বুধবার দুপুরে আসামির উপস্থিতিতে এই রায় দেন মানিকগঞ্জের নারী ও শিশু দমন ট্রাইবুন্যালের বিচারক মো. আলী হোসাইন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সাদ্দাম মিয়া মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বেগুন নারসি গ্রামের আহমেদ মিয়ার ছেলে। সে সাটুরিয়ার গোলড়া এলাকায় একটি পোল্ট্রি ফার্মের ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিল।
মামলার বিবরণের জানা যায়, সাদ্দাম মিয়ার সাথে স্কুল ছাত্রী মিমির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্পর্কের সুবাদে ২০১২ সালের ৮ নভেম্বর রাতে সাদ্দাম সাটুরিয়া উপজেলার গোলড়া গ্রামে মিমির বাড়িতে গিয়ে তার ঘরে ঢুকে মিমিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা এবং ওই ঘরে থাকা স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনার পরের দিন স্কুলছাত্রী মিমির বাবা সানোয়ার হোসেন বাদি হয়ে সাটুরিয়া থানায় মামলা করেন। এরপর সাদ্দামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ২০১৩ সালের ২ জুলাই পুলিশ চার্জশিট প্রদান করে। আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দীতে ধর্ষণের পর হত্যার কথা স্বীকার করে আসামি সাদ্দাম।
শুনানীর পর ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন শেষে বুধবার আসামি সাদ্দাম মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন বিচারক।
রাষ্ট্রপক্ষে এডভোকেট একেএম নুরুল হুদা রুবেল এবং আসামি পক্ষে এডভোকেট নজরুল ইসলাম বাদশা মামলা পরিচালনা করেন।