লক্ষ্যমাত্রা
১ বছরে ৫ লাখ গাছ লাগানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি: গণপূর্তমন্ত্রী
আগামী এক বছরে পাঁচ লাখ গাছ লাগানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
এ লক্ষ্য অর্জনে কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অন্যান্যদের সহযোগিতা চান তিনি।
আরও পড়ুন: জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে বললেন গণপূর্তমন্ত্রী
সোমবার (৮ জুলাই) পূর্বাচলের ১ নম্বর সেক্টরের ম্যাকানিক্যাল স্ট্যাকইয়ার্ডে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ সপ্তাহের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন দপ্তর-সংস্থার মালিকানা/নিয়ন্ত্রণে যেসব জমি রয়েছে, তার খালি অংশে বৃক্ষরোপণ করা হবে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা হচ্ছে, গাছ লাগানোকে সামাজিক আন্দোলনে রূপান্তর করতে হবে।’
সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে গাছ লাগানো হলেও ঘাটতি রয়েছে উল্লেখ করে গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, ‘রাজউক যেসব শর্তের ভিত্তিতে বাড়ির নকশা অনুমোদন দেয়, সেখানে বাড়ির অবশিষ্ট জায়গায় গাছ লাগানোর শর্ত যুক্ত করতে বলা হয়েছে। অন্তত ফুলের বাগান হলেও যেন করে। তাতেও বনায়নের কিছুটা কাজ হবে।’
আরও পড়ুন: ভূমিকম্প সহনীয় স্থাপনা নির্মাণে সরকার কাজ করে যাচ্ছে: গণপূর্তমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘পূর্বাচলে বাড়ি বানানোর ক্ষেত্রে অন্তত ২০ শতাংশে যেন গাছ লাগানো হয়, সেটি খেয়াল রাখতে হবে। ফলদ, বনজ ও ঔষধি যেকোনো ধরনের গাছ হতে পারে। একইসঙ্গে নিজেদের খাওয়ার উপযোগী সবজি উৎপাদন করা যেতে পারে।’
অনুষ্ঠানে রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ এবং আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন গণপূর্তমন্ত্রী।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নবীরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন রাজউক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) ড. মো: ছিদ্দিকুর রহমান সরকার, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. শামীম আখতার, স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি মীর মঞ্জুরুর রহমান এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা।
অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী ও সচিব ম্যাকানিক্যাল স্ট্যাকইয়ার্ড চত্বরে একটি করে নারিকেল গাছের চারা রোপণ করেন।
আরও পড়ুন: নাগাসাকিতে শান্তি স্মৃতিস্তম্ভ উদ্বোধন করেছেন গণপূর্তমন্ত্রী
৪ মাস আগে
২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রার ১৭ শতাংশ অর্জন সম্ভব: জাতিসংঘ
বিশ্বের ৭০০ কোটির বেশি মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ১৬৯টি লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে ২০৩০ সালের মধ্যে মাত্র ১৭ শতাংশ অর্জন সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। শুক্রবার (২৮ জুন) সংস্থাটির বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস প্রতিবেদন প্রকাশ করে বলেন, 'এতে দেখা যাচ্ছে বিশ্ব জীবনমান উন্নয়নে ব্যর্থ হচ্ছে।
২০১৫ সালে বৈশ্বিক দারিদ্র্য বিমোচন থেকে শুরু করে লিঙ্গ সমতা অর্জন পর্যন্ত ১৭টি সুদূরপ্রসারী উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা গ্রহণ করেছিলেন বিশ্ব নেতারা। এই দশকের শেষ নাগাদ পৌঁছাতে ১৬৯টি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিলেন।
আরও পড়ুন: বিশ্ব ‘পরমাণু বিপর্যয়ের’ থেকে এক ধাপ দূরে: জাতিসংঘ মহাসচিব
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লক্ষ্যমাত্রার প্রায় অর্ধেক বিষয়ে ন্যূনতম ও মাঝারি অগ্রগতি দেখা গেছে। এছাড়া এক-তৃতীয়াংশের বেশি স্থবির বা পিছিয়ে গেছে এবং মাত্র ১৭ শতাংশ অর্জনের পথে রয়েছে।
গুতেরেস বলেন, 'বিষয়টি সহজ। শান্তি নিশ্চিত, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় এবং আন্তর্জাতিক অর্থায়ন জোরদারে আমাদের ব্যর্থতা উন্নয়নকে ব্যাহত করছে।’ প্রতিবেদনে কোভিড-১৯ মহামারির দীর্ঘস্থায়ী প্রভাবের কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২২ সালে অতিরিক্ত ২ কোটি ৩ লাখ মানুষ চরম দারিদ্র্যের মধ্যে পড়েছে এবং ১০ কোটির বেশি মানুষ অনাহারে ভুগছে।
গুতেরেস বলেন, ‘অপ্রত্যাশিত সম্পদ, জ্ঞান ও প্রযুক্তির এই বিশ্বে বহু মানুষকে মৌলিক চাহিদা থেকে বঞ্চিত করা নিন্দনীয় ও অগ্রহণযোগ্য।’
জাতিসংঘের এই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এই শতাব্দীতে প্রথমবারের মতো, বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অর্ধেক দেশে মাথাপিছু জিডিপি প্রবৃদ্ধি উন্নত অর্থনীতির তুলনায় ধীর, যা সমতাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। সংস্থাটি বলছে, ২০২২ সালে প্রায় ৬০ শতাংশ দেশ মাঝারি থেকে অস্বাভাবিক উচ্চ মূল্যের মুখোমুখি হয়েছে।
মানসম্মত শিক্ষার লক্ষ্য অর্জন অনেক দূরে রয়ে গেছে। বিশ্বব্যাপী মাত্র ৫৮ শতাংশ শিক্ষার্থী প্রাথমিক বিদ্যালয় শেষে পড়ার ক্ষেত্রে ন্যূনতম দক্ষতা অর্জন করেছে।
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ‘সাম্প্রতিক মূল্যায়নে অনেক দেশে গণিত এবং পড়ার স্কোর উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পেয়েছে।’
লিঙ্গ সমতা সম্পর্কে এতে হলা হয়েছে, বিশ্ব এখনও পিছিয়ে রয়েছে। প্রতি পাঁচজন মেয়ের মধ্যে একজন এখনও ১৮ বছর বয়সের আগে বিয়ে করে, নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে, অনেক নারীর তাদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার নেই এবং বর্তমান হারে ব্যবস্থাপনা পদে পুরুষদের সঙ্গে সমতায় পৌঁছাতে নারীদের ১৭৬ বছর সময় লাগবে।
গুতেরেস বলেন, এই প্রতিবেদনে 'কিছু আশার আলো' রয়েছে।
মোবাইল ব্রডব্যান্ডের ক্ষেত্রে বিশ্বের জনসংখ্যার ৯৫ শতাংশের প্রবেশডেগ্যতা রয়েছে। ২০১৫ সালে এটি ছিল ৭৮ শতাংশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নবায়নযোগ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বৈশ্বিক সক্ষমতা গত পাঁচ বছর ধরে নজিরবিহীনভাবে বার্ষিক ৮.১ শতাংশ হারে বাড়ছে।
আরও পড়ুন: কানেকটিভিটি উচ্চতর পর্যায়ে নিতে একসঙ্গে কাজ করছে ঢাকা-দিল্লি: কর্মকর্তা
চিকিৎসার সুযোগ বৃদ্ধির ফলে গত তিন দশকে এইডস-সম্পর্কিত ২ কোটি ৮ লাখ মৃত্যু এড়ানো গেছে। ম্যালেরিয়ার নতুন টিকা লাখ লাখ মানুষের জীবন বাঁচাতে সক্ষম। বেশিরভাগ অঞ্চলে মেয়েরা এখন শিক্ষায় ছেলেদের সঙ্গে সমতা অর্জন করছে। আর অনেক নারী এখন প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করছেন।
তবে টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় পরিবর্তনের গতি ও মাত্রা এখনও অনেক ধীর।
গাজা থেকে ইউক্রেন, সুদান ও এর বাইরেও যুদ্ধের অবসান ঘটাতে এবং ধ্বংস ও যুদ্ধের ব্যয় থেকে জনগণকে রেহাই দিতে এবং শান্তিতে বিনিয়োগের দিকে অগ্রসর হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
মহাসচিব জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং 'সবুজ ও ডিজিটাল রূপান্তর' বিষয়ে বৃহত্তর পদক্ষেপ নেওয়ারও আহ্বান জানান।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উন্নয়নশীল দেশগুলোকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়তা করার জন্য প্রয়োজনীয় বিনিয়োগে বার্ষিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলারের ব্যবধান রয়েছে।
গুতেরেস সম্পদ সরবরাহের জন্য প্রচেষ্টা জোরদার করার এবং ঋণের চাপ ও ঋণ পরিশোধের ব্যয় হ্রাস, নগদ প্রবাহ সংকটের ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর জন্য আপদকালীন অর্থায়নের প্রবেশযোগ্যতা প্রসারিত করা এবং বিশ্বব্যাংক ও অন্যান্য উন্নয়ন ব্যাংকের ঋণ দেওয়ার ক্ষমতা বহুগুণ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘দারিদ্র্যের অবসান, পৃথিবীকে রক্ষা এবং কাউকে পেছনে ফেলে না রাখার বিষয়ে আমাদের অঙ্গীকার থেকে সরে আসা উচিত হবে না।’
আরও পড়ুন: ব্রিটনির থেকে ১০০ গজ দূরে থাকতে হবে আলেকজান্ডারকে
৪ মাস আগে
আগামী ২ অর্থবছরে বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে ৮০৪ বিলিয়ন টাকা বরাদ্দের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ
বাংলাদেশকে উন্নত দেশে রূপান্তরের লক্ষ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ায় আগামী দুই অর্থবছরে এ খাতে ৮০ হাজার ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার।
এর মধ্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৩৮ হাজার ৩০০ কোটি টাকা এবং ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৪২ হাজার ১৩০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হবে।
সরকার পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ সক্ষমতা নিশ্চিত করতে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে।
সরকারি নথিতে বলা হয়েছে, ‘২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে রূপান্তরের লক্ষ্য নিয়ে সরকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে।’
'মধ্যমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিবৃতি (২০২৩-২৪ থেকে ২০২৫-২৬)' শীর্ষক নথিতে বলা হয়েছে, গত দেড় দশকে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৪ হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট থেকে ২৭ হাজার ৩৬১ মেগাওয়াটে (ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্যসহ) উন্নীত হয়েছে।
আরও পড়ুন: সরকারের অনুমোদনের অপেক্ষায় আরও ৩ সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র
এছাড়া সঞ্চালন ও বিতরণ লাইন ৮ হাজার কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ১৪ হাজার ৬৭২ কিলোমিটার এবং বিতরণ লাইন ২ লাখ ৬০ হাজার কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ৬ লাখ ২৮ হাজার ৫৬২ কিলোমিটারে উন্নীত করা হয়েছে বলে নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় মোট বিদ্যুতের ১০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী এ ধরনের বিদ্যুৎ উৎপাদনের বর্তমান সক্ষমতা প্রায় ৯০০ মেগাওয়াট।
নথিতে আরও বলা হয়, সরকার মোট ১ হাজার ১৪৯ মেগাওয়াট ক্ষমতার ২৬টি সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
আরও পড়ুন: জাতীয় গ্রিডে ৬১৮ এমএমসিএফডি গ্যাস যোগ করতে ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা
এছাড়া মোট ৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ২ হাজার ৫৭০টি সোলার সেচ পাম্প এবং গ্রিড বহির্ভূত অঞ্চলে বসবাসকারী জনগণের জন্য ৬০ লাখ সোলার হোম সিস্টেম ইতোমধ্যে স্থাপন করা হয়েছে বলেও ওই নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
জ্বালানির ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে, উৎপাদন ও সরবরাহ উভয় ক্ষেত্রেই বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
সরকারি নথিতে বলা হয়েছে, ২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৯টি গ্যাস অনুসন্ধান কূপ খনন করা হয়েছে এবং দৈনিক গ্যাস উৎপাদন ক্ষমতা ৯৮৪ মিলিয়ন ঘনফুট বৃদ্ধি পেয়েছে।
এছাড়া সরকার ২০২৪ সালের মধ্যে আরও ৪৬টি অনুসন্ধান কূপ খনন সম্পন্ন করার উদ্যোগ নিয়েছে, যা থেকে দৈনিক ৬১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন সক্ষমতা যোগ হতে পারে।
একই সঙ্গে বেশ কয়েকটি এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা থেকে দৈনিক আড়াই হাজার মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি স্টোরেজ রি-গ্যাসিফিকেশন সক্ষমতা বাড়বে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ব্যয় দক্ষতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার আন্তঃদেশীয় জ্বালানি পরিবহনের জন্য একটি আঞ্চলিক পাইপলাইন নির্মাণ এবং আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যের ভিত্তিতে জ্বালানির নিয়মিত মূল্য সমন্বয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করছে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ খাতে আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি জরুরি: নসরুল হামিদ
সরকার জ্বালানি শোধনাগারের সক্ষমতা বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস উভয়ের জন্য প্রিপেইড মিটার স্থাপন এবং সমতল ও উপকূলীয় অঞ্চলে উভয় জরিপের মাধ্যমে দেশীয় গ্যাস অনুসন্ধানের উপর জোর দিয়েছে।
পাশাপাশি জ্বালানি দক্ষতা ও সিস্টেম লস হ্রাসকেও অগ্রাধিকার তালিকায় রাখা হবে বলে এতে বলা হয়।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সম্প্রতি বলেছেন, গ্যাস বিতরণ খাতে সিস্টেম লস দুই বছর আগে ছিল ২২ শতাংশ, তা থেকে কমিয়ে তা এখন সাড়ে ৭ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে।
বাংলাদেশে বিদ্যুৎ বিতরণে সিস্টেম লস ৭ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে এসেছে। জাতীয় পার্টি নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে সিস্টেম লস ছিল ৪৪ শতাংশ এবং বিএনপি নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে ছিল ২২ শতাংশ।আরও পড়ুন: সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ ঘাটতি, লোডশেডিং ছাড়িয়েছে ১৮৬০ মেগাওয়াট
