তারা হলেন- মাসুম বিল্লাহ (২২) ও নাঈম (২২)।
এ নিয়ে পৃথক দুই মামলায় গ্রেপ্তার আসামির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাতজনে।
এদিকে বুধবার দুপুরে গ্রেপ্তার দুই আসামিকে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।
বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক জানান, গত ২০ অক্টোবর বোরহানউদ্দিনে ঈদগাহ মাঠে সহিংস ঘটনার দিন ভাওয়াল বাড়ির মন্দিরসহ সংখ্যালঘু বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে মঙ্গলবার রাতে বোরহানউদ্দিন পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের বাজার থেকে মাসুম বিল্লাহ নামে এক যুবককে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এছাড়াও ঈদগাহ মাঠে পুলিশের সঙ্গে জনতার সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে চরফ্যাশন পৌর শহরের কোর্ট এলাকা থেকে মঙ্গলবার রাতে নাঈম নামে অপর এক যুবককে গ্রেপ্তার করে। বুধবার তাদেরকে ভোলার আদালতে প্রেরণ করা হয়।
কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক রথীন্দ্রনাথ বিশ্বাস জানান, গ্রেপ্তার দুজনকে বুধবার দুপুরে ভোলা অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়। তবে আদালতে শুনানি না হওয়ায় পরে তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, পুলিশের ওপর হামলা ও সংঘর্ষসহ চারজন নিহতের ঘটনার মামলায় মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদের মধ্যে তিনজনকে সংখ্যালঘুদের বাড়িতে হামলা ও মন্দির ভাঙচুর মামলায়ও গ্রেপ্তার দেখানো হয় এবং মাসুম বিল্লাহ নামে এক যুবককে শুধু সংখ্যালঘুদের বাড়িতে হামলা ও মন্দির ভাঙচুর মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। পুলিশের ওপর হামলা ও সংখ্যালঘুদের বাড়িতে হামলার ঘটনায় পৃথক দুই মামলায় গ্রেপ্তার সাত আসামিরা হলেন- আরিফ, সজিব, আল আমিন, স্বপন,হাসনাইন,মাসুম বিল্লাহ, নাঈম। এছাড়াও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপর একটি মামলায় বিপ্লব চন্দ্র শুভ, সাকিল ও নাইমসহ তিনজন জেল হাজতে রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে এক যুবকের শাস্তির দাবিকে কেন্দ্র করে গত ২০ অক্টোবর ভোলার বোরহানউদ্দিনে পুলিশ ও আন্দোলনরত স্থানীয়দের সংঘর্ষে চারজনের মৃত্যু ও প্রায় ২০০ জন আহতের ঘটনা ঘটে। অপরদিকে এ সংঘর্ষ চলাকালে একটি গ্রুপ বোরহানউদ্দিনে ভাওয়াল বাড়িসহ হিন্দু পল্লীতে হামলা চালায়। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছে, বিপ্লব চন্দ্র শুভ নামে এক যুবকের ফেসবুক আইডি হ্যাক করে সেখান থেকে আল্লাহ ও মহানবীকে (স.) কটূক্তি করে বিভিন্ন জনের কাছে পাঠানো মেসেজকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়।