এ লক্ষ্যে রবিবার জরুরি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়েছে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে ফলপ্রত্যাশীদের মোবাইল নম্বর জমা দেয়ার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
করোনাভাইরাসের প্রভাবে নয়, ফলাফল দ্রুততম সময়ে পৌঁছে দিতে ও ভোগান্তি কমাতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক।
যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মাধবচন্দ্র রুদ্র জানান, প্রতিবছরই এপ্রিলের শেষ বা মে মাসের প্রথম সপ্তাহে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এবছরও সে লক্ষ্য নিয়ে কাজ চলছে। তবে করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রভাবে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় পরীক্ষার্থীদের খাতা মূল্যায়ন শেষে শিক্ষকদের কাছ থেকে তা এখনও ফেরত আনা সম্ভব হয়নি। ফলে পেছাতে পারে ফলাফল প্রকাশের সময়।
তিনি আরও বলেন, দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরলেই ফলাফল প্রকাশ করা হবে। তবে রবিবার এসএসসির ফলাফল মোবাইলে দেয়ার যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছে, এর সাথে করোনা-পরিস্থিতির কোনো সম্পর্ক নেই।
‘আমরা ফলাফল দ্রুত ও ভোগান্তি ছাড়া শিক্ষার্থী এবং তার অভিভাবকদের কাছে পৌঁছে দিতে এমন উদ্যোগ নিয়েছি। এর ফলে পূর্বের নিয়মানুযায়ী বিদ্যালয়ে বিদ্যালয়ে ফলাফলও ঘোষণা হবে এবং পরীক্ষার্থীর অভিভাবকের মোবাইলেও তা চলে যাবে। এতে বোর্ডের কিছুটা আর্থিক খরচ বাড়লেও ফলপ্রত্যাশীদের দৌড়াদৌড়ি কমে যাবে,’ তিনি যোগ করেন।
তিনি আরও বলেন, বিদ্যালয়প্রধানরা তাদের স্ব-স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ফলপ্রত্যাশীদের অভিভাবকের মোবাইল নম্বর বোর্ডের ওয়েবসাইটে নির্ধারিত ফরমে পূরণ করে দেবেন। আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে তারা এ কাজ সম্পন্ন করবেন এবং এবছরই এসএসসির ফলাফল বিদ্যালয়ে বিদ্যালয়ে প্রকাশের পাশাপাশি অভিভাবকের মোবাইল নম্বরে পাঠানো হবে।
এ বিষয়ে যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মোল্লা আমীর হোসেন জানান, করোনাভাইরাসের কারণে সরকার জনসমাগম এড়িয়ে চলতে নির্দেশনা দিয়েছে। সেই সাথে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বলেছে। কিন্তু ফলাফল প্রকাশের পর বিদ্যালয়গুলোতে ফলপ্রত্যাশী ও অভিভাবকদের ভিড় লেগে যায়। জনসমাগম এড়াতে ও ভোগান্তি ছাড়া দ্রুততম সময়ে ফল পৌঁছে দিতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমানে মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটকে এসএমএস করে ফলাফল পাওয়া যায়। কিন্তু চাপের কারণে তা বিলম্বিত হয়। ফলে বোর্ড নিজে থেকে মোবাইল নম্বরে ফলাফল দিয়ে দেবে, যাতে বিষয়টি আরও সহজ হয়।
‘বোর্ডের এমন উদ্যোগে শিক্ষকরা খুশি হয়েছেন। তারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মোবাইল নম্বর পৌঁছে দেয়ার অঙ্গীকার করেছেন। এছাড়া বিষয়টি শিক্ষা সচিব মহোদয়কে জানানো হয়েছে। তিনি এমন উদ্যোগ নেয়ায় সাধুবাদ জানিয়েছেন,’ যোগ করেন বোর্ড চেয়ারম্যান ।