পরীক্ষার কিট সংকটের কারণে সকল রোগীর পরীক্ষা করানো সম্ভব হচ্ছে না। এতে অনেকেই পরীক্ষা ছাড়া সাধারণ জ্বরের চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রমতে, শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলায় নতুন ৩৪ জন রোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে জেলা হাসপাতালে ২৮ জন, সাটুরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫ জন ও সিংগাইর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন ভর্তি হন।
এছাড়া মুন্নু মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে ৩৬ রোগী শনাক্ত হয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করছেন। এই নিয়ে গত ১২ দিনে জেলায় মোট ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০৬ জনে।
এদের মধ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য ১২ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। চিকিৎসাসেবা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৩৫ জন। মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৫৯ জন।
চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা জানায়, জ্বর নিয়ে হাসপাতালে এসে ডেঙ্গু কিনা তা শনাক্তের পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় কিট ও রিএজেন্ট না থাকায় হাসপাতালের বাইরে গিয়ে প্রাইভেট প্যাথলজি সেন্টার থেকে পরীক্ষা করাতে হচ্ছে।
জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. লুৎফর রহমান জানান, প্রতিদিনই ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে শত শত রোগী ভিড় করছেন। এদের মধ্যে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়ে সন্দেহভাজনদের ডেঙ্গুর পরীক্ষা করানো হচ্ছে। বাকীদের সাধারণ জ্বরের চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে।
ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় কিটের সংকট রয়েছে স্বীকার করে তিনি বলেন, গত ৩১ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ১২০টি কিট পাঠানো হয়েছিল। শনিবারও ৫৪ জনের পরীক্ষা করানো হয়। গত তিন দিনে ডেঙ্গু পরীক্ষা শনাক্তের কাজে শতাধিক কিট ব্যবহার করা হয়েছে। বর্তমানে ২০টি কিট রয়েছে। আজকের মধ্যে এই ২০টি কিটও পরীক্ষার কাজে শেষ হয়ে যাবে।
ডা. লুৎফর রহমান বলেন, আরও কিট সরবরাহের জন্য এরই মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী কিট পাওয়া না গেলে পরীক্ষা করানো সম্ভব হবে না।
সিভিল সার্জন ডা. মো. আনোয়ারুল আমিন আখন্দ বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নেয়া ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের নিবিড়ভাবে চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে। ২৫০ শয্যার হাসপাতালে তিনটি আলাদা ওয়ার্ড খোলা হয়েছে। সার্বক্ষণিক চারজন চিকিৎসক তাদের মনিটরিং ও চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন। তবে আশংকাজনক হারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হতে পারে বলেও তিনি মনে করেন।