৬ মাস আগে
আইএমএফ শর্ত শিথিল করলেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ বাংলাদেশ
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নিট রিজার্ভের শর্ত শিথিল করা সত্ত্বেও ২০২৩ সালের শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি বাংলাদেশ।
আইএমএফের ঋণের নথি অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ১৭ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে বছর শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রকৃত রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৬ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার।
এছাড়া সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদও আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি বাংলাদেশ ব্যাংক। পরে বাংলাদেশের অনুরোধে রিজার্ভ সংরক্ষণের লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে দেয় বৈশ্বিক ঋণদাতা সংস্থাটি। এমনকি ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের শেষ নাগাদও সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি।
আইএমএফের নতুন শর্ত অনুযায়ী, চলতি বছরের মার্চে প্রকৃত রিজার্ভ ১৯ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার এবং ২০২৪ সালের জুনে ২০ দশমকি ১০ বিলিয়ন ডলার হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে আর্থিক খাতের অংশীজনরা এই লক্ষ্য অর্জন হবে কি না তা নিশ্চিত করতে পারছে না।
প্রকৃত রিজার্ভ হলো- আইএমএফের এসডিআর, ব্যাংকের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা ক্লিয়ারিং হিসাবে রাখা ডলার এবং এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন (এসিইউ) বিলের জন্য জমা করা ডলারবাদ দিয়ে গণনা করা রিজার্ভ।
আরও পড়ুন: ৬৯০ মিলিয়ন ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তিতে শর্তারোপ আইএমএফের
এ ছাড়া রিজার্ভের আরও দুটি হিসাব রয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো মোট রিজার্ভ। আরেকটি আইএমএফ অ্যাকাউন্টিং সিস্টেম হলো বিপিএম৬ এর অধীনে রক্ষণাবেক্ষণ করা রিজার্ভ।
২০২৩ সাল শেষে মোট বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ বিলিয়ন ডলারে। তবে আইএমএফ শুধু নিট বা সত্যিকার রিজার্ভ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক ইউএনবিকে বলেন, আইএমএফ নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রিজার্ভ ১৭ বিলিয়ন ডলারের ওপরে রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কাজ করেছে।
আইএমএফের সাবেক অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর ইউএনবিকে বলেন, আইএমএফ নির্ধারিত আগের লক্ষ্যমাত্রা কমিয়েও পূরণ করা যায়নি, যা অপ্রত্যাশিত।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক নীতিমালা পরিবর্তন না করলে বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২৪ সালের মার্চে আইএমএফের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা ধরে রাখতে পারবে কি না তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন মনসুর।
আরও পড়ুন: আইএমএফ ফর্মুলায় ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির পর বাংলাদেশের রিজার্ভ ২০.২৫ বিলিয়ন ডলার: বাংলাদেশ ব্যাংক
১০ মাস আগে
ফরিদপুর চিনিকলে আখ মাড়াই শুরু, লক্ষ্যমাত্রা ৩ হাজার টন
ফরিদপুরের মধুখালীর ফরিদপুর চিনিকলের ২০২৩-২০২৪ (৩৮তম) আখ মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকাল ৫টায় চিনিকলের কেইন কেরিয়ার প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাইফুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান (গ্রেড-১) শেখ শোয়েবুল আলম এনডিসি।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাট সুগার মিলে আখ মাড়াই শুরু
বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের (বিএসএফআইসি) সচিব ও অপারেটিং ডিরেক্টর ফসুমি চৌধুরী রুহুল আমিন কায়সার।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মহাব্যবস্থাপক (কৃষি) মুহাম্মদ আনিস উজ্জামান, মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শফিউল আলম, চিনিকল শ্রমজীবি ইউনিয়নের সভাপতি মো. শাহিন মিয়া, সাধারন সম্পাদক মির্জা মাঝহারুল ইসলাম মিলন, চিনিকল আখচাষী কল্যাণ সংস্থার সভাপতি মো. সফিকুল ইসলাম খান, সাবেক শ্রমিক নেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. হামিদুর রহমান ও রাষ্ট্রপতি কর্তৃক স্বর্ণ পদক প্রাপ্ত আখ চাষী হাজী মো. মোতালেব ফকির।
