গ্রাম বাংলা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে বাঙালির হাজার বছরের প্রাচীনতম উৎসব নবান্ন। এ উৎসবকে আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে শেরপুর নালিতাবাড়ী উপজেলায় সেঁজুতি বিদ্যা নিকেতনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাঙালির প্রাণের নবান্ন উৎসব।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) সকাল ১০টায় নবান্নকে স্বাগত জানিয়ে শহরের সেঁজুতি অঙ্গন থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে। পরে সেজুতি বিদ্যা নিকেতন প্রঙ্গণে মাটির উনুনে রাখা পাতিলের ঢাকনা উঠিয়ে নবান্ন উৎসবের অনুষ্ঠানের শুভারম্ভ করেন রাজনীতিক সরকার গোলাম ফারুক।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় ধান কেটে ও বাহারি পিঠা দিয়ে নবান্ন উৎসবের উদ্বোধন
তিনি বলেন, নবান্ন উৎসব হলো অসাম্প্রদায়িক উৎসব। অগ্রহায়ণ মাসে কৃষকের নতুন বার্তা নিয়ে আমন ধানের আগমন। এ উৎসব বাঙালি জাতিকে ঐক্য, ভ্রাতৃত্ব ও আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ করে। নবান্ন আলোচনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আক্তারুজ্জামানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জয়জিৎ দত্ত শ্যামল, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কলেজের প্রভাষক স্বপ্না চক্রবর্তী, কৃষক ইসমাইল সিরাজী, সাংবাদিক শাহাদত তালুকদার প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জয়জিৎ দত্ত শ্যামল বলেন, নবান্ন উৎসব একটি উদার, সর্বজনীন ও অসাম্প্রদায়িক এবং গ্রামীণ মানুষের উৎসব। খেটে খাওয়া মানুষের উৎসব। প্রতি বছর সেঁজুতি বিদ্যা নিকেতন এই উৎসবের আয়োজন করার জন্য অধ্যক্ষ মুনীরুজ্জামানসহ আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: নানা আয়োজনে সারাদেশে ‘নবান্ন উৎসব’ চলছে