্তু এবার বিলে মাছ বেশি থাকায় এলাকাবাসী মিলে এসময় পলো বাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
আগামী ১৫ দিন পর দ্বিতীয় ধাপে পলো বাওয়া হবে। এই পনের দিনের ভিতরে বিলে হাত দিয়ে মাছ ধরা হবে এবং কেউ চাইলে পেলান জাল (হাতা জাল) দিয়ে মাছ ধরতে পারবেন।
পলো বাওয়া উৎসবে অংশ নিতে শনিবার সকাল ৮টা থেকে গোয়াহরি গ্রামের সৌখিন মানুষ বিলের পারে এসে জমায়েত হতে থাকেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিলের পারে লোক সমাগম বাড়তে থাকে। পূর্ব নির্ধারিত সময় সকাল সাড়ে ১০টা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সবাই একসঙ্গে বিলে নেমে শুরু করেন পলো বাওয়া। শুরু হয় ঝপঝপ পলো বাওয়া।
প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপী এ উৎসবে গোয়াহরি গ্রামের সব বয়সী পুরুষ অংশ নেন।
সরেজমিনে গোয়াহরি বিলে গিয়ে দেখা যায়, মাছ শিকার করতে নিজ নিজ পলো নিয়ে বিলের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন লোকজন। যাদের পলো নেই তারা মাছ ধরার ছোট ছোট বিভিন্ন জাল নিয়ে মাছ শিকারে ব্যস্ত সময় কাটান।
এসময় মাছ ধরার এ দৃশ্যটি উপভোগ করতে বিলের পাড়ে ছোট ছোট শিশু থেকে বৃদ্ধ বয়সের পুরুষ-মহিলা, দূর থেকে আসা অনেকের আত্মীয়- স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবকে দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
প্রতিবছরের মতো এবারও ছেলে-বুড়ো মিলিয়ে প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষ পলো বাওয়া উৎসবে অংশগ্রহণ করেন। বিল থেকে এ বছর অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশি মাছ শিকার হয়েছে।
গোয়াহরি গ্রামের ইকবাল হোসেন বলেন, পলো বাওয়া উৎসব আমাদের গ্রামের একটি ঐতিহ্য। আমার কাছে পলো বাওয়া উৎসব খুব মজার বিষয়। শত ব্যস্ততার মধ্যেও আমি এ উৎসবে অংশগ্রহণ করি। আমাদের গ্রামবাসী যুগ যুগ ধরে এই উৎসব পালন করে আসছে।
মাদরাসা শিক্ষক গোয়াহরি মাওলানা লুৎফুর রহমান বলেন, আমি একটি মাদরাসার শিক্ষক। এই মাছ ধরায় অংশ নিতে পেরেছি তাই আমার খুব আনন্দ লাগছে।
যুক্তরাজ্য প্রবাসী আশরাফুজামান বলেন, আমি পলো বাওয়ায় অনেক বছর দেখিনি। আমার ভাগ্য ভাল এবার এ উৎসব দেখতে পারলাম। আমার খুবই ভাল লাগছে। পলো দিয়ে মাছ শিকার একটি মজার বিষয়।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে শিক্ষার্থীদের পিঠার সঙ্গে পরিচয় করাতে ব্যতিক্রমী উৎসব
সারাদেশে পিঠা উৎসবের মতো উৎসব ছড়িয়ে দিতে হবে: কে এম খালিদ
১ বছর আগে