এই মৌসুমে ৫০ দিনে ৫০ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে তিন হাজার ১২৫ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ৪৮তম আখ মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন করা হলো। চিনি আহরণের হার ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন: বৃহত্তম চিনিকল জয়পুরহাট সুগার মিলে আখ মাড়াই শুরু
চিনিকল রক্ষায় জাতীয় সমাবেশ ২৭ ফেব্রুয়ারি
১০ মাস আগে
জুলাই-অক্টোবরে রাজস্ব আদায় ১৪.৩৬% বাড়লেও লক্ষ্যমাত্রা পিছিয়ে: এনবিআর
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য অনুসারে, আগের অর্থবছরের ২০২২-২৩ একই সময়ের তুলনায় চলতি অর্থবছরের ২০২৩-২৪ প্রথম চার মাসে রাজস্ব সংগ্রহ ১৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ বেড়ে ১ লাখ ৩ হাজার ৯৭৬ কোটি টাকা হয়েছে।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) এনবিআর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, রাজস্ব বোর্ডের তিনটি শাখা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে আয়কর, মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) এবং শুল্ক বাবদ ১ লাখ ০৩ হাজার ৯৭৬ টাকা সংগ্রহ করেছে। এটি চলতি অর্থবছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে ১৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ রাজস্ব বেড়েছে।
২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে রাজস্ব বোর্ড ৯০ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল।
খাতভিত্তিক রাজস্ব আয় হয়েছে- শুল্ক থেকে ৩২ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকা, ভ্যাট থেকে ৪০ হাজার ০৪৮ দশমিক ৬২ কোটি টাকা এবং আয়কর ও ভ্রমণ কর খাত থেকে ৩১ হাজার ২৫৯ কোটি টাকা।
তবে এ সময়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রাজস্ব কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে। চার মাসে রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ দশমিক ২৩ লাখ কোটি টাকা।
চলতি অর্থবছরে এনবিআরের রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: ব্যক্তিগত আয় বিবেচনায় করদাতার সংখ্যা ১ কোটিতে পৌঁছাতে হবে: এনবিআর চেয়ারম্যান
আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা দুই মাস বাড়াল এনবিআর
জুলাই-আগস্টে রাজস্ব কমেছে ৪৮৭০ কোটি টাকা: এনবিআর
১১ মাস আগে
১০০ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে রপ্তানি পণ্যে বৈচিত্র্য আনুন: টিপু মুনশি
১০০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে শুধু পোশাক শিল্পের ওপর নির্ভর না করে পণ্য রপ্তানিতে বৈচিত্র্য আনার জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বুধবার(৮ নভেম্বর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) আয়োজিত জাতীয় রপ্তানি ট্রফি ২০২০-২০২১ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মুন্সী বলেন, আরও অনেক পণ্য রপ্তানি করা যেতে পারে এবং দেশের শুধু তৈরি পোশাক খাতের ওপর নির্ভর করা উচিত নয়।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা পণ্যবৈচিত্র্য আনতে পারে এবং আরও অনেক দেশ বাংলাদেশের রপ্তানি গন্তব্য হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ‘(এভাবে) সামগ্রিক বাণিজ্যের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং দেশ সমৃদ্ধি লাভ করবে। রপ্তানি থেকে ১০০ বিলিয়ন ডলার আয় করা সম্ভব হবে।’
আরও পড়ুন: কৃষি ব্যবসা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে রপ্তানি সম্প্রসারণ ও এলসি নিয়ে আলোচনা রাষ্ট্রদূতের
এ প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রী ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সকল ব্যবসায়ীকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম, ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
সর্বোচ্চ রপ্তানি আয়ের ভিত্তিতে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ২৮টি ক্যাটাগরিতে ৭৩টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে রপ্তানি ট্রফি দিয়েছে ইপিবি।
