লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী চাল সরবরাহ করতে না পারায় জেলার ১৬ চাতাল মিলকে কালো তালিকাভুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় সূত্র জানায়, চলতি বছর জেলা খাদ্য বিভাগ ৪০ হাজার ৯৯৫ মেট্রিক টন সিদ্ধ ও আতপ চাল সংগ্রহের জন্য ৩১৬ চাতাল মিলের সাথে চুক্তি করে। চুক্তি অনুযায়ী ৭ মে থেকে চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়। তবে, ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চলা অভিযানে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ায় দ্বিতীয় দফায় চাল সংগ্রহের মেয়াদ ১৫ দিন বাড়ানো হয়। তারপর ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চাল সংগ্রহ করা হলেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি।
দ্বিতীয় দফায় মেয়াদ বাড়িয়ে মোট ৩৮ হাজার ২৯৭ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে চুক্তিতে থাকা ১৬ চাতাল মিল কোনো চাল সরবরাহ করেনি। এগুলোকে কালো তালিকাভুক্তির জন্য ঢাকায় সুপারিশ করেছে জেলা খাদ্য বিভাগ।
কালো তালিকাভুক্তির জন্য সুপারিশ করা মিলগুলো হলো- শাপলা রাইস মিল, শরীফ রাইস মিল, আব্বাস আলী রাইস মিল, আমেনা খাতুন রাইস মিল, মোমেনা মতি বয়লার রাইস মিল, রূপালী রাইস মিল, ইয়াকুব আলী রাইস মিল, আশা রাইস মিল, ওসমান গণি রাইস মিল, শাহজালাল রাইস মিল, গাজী রাইস মিল, মিশ্রির মা বয়লার রাইস মিল, সাইফুর রাইস মিল, জাহাঙ্গীর বয়লার রাইস মিল, চৌধুরী অটো রাইস মিল ও যমুনা রাইস মিল।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুবীর নাথ চৌধুরী জানান, এ বছর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৪০ হাজার ৯৯৫ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। নির্ধারিত সময়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ায় দ্বিতীয় দফায় ১৫ দিনের সময় বাড়ানো হয়।
তিনি বলেন, ‘নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার ৯৩ দশমিক ৪২ শতাংশ চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। আর চাল সরবরাহ না করতে পারায় জেলার ১৬ মিলকে কালো তালিকাভুক্ত করতে ঢাকায় সুপারিশ করা হয়েছে। সিদ্ধান্ত এলেই এদের কালো তালিকাভুক্ত করা হবে।’