মুন্সীগঞ্জের পদ্মার শাখা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবে যাওয়ার ১৫ ঘন্টা পর দুর্ঘটনাকবলিত ট্রলার উদ্ধার হয়েছে। তিন শিশু এখনো নিখোঁজ রয়েছে। তাদের খোঁজে যৌথ অভিযান চলছে।
এদিকে রবিবার (৬ আগস্ট) বিকালে এই ঘটনায় বাল্কহেডের মালিক ও চালকসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে লৌহজং থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী রুবেল শেখ।
তবে পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
নিখোঁজেরা হলেন- সিরাজদিখান উপজেলার খিদিরপুর গ্রামের রুবেল শেখের ছেলে মাহিম শেখ (৭), কয়রাখোলা গ্রামের আরিফ শেখের ছেলে তুরান আহমেদ (৮) ও কন্যা নাভা আক্তার (৫)।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব জানান,
থানায় মামলা হলেও জলপথে দুর্ঘটনার কারণে মামলার তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে নৌপুলিশ।
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার রসকাঠির কাছে পদ্মার শাখা নদীতে বালুর জাহাজের ধাক্কায় ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজের সন্ধানে চলছে যৌথ অভিযান।
বিআইডব্লিউটিএ প্রথমে এয়ার লিফটিং ব্যাগ ব্যবহারে করে ডুবে যাওয়া ট্রলার উদ্ধারে চেষ্টা চালায়। সাথে স্থানীয় চেইন কপ্পা পদ্ধতি যুক্ত করেও সফল হয়নি।
সবশেষে সম্পৃক্ত করা হয় ভাসমান ক্রেন। বেসরকারি ভাসমান ক্রেনই প্রায় ১২ ফুট পানির গভীর থেকে টেনে তোলে ট্রলারটব।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে ট্রলারডুবি: এখনও নিখোঁজ ৫
আর কোস্টগার্ড ও ফাযার সার্ভিসের ডুবুরিরা দুর্ঘটনার আশাপাশের নিখোঁজের সন্ধানে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রশাসন জানিয়েছে, ৪৬ জন যাত্রী নিয়ে শনিবার সন্ধ্যা রাতে ডুবে যাওয়া ট্রলার থেকে ৭ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে।
সিরাজদিখান উপজেলার খেতেরপুর থেকে পিকনিকের ট্রলারটি পদ্মা সেতু এলাকা ঘুরে ফিরছিল।
দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটনে জেলা প্রশাসন ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি
কাজ শুরু করেছে৷ তদন্ত কমিটির প্রধান শারমিন আরা জানান, সকল সদস্যদের নিয়ে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন।
বালু বহনকারী ঘাতক বাল্কহেডটিও জব্দ করা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ এর উপপরিচালক ওবায়দুল করিম খান জানান, দুর্ঘটনা কবলিত ট্রলারটি প্রায় ৭৫ ফুট দীর্ঘ। এর ওজন প্রায় ৭ মেট্রিক টন।
লৌহজং উপজেলার নির্বাহী অফিসার ডা. আব্দুল আউয়াল বলেন , ডুবে যাওয়া ট্রলারে থাকা ৪৬ জনের মধ্যে ৩৬ জনই জীবিত উদ্ধার হন। আর এ পর্যন্ত ৭ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে তিন শিশু।