বাঙ্গরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আটক সাতজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কোরবানপুর জিএম উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. মাহবুবুর রহমান, পাক দেওরা গ্রামের আবু নাঈম, বিল্লাল হোসেন, ইকবাল হোসেন, খোশঘর গ্রামের আলী নূর, নসু মিয়া, খৈয়াখালী গ্রামের শাকিল মিয়া।
এর আগে, রবিবার সহিংসতার স্থল থেকে আরও পাঁচজনকে আটক করে বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশ। তাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সহিংসতার ঘটনায় এ পর্যন্ত দায়ের করা মোট চারটি মামলায় ১১৮২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে মামলা দায়ের করেন কোরবানপুর গ্রামের ভারতী দেবনাথ। এতে অজ্ঞাতনামা ১৭০ জনকে আসামি করা হয়। সোমবার অন্য তিনটি মামলা দায়ের করেন যথাক্রমে স্থানীয় কোরবানপুর গ্রামের সন্দীপ, লিটন ও পূর্ব ধইর ইউপি চেয়ারম্যান বন কুমার শিব।
আন্দিকুটের ১৪৪ ধারা তুলে নেয়া হলেও সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
উল্লেখ্য, শনিবার মহানবীকে (সা.) ব্যঙ্গ করে কোরবানপুর ও আন্দিকুটের দুজন ব্যক্তি স্ট্যাটাস দিয়েছেন গুজব ছড়িয়ে পড়লে কোরবানপুরে বিক্ষোভ শুরু হয়। ওইদিন বিকালে বাঙ্গরা বাজার থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন কোরবানপুরের ধন মিয়া নামের এক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য।
ওইদিন রাতেই দুই অভিযুক্ত কোরবানপুর গ্রামের রায় মোহন দেবনাথের ছেলে স্থানীয় ব্লু বার্ড কিন্ডারগার্টেনের প্রধান শিক্ষক শংকর দেবনাথ ও আন্দিকুট গ্রামের জীবন ভৌমিকের ছেলে অনিক ভৌমিককে আটক করে।
ঘটনার পর দিন রবিবার বিকালে কোরবানপুর বাজারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মসজিদের ইমামদের নিয়ে এ ঘটনার সুষ্ঠু সমাধানে সভা শুরু হয়। সভা চলাকালে শিক্ষক শংকর দেবনাথের বাড়িতে আগুন দেয় একদল লোক।
এরপর কোরবানপুরের সাবেক চেয়ারম্যান বেণু ভূষণ শিবের স্মরণে তৈরি ভোজনালয়, মণিলালের বাড়ি, সূধন শিবের বাড়ি ও চেয়ারম্যান বন কুমার শিবের বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে তারা।
এ সময় বাড়িতে রাখা স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা লুট করা হয় বলে দাবি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের।