দ্বিতীয় ধাপে চট্টগ্রাম থেকে নৌবাহিনীর পাঁচটি জাহাজে করে এক হাজার ১৩৪ জন রোহিঙ্গাকে স্থানান্তর করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গার নৌবাহিনীর জেটি থেকে প্রথম জাহাজটি ছেড়ে যায়। এরপর ধাপে ধাপে আরও চারটি জাহাজ ভাসানচরের পথে ছেড়ে যায়।
আরও পড়ুন: 'আলহামদুলিল্লাহ, ভাসানচরের সুযোগ-সুবিধায় সন্তুষ্ট’: এক রোহিঙ্গার অনুভূতি
এর আগে, সোমবার রাতে কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্প থেকে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়ার জন্য বাসে করে রোহিঙ্গাদের চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়। রাতে তাদের রাখা হয় চট্টগ্রাম বিএএফ শাহীন কলেজ মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্পে।
ভাসানচরের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে প্রথম যাত্রায় রোহিঙ্গাদের অনেক বোঝাতে হয়েছিল। কিন্তু এবার উল্টো চিত্র দেখা গেছে। রোহিঙ্গারা ভাসানচরে যেতে এবার নিজেরাই তালিকায় নাম লিখিয়েছেন। গত ৪ ডিসেম্বর যাদের আত্মীয়-স্বজন ভাসানচরে গেছেন তাদের কাছে সুযোগ-সুবিধার খবর শুনে অনেকেই সেখানে যেতে ইচ্ছা পোষণ করেছেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরে উদ্বেগের কিছু নেই, জাতিসংঘকে জানাল বাংলাদেশ
সূত্র জানায়, উখিয়া ও টেকনাফের তালিকাভুক্ত (রেজিস্টার) ক্যাম্প ছাড়া বাকি সব ক্যাম্প থেকেই এবার রোহিঙ্গারা ভাসানচর যাচ্ছেন। উখিয়ার কুতুপালং-১, ২, ৩, ৪, ৫, ৮ ডব্লিউ ক্যাম্প থেকেও যাচ্ছে অনেক রোহিঙ্গা পরিবার। উখিয়ার কুতুপালং-৪ নম্বর ক্যাম্প থেকে ২৭ ও কুতুপালং-২ ডব্লিউ থেকে ২৪টি পরিবার ভাসানচরে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা স্থানান্তরকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা না করতে ঢাকার আহ্বান
ভাসান চর আশ্রয়ণ প্রকল্পের পরিচালক কমডোর আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী জানান, দ্বিতীয় দফায় ১৭০০ বেশি রোহিঙ্গাকে স্থানান্তর করা হচ্ছে। নৌবাহিনীর কয়েকটি জাহাজে করে আজ তাদের ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
জানা গেছে, কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি রোহিঙ্গা শিবির থেকে স্বেচ্ছায় ভাসানচর যেতে ইচ্ছুক এমন রোহিঙ্গা পরিবারগুলোকে উখিয়া কুতুপালং অস্থায়ী প্রত্যাবাসন ক্যাম্পে সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে নিবন্ধন করা হয়। সেখান থেকে এসব রোহিঙ্গাদের কয়েকটি গ্রুপে ভাগ করে চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের সহায়তায় বিশ্বব্যাংকের সাথে ১০ কোটি ডলারের অনুদান চুক্তি
প্রসঙ্গত, গেল ৪ ডিসেম্বর নারী-পুরুষ-শিশু মিলিয়ে প্রথমবার মোট এক হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভাসানচরের উদ্দেশ্যে রোহিঙ্গাদের দ্বিতীয় গাড়ি বহর চট্টগ্রামে