অভিযুক্ত সামিউল ইসলাম (৩৬) নগরকান্দা উপজেলা সদরে অবস্থিত ‘এস আলী মাল্টিমিডিয়া প্রি ক্যাডেট স্কুল’-এর পরিচালক। তিনি নগরকান্দার কোদালীয়া শহীদনগর ইউনিয়নের ছাগলদী গ্রামের বাসিন্দা।
বৃহস্পতিবার রাতে শিক্ষিকা নিজে বাদী হয়ে নগরকান্দা থানায় এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দেয়ার পর থানায় মামলা হয়েছে। ওই শিক্ষিকার শারীরিক পরীক্ষার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, ওই শিক্ষিকার (২৫) সঙ্গে স্কুলের পরিচালক সামিউল ইসলামের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে বিয়ের আশ্বাসে শিক্ষিকার সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন তিনি। ওই শিক্ষিকা অবিবাহিতা এবং স্কুলের পরিচালকের স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী হাকিম ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. বদরুদ্দোজা শুভরবরাবর অভিযোগ করেন ওই শিক্ষিকা। অভিযোগের ধারা গুরুতর হওয়ায় এবং এর সাজা ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচার বহির্ভূত হওয়ায় স্কুলের ওই পরিচালককে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে থানায় সোপর্দ করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের হাকিম।
ইউএনও মো. বদরুদ্দোজা শুভ বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করার সময় ওই শিক্ষিকার মা এবং স্কুলের পরিচালক সামিউল উপস্থিত ছিলেন।
নগরকান্দা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সজিবুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার রাতেই শিক্ষিকা নগরকান্দা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী) ২০০৩ আইনের ৯ এর ১ ধারায় ধর্ষণের মামলা হয়েছে।
নগরকান্দা থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, ওই শিক্ষিকার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।