মঙ্গলবার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শহরের পুরান বগুড়া দক্ষিণ পাড়ার মৃত রামপদ রবিদাসের ছেলে রামনাথ রবিদাস (৫৫) নামের আরও একজন মারা গেছেন।
এর আগে সোমবার মৃত রামনাথের ভাই প্রেমনাথ রবিদাস (৬০) ও তার ছেলে সুমন রবিদাস (৩৮) মারা যায়।
মৃত অপর সাতজন হলেন- শহরের পুরান বগুড়ার লোকমান প্রামাণিকের ছেলে রমজান আলী মিস্ত্রি (৪৫), কাটনারপাড়ার আবুল কাশেমের ছেলে সাবু কুলি (৫৫), মৃত ওছিমুদ্দিনের ছেলে মোজাহার বাবুর্চি (৬৫), ফুলবাড়ী সরকার পাড়ার আব্দুল জলিল (৬০) ও তার ছেলে পলাশ (৩৫), ভবের বাজারের তবিবর রহমানের ছেলে আলমগীর হোসেন (৪৫) ও কাহালু পৌর এলাকার আবুল কালাম (৬০)।
আরও পড়ুন: বিষাক্ত মদ্যপানে বগুড়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০
থার্টি ফার্স্ট নাইট: অতিরিক্ত মদ পানে রাজশাহীতে ৩ জনের মৃত্যু
এদিকে, শাজাহানপুরে বিষাক্ত মদপানে মেহেদি হাসান (২৫) ও আবদুল আহাদ (৩০) নামে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। মেহেদী উপজেলার দুরুলিয়া গ্রামের গোলজার প্রামানিকের ছেলে এবং আহাদ উপজেলার কাটাবাড়িয়া গ্রামের আফতাব হোসেনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, গত বরিবার রাতে উপজেলার রহিমাবাদ বি-ব্লক এলাকার বাসস্ট্যান্ডে রায়হান হোমিও হল নামের একটি দোকান থেকে মেহেদী অ্যালকোহল কিনে তা পান করেন। এরপর অসুস্থ হওয়ায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয় এবং অবস্থার অবনতি হলে মঙ্গলবার বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মেহেদীর মৃত্যু হয়।
একই দোকান থেকে আবদুল আহাদ অ্যালকোহল কিনে পান করে রাতে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। এর পর তাকে বাড়িতেই রাখা হয়। কিন্তু মঙ্গলবার ভোরে ঘর থেকে আহাদ বের না হওয়ায় দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে তাকে বিছানায় মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: খুলনায় ‘অতিরিক্ত মদ পানে’ ছোট ভাইয়ের মৃত্যু, বড় ভাই হাসপাতালে
শাজাহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘দুজনকেই ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে এবং বিষয়টি তদন্ত চলছে। প্রতিবেদন পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এদিকে, শহরের ফুলবাড়ী এলাকার পারুল হোমিও ল্যাবরেটরি ও পুরান বগুড়ার হোমিও চিকিৎসক শাহীনুর রহমানের চেম্বার সোমবার বন্ধ করে সংশ্লিষ্টরা গা ঢাকা দিয়েছে।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ূন কবির জানান, মৃত রঞ্জু মিয়ার ভাই মনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে পারুল, পুনম, খান নামের তিনটিসহ কয়েকটি হোমিও হলের নামে মামলা দিয়েছেন। অভিযুক্ত হোমিও ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।