তবে শেরপুর জেলা পুলিশ রীতিমতো উৎসব করে কৃষকের ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছানো এমনকি মাড়াই করে গোলায় তুলে দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে শেরপুর সদরের বাজিতখিলা ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামের কৃষক ছামেদুল হকের ৪০ শতক জমির ধান কেটে এ ধানকাটা উৎসবের উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম।
বিকালে নকলার উরফা ইউনিয়নের বারমাইসা গ্রামেও একইভাবে কৃষক আবু রায়হানের ৬৫ শতক জমির পাকা ধান কাটা হয়। এ ধানকাটা উৎসবে পুলিশ সদস্যদের সাথে অংশ নেয় স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে গড়া স্টুডেন্ট কমিউিনিটি পুলিশিং কমিটির সদস্যরা।
পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবীরা ধান কেটে দেওয়ায় খুশি হয়ে ষাটোর্ধ্ব কৃষক ছামেদুল হক বলেন, ‘বোরো ধান আবাদে জমানো সব টাকা খরচ হয়ে গিয়েছিল। হাতে তেমন টাকা ছিল না। তার উপর শ্রমিকের অভাব। এর ফলে ধান কাটা সম্ভব হচ্ছিলো না। বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশসহ ছাত্র ভাইয়েরা পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। এই ধান কাটতে আমার অন্তত ১২ হাজার টাকা খরচ হতো। আমি এই টাকা বাঁচলাম। এজন্য তাদের অনেক ধন্যবাদ জানাই।’
ধান কাটা উৎসবের উদ্বোধন করে পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম বলেন, ‘লকডাউনের কারণে শ্রমিক সংকটে অনেক কৃষকই ধান কাটতে পারছেন না। অসহায় কৃষকদের মানসিকভাবে মনোবল চাঙ্গা রাখতে জেলা পুলিশের উদ্যোগে পুলিশ সদস্যসহ স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কৃষকের বোরো ধান কেটে দিচ্ছেন।’
‘যখনই যে কৃষক ধান কাটা সমস্যায় পড়বেন, তাৎক্ষণিক জেলা পুলিশকে জানালে তার ধান কেটে দেওয়া হবে,’ যোগ করেন তিনি।
পুলিশের সাথে ধান কাটায় অংশ নেওয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা বলেন, ‘আমরা ছাত্রলীগের সদস্যদের নিয়ে শহর থেকে শুরু করে পাড়া-মহল্লায় জেলা পুলিশের সাথে মিলে স্টুডেন্ট কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছি।’
জেলা পুলিশের এ ধানকাটা উৎসবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, জেলা পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদকসহ অর্ধশতাধিক স্বেচ্ছাসেবক অংশ নেন।