সাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে আবারও উপকূলীয় দ্বীপজেলা ভোলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। শনিবার মেঘনার পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এর ফলে ভোলার রাজাপুর ইউনিয়নের কমপক্ষে আটটি গ্রাম প্লাবিত হয়ে প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। মেঘনার অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে সকাল বিকাল দুই বেলা ভাসছে ওই এলাকার মানুষ। গত চারদিন ধরে জোয়ারের পানিতে ১৯ ছাগল মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ভোলার রাজাপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য হেলাল উদ্দিন জানান, গত কয়েক দিনের অতি জোয়ারের পানিতে তাদের ইউনিয়নের ৩ নং সামপুর, দাইয়া, মেদুয়া, কন্দকপুর, ৪নং ওয়ার্ড, চর মনোশা একাংশ ও মধ্য সামপুর গ্রাম সকাল ও বিকালে দুই বেলা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়। বাঁধের ভিতরে ও বাইয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে করে ৩ থেকে ৪ ফুট পানিতে প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। মানুষের দুর্ভোগ এখন চরম আকার ধারণ করেছে।
স্থানীয়রা জানান, বহু মানুষের আমন ধানের জালা খেত নষ্ট হয়ে গেছে। রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে মানুষের ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। অসংখ্য পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। গবাদি পশু মারা যাচ্ছে।
সূত্র জানায়, রাজাপুর ইউনিয়নে রনি মাতাব্বরের ছয়টি, করিমের আটটি, বাহাউদ্দিননে তিনটি, রেজাউলের দুটি ছাগাল মারা গেছে। এছাড়াও বহু ছাগল অসুস্থ হয়ে পড়েছে। মাঝের চর, মদপুরসহ চরাঞ্চল জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান জানান, ভোলায় মেঘনার পানি শনিবার বিপদসীমার ৯৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রভাহিত হচ্ছে। তবে বেড়ি বাঁধ ভেঙে বা উপচে কোথাও পানি প্রবেশের ঘটনা ঘটেনি।