আরও পড়ুন: ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলার পোশাক রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রয়োজন দ্বিগুণ ডেনিম রপ্তানি
১ বছর আগে
আইএমএফ ৪.৭০ বিলিয়ন ডলার ঋণের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা শিথিল করেছে
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশের জন্য ৪ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলারের ঋণ প্যাকেজের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ, রাজস্ব সংগ্রহ, জ্বালানির স্বয়ংক্রিয় মূল্য সমন্বয়সহ বেশ কয়েকটি লক্ষ্য শিথিল করেছে।
চলতি বছরের শুরুতে আইএমএফ ঋণ প্যাকেজের শর্ত হিসেবে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ২৫ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ডলার এবং আগামী বছরের জুনের মধ্যে ২৬ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে।
রিজার্ভ গণনা পদ্ধতি বিপিএম৬ অনুযায়ী, বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার।
নিট ভিত্তিতে, এই পরিমাণ আরও হ্রাস পেয়ে ১৮ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে।
আরও পড়ুন: আইএমএফকে ঋণের পরবর্তী কিস্তির জন্য প্রয়োজনীয় রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারে নামিয়ে আনার আহ্বান বাংলাদেশের
এ অবস্থায় বৈদেশিক মুদ্রার মজুদের লক্ষ্যমাত্রা শিথিল করার জন্য আইএমএফকে অনুরোধ করেন অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা।
সেই অনুরোধ বিবেচনায় আইএমএফ লক্ষ্যমাত্রা শিথিল করেছে। চলতি বছরের ডিসেম্বর শেষে রিজার্ভ ১৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার এবং আগামী বছরের জুন শেষে ২০ বিলিয়ন ডলারে রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার ও বুধবার সফররত আইএমএফ প্রতিনিধি দল অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন।
অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আলোচনার পর আইএমএফ কিছু শর্তে নমনীয় হতে সম্মত হয়। সভায় সরকারের পক্ষে নেতৃত্ব দেন অর্থ সচিব মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার। আইএমএফ মিশনের নেতৃত্বে ছিলেন আইএমএফের এশিয়া-প্যাসিফিক বিভাগের প্রধান রাহুল আনন্দ।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করেছে আইএমএফ দল
চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার কমিয়ে ৬ শতাংশ করেছে আইএমএফ
১ বছর আগে
৩০০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে চায় বাংলাদেশ: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ২০৪১ সালের মধ্যে রপ্তানি আয় ৩০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে চায় বাংলাদেশ। তিনি বলেন, এ লক্ষ্য অর্জনে দেশের রপ্তানি খাত বহুমুখীকরণ করতে সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে তা বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করছে।
সোমবার (৯ অক্টোবর) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘চতুর্থ বাংলাদেশ লেদার ফুটওয়্যার অ্যান্ড লেদারগুডস ইন্টারন্যাশনাল সোর্সিং শো’-ব্লিস-২০২৩’ উপলক্ষে লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফেকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এলএফএমইএবি) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে দ্রব্যমূল্য ও সরবরাহ স্থিতিশীল রাখা সম্ভব হয়েছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে প্রভাবিত করার অন্যতম হাতিয়ার রপ্তানি বহুমুখীকরণ। বাংলাদেশ বর্তমানে এশিয়ার অন্যতম রপ্তানিমুখী দেশ হিসেবে বিশ্ববাজারে আবির্ভূত হয়েছে। রপ্তানি বহুমুখীকরণের লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিদেশি ক্রেতা-ব্র্যান্ডস ও বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার উদ্যোগ নিয়েছে। এর জন্য উদ্ভাবনী নীতি প্রণয়ন ও ব্যবসাবান্ধব নীতি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি আয়কারী চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য ২০৪১ সালের মধ্যে ৩০০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।
টিপু মুনশি আরও বলেন, রপ্তানি আয়কে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চামড়াজাত পণ্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। বিশ্ববাজারে চামড়াজাত পণ্য সরবরাহের জন্য বাংলাদেশ একটি নির্ভরযোগ্য গন্তব্য হিসেবে দ্রুত স্থান করে নিচ্ছে। বিশ্ববাজারে প্রবেশ করতে হবে। আমাদের পণ্যের কোয়ালিটি অনেক এগিয়ে গেছে যা আন্তর্জাতিক মান ধরে রেখেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে এসব পণ্যের ব্র্যান্ডিংয়ের বিকল্প নেই। ব্লিস-২০২৩ এই লক্ষ্য অর্জনে অসামান্য অবদান রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের টোটাল রপ্তানির তৈরি পোশাক খাত ৮৩ ভাগ দখল করে আছে। কিন্তু এই খাত একদিনে এই জায়গায় আসেনি! চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের একটি বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। এটি অনেক সম্ভাবনাময় একটি খাত। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চামড়া শিল্পখাতসহ সব রপ্তানি শিল্পগুলোর সমান নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন।
মন্ত্রী জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় স্থানীয় পণ্যগুলোর আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডিং ও বিপণনে সুনির্দিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়নসহ সময়োপযোগী নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফেকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টাস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ আগামী ১২-১৪ অক্টোবর, ২০২৩ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা (আইসিসিবি)-তে চতুর্থবারের মতো “বাংলাদেশ লেদার ফুটওয়্যার অ্যান্ড লেদার গুডস ইন্টারন্যাশনাল সোর্সিং শো-ব্লিস-২০২৩” এর আয়োজন করতে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিদেশি ব্যবসায়ীদের দেশে বিনিয়োগের আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর
আগামী জানুয়ারির মধ্যে টিসিবির স্মার্টকার্ড বিতরণ করা হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
২০৪১ সালে মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৮৫ লাখ টন: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
২০৪১ সালে মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৮৫ লাখ টন নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
সোমবার (২৪ জুলাই) সকালে রাজধানীর মৎস্য ভবনে মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ কথা জানান।
এসময় মন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালে মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৫ লাখ টন। যা বর্তমান উৎপাদনের চেয়ে ১ দশমিক ৮ গুণ বেশি। উৎপাদিত মাছ যাতে মানব স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ হয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ রয়েছে।
২০২০ সালে মৎস্য পরিদর্শন ও মাননিয়ন্ত্রণ আইন করা হয়েছে। সমুদ্রসীমাসহ অন্যত্র যারা মাছ আহরণে সম্পৃক্ত তাদের প্রতিটি নৌযানে যান্ত্রিক পদ্ধতি সংযোজন করা হচ্ছে, যাতে তাদের মনিটরিং এর আওতায় রাখা যায়। পাশাপাশি কোনো মৎস্য নৌযান দুর্ঘটনায় পতিত হলে তাদের অবস্থান জানার জন্যও এই পদ্ধতি কাজে লাগানো হচ্ছে। এভাবে মৎস্য খাতে ডিজিটালাইজড পদ্ধতি যুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সমুদ্র সম্পদ নিয়ে গবেষণা ও বিনিয়োগের আহ্বান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর
তিনি বলেন, ‘নিরাপদ মাছে ভরবো দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ’- এই প্রতিপাদ্য নিয়ে এ বছর ২৪ জুলাই থেকে ৩০ জুলাই জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন করা হচ্ছে। এ উপলক্ষে কেন্দ্র থেকে প্রান্তিক পর্যায়ে নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এবারের কর্মসূচির অন্যতম লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট মৎস্য খাত গড়ে তোলা। স্মার্ট মৎস্য খাতে উৎপাদন, বিপণন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও রপ্তানির প্রক্রিয়ায় স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে মৎস্য খাত থেকে সর্বোচ্চ অবদান রাখার লক্ষ্য নিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত মাছ উৎপাদন এবং দেশে ও বিদেশে সরবরাহের জন্য সরকার দেশে আন্তর্জাতিক মানের পরীক্ষাগার তৈরি করেছে। পরীক্ষাগারে পরীক্ষার মাধ্যমে বিদেশিদের চাহিদা অনুযায়ী মাছ রপ্তানি করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, বিদেশ থেকে মাছের জন্য যেসব খাদ্য উপাদান আসে সেগুলোও এ পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করা হচ্ছে। যাতে মাছ উৎপাদন, আহরণ ও বিপণনে অস্বাস্থ্যকর কোনো উপাদান প্রবেশ করতে না পারে। শুধু মাছ উৎপাদন নয় বরং স্বাস্থ্যসম্মত ও খাবার উপযোগী নিরাপদ মাছ উৎপাদন সরকারের লক্ষ্য।
