এমন অবস্থায় ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ ও এ্যাডভাঞ্চ ডিপার্টমেন্ট এর কাজ আংশিকভাবে বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত ব্রাঞ্চ ইনচার্জ ও এজিএম আব্দুল্লাহ হান্নান হাওলাদার।
তিনি জানান, তাদের ২২জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী আক্রান্ত হন। এর মধ্যে কয়েকজন সুস্থ্য হয়েছেন। এখনও ১৭জন অসুস্থ্ অবস্থায় রয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন দ্বিতীয় নমুনা পরীক্ষার ফলাফলের অপেক্ষায়ও রয়েছে।
কিন্তু ব্যাংকটিতে এতজন কর্মকর্তা আক্রান্ত হওয়ার পরও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত বা স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে তেমন কার্যকর পদক্ষেপ সরোজমিনে দেখা যায় নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন গ্রাহক জানান, তারা বিষয়টি জানতেনই না। আক্রান্তদের অনেকেই ব্যাংকে কাজ করেছেন এবং অসুস্থ্য হয়েছেন তাদের মাধ্যমে কতজন গ্রাহক আক্রান্ত হয়েছে তারও হিসাব নাই।
এ ব্যাপারে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ চোখে পড়েনি জানিয়ে গ্রাহকরা বলছেন, তারা ডেস্কে লোক না দেখে পাশের জনকে জিজ্ঞাসা করে জেনেছেন যে তিনি অসুস্থ্। কিন্তু করোনা আক্রান্ত তা বলেনি কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে খুলনা সিভিল সার্জন সুজাত আহমেদ বলেন, ‘এখন আসলে ব্রাঞ্চ বন্ধ রাখার আইনি কোনো ব্যবস্থা নেই। কিন্তু যারা আক্রান্ত হয়েছে তাদের আইসোলেশনে নিতে হবে। তাদের সংস্পর্শে যারা এসেছে তাদের পরীক্ষা করতে হবে। পাশাপাশি ব্রাঞ্চের ভিতরে সামাজিক দূরত্বসহ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে।’