আহতরা হলেন- উপজেলা ত্রাণ শাখার অফিস সহায়ক ইলিয়াস হোসেন, উপজেলা তথ্য অফিসের অফিস সহায়ক ফরিদ মিয়া, ইউএনও’র গাড়ির চালক এনামুল হক ও নৈশপ্রহরী শাহ আলম। এদের মধ্যে ফরিদকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে সরকারি কাজে বাধা, মারধর ও সরকারি গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত এবং মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আইরিন আক্তারের নেতৃত্বে ইলিয়াস হোসেন, ফরিদ মিয়া, এনামুল হক ও শাহ আলম উপজেলার উত্তর তরা এলাকায় যান। সেখানে গিয়ে তারা জানতে পারেন, কেল্লা এলাকায় কালীগঙ্গা নদীতে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এরপর বিকালে ৫টার দিকে সেখানে গিয়ে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সন্ধ্যা ৬টার দিকে অবৈধ বালু ব্যবসায়ের সাথে জড়িত মো. শরিফ, খোরশেদ আলম, মো. টুটুল, মোহাম্মদ আলী ও সদর উপজেলার দিঘী ইউপি সদস্য আবদুল ওহাবসহ অর্ধশতাধিক মানুষ দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ওপর হামলা চালায়। এ সময় ইউএনও’র গাড়ি ভাঙচুর এবং তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়।
ইউএনও আইরিন আক্তার জানান, কালীগঙ্গা নদী থেকে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছিল। ভুক্তভোগী এলাকাবাসী এ বিষয়ে অভিযোগও করেছেন। মঙ্গলবার বিকালে কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) প্রকল্প পরিদর্শনের জন্য বানিয়াজুরী ইউনিয়নের কয়েকটি এলাকায় যান। এ সময় এক ব্যক্তি তাকে মুঠোফোনে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে মাটি উত্তোলনের বিষয়টি জানালে তিনি পাশের কেল্লাই এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় হামলার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে নৈশপ্রহরী শাহ আলম বাদী হয়ে শরিফ, খোরশেদ আলম, টুটুল, মোহাম্মদ আলী ও ইউপি সদস্য ওহাবসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন। মামলায় অজ্ঞাত আরও ৫০-৫৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। আসামিদের প্রেপ্তারে অভিযান চলছে।