আরও পড়ুন: সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ আহরণে যুক্তরাষ্ট্রের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চাই: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
তিনি বলেন, আগে আমাদের লক্ষ্য ছিল মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি। এখন আমাদের লক্ষ্য দেশে স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ মাছ উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা।
মন্ত্রী বলেন, মাছ উৎপাদনে বৃদ্ধির পাশাপাশি মাছের বহুমুখী ব্যবহারে সরকার অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে। মাছ থেকে চিপস, কেকসহ অন্যান্য মৎস্যজাত পণ্য তৈরি করলে মাছের ভোক্তাও বৃদ্ধি পাবে। এভাবে মাছের বহুমুখী ব্যবহার প্রক্রিয়াকে সরকার উৎসাহিত করছে।
তিনি বলেন, মাছের বহুমুখী ব্যবহার নিয়ে যারা কাজ করতে চায় তাদের সহজ শর্তে, স্বল্প সুদে কৃষি ঋণ দেওয়া হচ্ছে। তাদের উৎসাহিত করার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়াসহ সরকার নানারকম সহায়তা প্রদান করছে।
তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর ৫২টি দেশে বাংলাদেশের মাছ রপ্তানি হয়। ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রায় ৭০ হাজার টন মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে দেশের আয় হয়েছে ৪ হাজার ৭৯০ কোটি ৩০ লাখ টাকা। মাছ রপ্তানির মাধ্যমে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে।
মন্ত্রী বলেন, মাছের উৎপাদন, বিপণন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, বিদেশে রপ্তানি সবকিছু মিলে দেশের উন্নয়নে, দেশের মানুষের উন্নয়নে, মানুষের স্বাস্থ্যের উন্নয়নে মাছ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি হলে খাবারের একটি বড় যোগান হয়। মানুষের পুষ্টি ও আমিষের চাহিদা পূরণ করে মাছ। যারা মাছ উৎপাদন করেন তাদের বেকারত্ব লাঘব হচ্ছে, তারা নিজেরাই উদ্যোক্তা হচ্ছেন। গ্রামাঞ্চলে মাছ উৎপাদনের মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতি সচল হচ্ছে। মৎস্য খাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ১ কোটি ৯৫ লাখ মানুষ সম্পৃক্ত থেকে জীবিকা নির্বাহ করছে।
আরও পড়ুন: চিংড়ি উৎপাদন ও রপ্তানি সমস্যা সমাধানে সরকার বদ্ধপরিকর: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
মৎস্যসম্পদের উন্নয়নে অভয়াশ্রম তৈরিসহ বিভিন্ন সময়ে সরকার মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, মাছ ধরা নিষিদ্ধকালে মৎস্যজীবীরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য সরকার প্রণোদনা প্রদান, খাদ্য সহায়তা, বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা ও উপকরণ সহায়তা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চান একজন মৎস্যজীবীও যেন কষ্ট না পায়।
শ ম রেজাউল করিম আরও বলেন, ইলিশ উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে শীর্ষস্থানে রয়েছে। মিঠা পানি ও বদ্ধ জলাশয়ের মাছ উৎপাদনেও ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। বিশ্বে অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ে মৎস্য আহরণে বাংলাদেশ এখন তৃতীয়,বদ্ধ জলাশয়ে চাষকৃত মাছ উৎপাদনে পঞ্চম ও তেলাপিয়া উৎপাদনে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের জলসীমায় প্রচলিত ও অপ্রচলিত মাছ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সরকার কাজ করছে। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী ও গবেষকরা ৩৯ প্রজাতির দেশীয় বিলুপ্তপ্রায় মাছ ফিরিয়ে এনেছে। দেশীয় মাছ বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষার জন্য ময়মনসিংহে লাইভ জিন ব্যাংক করা হয়েছে। জাতীয় মৎস্য সপ্তাহে মুক্ত ও বদ্ধ জলাশয়ে মাছের পোনা অবমুক্তকরণের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মাছ ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল কাইয়ূম, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও মৎস্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
১ বছর আগে