চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ট্রেন ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে ১১ জন নিহতের ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে।
পূর্বঞ্চলীয় রেলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) মো. আনছার আলীকে প্রধান করে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির সদস্যরা হলেন বিভাগীয় নির্বাহী প্রকৌশলী-১ আবদুল হামিদ, বিভাগীয় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার (লোকো) জাহিদ হাসান, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর কমান্ড্যান্ট রেজানুর রহমান এবং বিভাগীয় মেডিকেল অফিসার (ডিএমও) মো. আনোয়ার হোসেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) মো. আনছার আলী বলেন, এই দুর্ঘটনায় আমরাও মর্মাহত। ঘটনাটি কীভাবে ঘটেছে, দোষী কারা সে বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে। তবে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়ার নির্দিষ্ট কোনো সময় বেঁধে না দিলেও যত দ্রুত সম্ভব রিপোর্ট দাখিল করা হবে।
তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে তদন্ত কাজ শুরু করেছি। চেষ্টা করছি তিন-চার দিনের মধ্যেই দাখিল করা হবে। প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি ট্রেনটি বড়তাকিয়া ক্রস করার সময় লাইনে উঠে যায় মাইক্রোবাসটি। এ সময় ইঞ্জিনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসটি কিছু দূর চলে যায়। লেবেল ক্রসিংয়ের বাঁশ ঠেলে মাইক্রোবাসটি লাইনে ওঠে গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এদিকে ঘটনার পর পরই রেলের জি এম জাহাঙ্গীর হোসেনসহ রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ১১ আরোহী নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে মিরসরাই বড়তাকিয়া রেলস্টেশনের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ট্রেনটি ছিল ঢাকা থেকে চট্টগ্রামমুখী মহানগর প্রভাতী। খৈয়াছড়া ঝরণা স্পট থেকে ফেরার পথে ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসটিকে প্রায় এক কিলোমিটার ঠেলে নিয়ে যায়। এসময় ঘটনাস্থলেই ১১ জন মারা যান। আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। হতাহত সবাই মাইক্রোবাসের যাত্রী।