চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে রেল ও মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় ১২ জন নিহতের পর এবার গুরুতর আহত তাসমির হাসানও না ফেরার দেশে চলে গেল। শনিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এর আগে গত শুক্রবার আহত আয়াতুল ইসলাম আয়াত মারা গেছে। এ নিয়ে দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩ জনে দাঁড়াল।
মৃত তাসমির হাসান (১৬) উপজেলার চিকনদন্ডী আমানবাজার এলাকার মৃত মো. পারভেজের ছেলে এবং কে এস নজুমিয়াহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। তাছাড়া সে একই দুর্ঘটনায় নিহত মাইক্রোবাস চালক গোলাম মোস্তফা নিরুর ভাতিজা।
আরও পড়ুন: মিরসরাইয়ে ট্রেন দুর্ঘটনা: গেটম্যান সাময়িক বরখাস্ত, মামলা
চমেক হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের (আইসিইউ) চিকিৎসক ডা. হারুণ অর রশিদ বলেন, প্রথম থেকেই তাসফিরের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। তার মাথা আঘাত ছিল এবং ঘাড় ভেঙে যায়। বলতে গেলে পুরো শরীর প্রায় অবস হয়ে যায়। গত ৩১ জুলাই তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়। শনিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটে অফিসিয়ালি তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে।
নিহত তাসমির হাসানের চাচা মো. টিপু জানান, আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তাকে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হবে। রবিবার খন্দকিয়া ছমদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জানাযা অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: মিরসরাইয়ে ট্রেন দুর্ঘটনা: ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
গত ২৯ জুলাই মিরসরাই খৈয়াছড়া ঝর্ণা দেখে ফেরার পথে চলন্ত ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাস চালকসহ ১১ যুবক ঘটনাস্থলে নিহত হন। শুক্রবার দুপুর ২টায় চমেক চিকিৎসাধীন অবস্থায় আয়াত নামে এক শিক্ষার্থী মারা যায়। এই দুর্ঘটনায় হতাহতরা সবাই হাটহাজারীর বাসিন্দা এবং আর অ্যান্ড জে নামক একটি কোচিং সেন্টারের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী।