সম্প্রতি চাল আত্মসাতের বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসলে ওই ইউপি সদস্য কার্ডধারীকে কার্ডটি ফেরত দেন। চাল আত্মসাতের বিষয়টি ওই ইউপি সদস্য আব্দুর রহমান নিজেও স্বীকারও করেছেন।
মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউনের মধ্যে ঘরবন্দি মানুষের জন্য বরাদ্দকৃত খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি, ত্রাণ, ভিজিডিসহ বিভিন্ন বিষয় নিশ্চিত করতে যাচাই বাছাই শুরু করছে প্রশাসন। এসময় দুস্থদের খাদ্য সহায়তা না পাওয়ার বিভিন্ন অভিযোগ পাওয়া যায়। এরই মধ্যে ওই ইউপি সদস্যের চাল চুরির বিষয়টি জানা যায়।
কহিনুর বেগম নামে এক দুস্থ নারী জানান, ‘আমার স্বামী ১০ বছর ধরে পক্ষাঘাতগ্রস্ত, কাজ করতে পারে না। অভাব অনটনে সংসার চলে। ইউপি সদস্য আব্দুর রহমান আমার নামে একটি ভিজিডি চালের কার্ড করে দিতে চায়। এ বাবদ সে ২ হাজার টাকাও নেয়। পরে আমার নামে কার্ড হয়নি জানিয়ে সে টাকা ফেরত দিয়ে দেয়।’
তিনি অভিযোগ করেন, কয়েকদিন আগে আব্দুর রহমান আমাকে আমার নামে ১৫ মাস চাল ওঠানো একটি ভিজিডি কার্ড দিয়ে বলে ‘তুমি এ বারের মত আমারে বাাঁচাও। সামনে বছর তোমারে আবারো কার্ড করে দেব। তোমার চার আনাও লাগবে না।’
এদিকে ইউপি সদস্য আব্দুর রহমান চাল আত্মসাতের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, যে চাল নিয়েছি তা ফেরত দিয়ে দেব।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান জানান, ওই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে।