জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, জেলা ও দায়রা আদালত, ফায়ার সার্ভিস, হাসপাতাল রোড, কলেজ মোড় থেকে জেলা প্রশাসকের বাসভবন রোড সর্বত্রই পানি আর পানি। যেন স্থবির হয়ে পড়ে কুড়িগ্রাম জেলা শহর।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, জলাবদ্ধতার কারণে দুর্ভোগে পড়েছে হাটিরপাড়, হাসপাতালপাড়া, রৌমারীপাড়া, কলেজপাড়া, পূর্ব মুন্সীপাড়া, কালিবকসীপাড়া, নামা ভেলা কোপা, টাপু ভেলা কোপা, উঁচা ভেলা কোপা, চর ভেলাকোপা, পুরাতন রেজিস্ট্রি অফিসপাড়া, পাওয়ারহাউজপাড়া, কবিরাজপাড়া, হরিকেশ মাঝিপাড়া, চৌকিদার পাড়া, আমবাড়ি ঘাট, গোরস্থান পাড়া, চামরার গোলা, চরুয়াপাড়া, সরদার পাড়া, মোক্তার পাড়া, মোল্লাপাড়া, ডাকবাংলা পাড়া, খান পাড়া, কানীয়া পাড়া, মরাকাটা, একতাপাড়া, হাটিরপাড়, নতুন স্টেশন পাড়া, প্রফেসর পাড়া এলাকার কয়েক হাজার মানুষ।
হাসপাতাল পাড়ার শাহিন আহমেদ জানান, এ পাড়ার চিকিৎসক, স্বাহ্যকর্মী, শিক্ষকসহ প্রায় ৪০টি পরিবার গত এক মাস ধরে পানিবন্দী জীবন যাপন করছে। পৌর মেয়র ও কাউন্সিলরের কাছে বারবার যোগাযোগ করেও কাজ হয়নি।
হাটিরপাড়ের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, পুরনো ড্রেন পরিষ্কারের অভাবে ও কিছু জায়গায় ড্রেন না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমাট বেঁধে থাকে। এছাড়া রাস্তার বেহাল দশার কারণে চলতে অনেক সমস্যা হয়।
কুড়িগ্রাম পৌরসভার মেয়র আব্দুল জলিল জানান, অতি বৃষ্টির কারণে শহরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া বন্যার কারণে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ড্রেনের পানি ধীর গতিতে নামছে। কিছু স্থানে ড্রেনেজ ব্যবস্থা নাজুক রয়েছে। এসব স্থানে ড্রেন সংস্কার এবং কিছু স্থানে নতুন ড্রেন নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।
‘এ পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে শহরের জলাবদ্ধতা থাকবে না। কুড়িগ্রাম শহর ধরলা নদীর কোল ঘেষে হওয়ায় বন্যার পানিও ঢুকে পড়ছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দী রয়েছে,’ যোগ করেন আব্দুল জলিল।