মুন্সীগঞ্জে মেঘনা নদী থেকে আরও দুইজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। জেলার গজারিয়া উপজেলায় বাল্কহেডের ধাক্কায় চালকসহ ১২ জনকে বহনকারী একটি ট্রলার নদীতে ডুবে যায়।
এ নিয়ে ট্রলারডুবির ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৩ জনে।
নিহতরা হলেন- গজারিয়া উপজেলার দক্ষিণ ফুলবি গ্রামের সাব্বির হোসেন (৩৬) ও জান্নাতুল সাবিহা (৮)।
এর আগে শনিবার সকালে নদী থেকে সুমনা আক্তার (২৬) নামে এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। সাব্বির সুমনার বোনের স্বামী এবং সাবিহা তার স্বামীর ভাইয়ের মেয়ে।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে ট্রলারডুবি: বাল্কহেডের মালিক-চালকসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার একই পরিবারের ৬ জন মেঘনা নদীতে একটি ট্রলারে করে বেড়াতে যান। একটি বাল্কহেড ট্রলারে ধাক্কা দেয়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ, মুন্সীগঞ্জ জোন) উপ-পরিচালক ওবায়দুল করিম বলেন, দুর্ঘটনার কিছুক্ষণ পর ট্রলার চালকসহ ৬ জনকে উদ্ধার করা হলেও পরিবারের ৬ সদস্য এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
তিনি বলেন, মুন্সীগঞ্জের চরঝাপটা ও চাঁদপুরের ষাটনল এলাকা থেকে যথাক্রমে সাব্বির ও সাবিহার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে ট্রলারডুবি: এখনও নিখোঁজ ৫
তিনি আরও বলেন, সুমনার মেয়ে জান্নাতুল মাওয়া (৬) ও জান্নাতুল ফেরদৌস (৪) এবং সাব্বিরের ছেলে ইমাদ হোসেন (৭) এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ'র এই কর্মকর্তা জানান, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বিভাগ, কোস্ট গার্ড, নৌবাহিনী ও নৌপুলিশের সহায়তায় নিখোঁজ শিশুদের সন্ধানে অভিযান চালানো হচ্ছে।
তবে ডুবে যাওয়া ট্রলারটির সন্ধান এখনও পাওয়া যায়নি এবং বাল্কহেডের পরিচয়ও জানা যায়নি।