বুধবার পর্যন্ত এ জেলায় মোট ৭৯ জনকে এই ব্যবস্থায় রাখা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত মানিকগঞ্জে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
মানিকগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. আনোয়ারুল আমিন আখন্দ জানান, গত দুই দিনে মানিকগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় বিদেশফেরত ৭৯ জন ব্যক্তিকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তাদের শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ না থাকলেও বিদেশফেরত হওয়ার কারণে তাদেরকে নিজ নিজ বাড়িতে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও আক্রান্ত ব্যক্তিদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবা দিতে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালের পুরাতন ভবনের দোতলায় ১২ শয্যার নারী ও পুরুষের জন্য আলাদা দুটি করোনা আইসোলেশন ইউনিট চালু করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এছাড়াও জনসংখ্যা প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউশনের নতুন ভবনে কোয়ারেন্টাইন ইউনিট খোলা হয়েছে এবং সেখানেও ১০০ শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন আরও জানান, জেলায় প্রায় ১২০০ বিদেশ ফেরত ব্যক্তি রয়েছে। তারা সম্প্রতি ইতালি, চীন, দক্ষিণ আফ্রিকা, সৌদি আরব ও সিঙ্গাপুরফেরত। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ১১ সদস্য বিশিষ্ট জেলা কমিটিতে জেলা প্রশাসক সভাপতি ও তিনি (সিভিল সার্জন) সদস্য সচিব। এছাড়াও প্রতিটি উপজেলায় ইউএনওকে সভাপতি ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে সদস্য সচিবকে করে কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণে থাকা ব্যক্তিদের খোঁজ খবর নিচ্ছেন।