সকালে শিমুলিয়ায় গিয়ে দেখা যায়, ফেরিতে করে কাঁঠালবাড়ি ঘাট হতে শত শত লোক শিমুলিয়া ঘাটে আসছেন। অল্প সংখ্যক গাড়ি থাকা ফেরিতে শত শত লোক ঘেঁষাঘেঁষি করে দাঁড়িয়ে পদ্মা পার হচ্ছেন। এমনকি ফেরির সিঁড়িতেও মানুষ আর মানুষ।
তারা সবাই ছিলেন ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে ফেরার যাত্রী। কিন্তু সড়কে দূরপাল্লার যান না থাকায় ভেঙে ভেঙে যেতে হয় তাদের। এতে পরিবার পরিজন নিয়ে তাদের যেমন দুর্ভোগ পোহাতে হয় তেমনি ভাড়াও গুণতে হয় কয়েকগুণ বেশি।
মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ কবির হোসেন বলেন, ‘মনে হয় লোকজন দীর্ঘদিন এক জায়গায় আটকা থেকে অধৈর্য হয়ে পড়েছেন। করোনাভাইরাসকে তারা এখন আর ভয় পাচ্ছেন না। কর্মস্থলে ফিরতে সবাই এখন উদগ্রীব হয়ে পড়েছেন। তাছাড়া লোকজনের হাতে টাকা পয়সা কমে যাওয়ায় তারা এখন হয়তো কাজ কর্মে যোগ দিতে চায়। তাই ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন এ নৌপথ দিয়ে শত শত লোক ঢাকাসহ আশপাশের জেলাগুলোতে ফিরছেন। আজ সকাল থেকেও ছিল মানুষের ঢল। ফেরিগুলোতে যেন তিল ধারণের জায়গা ছিল না।’
মাওয়া ট্রাফিক জোনের টিআই হিলাল উদ্দিন জানান, ‘সকাল থেকে ১০টি ফেরি চলাচল করেছে। প্রতিটি ফেরিতে ছিল মানুষ আর মানুষ।’