বুধবার হাটহাজারী পৌর এলাকার কাঁচাবাজার থেকে হত্যাকারী মো. কোরবান আলি প্রকাশ বেলালকে (২৮) গ্রেপ্তার করার পর আজ বৃহস্পতিবার তিনি পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডের বিবরণ দিয়েছেন।
বেলাল ফটিকছড়ি থানার মানিকপুর এলাকার মাইজপাড়া গ্রামের বদিউল মেম্বারের বাড়ির বদিউল আলমের পুত্র। তিনি ফতেয়াবাদ এলাকার চৌধুরীহাটের পশ্চিমে কুতুব চৌধুরী বাড়ির জামসেদের বাসায় ভাড়ায় থাকেন।
হত্যাকাণ্ডের শিকার আরিফের বাড়ি ফটিকছড়ি বলে জানা গেলেও বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেলালের অত্যাচারে তার স্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে তার বাবার বাড়িতে অবস্থান করছেন। অত্যাচারের কারণে তিনি বেলালের বাসায় আসতে রাজি ছিলেন না। স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে বেলাল অনেক চেষ্টার পরও ব্যর্থ হয়। পরে সে কিশোর আরিফকে হত্যা করে তার দায় শ্বশুরবাড়ির লোকদের অর্থাৎ ওপর চাপানোর পরিকল্পনা করে।
পরিকল্পনামতে বেলাল কিশোর আরিফকে শ্বশুরবাড়িতে দাওয়াত খাওয়ার কথা বলে ফুসলিয়ে শ্বশুরবাড়ির কাছে ধলই ইউনিয়নের সফিনগর এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে একটা বিলের মাঝে আরিফকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ পার্শ্ববর্তী ধানক্ষেতে ফেলে রাখে।
গত ২১ সেপ্টেম্বর গরুর জন্য ঘাস কাটতে গেলে এক ব্যক্তি লাশটি দেখতে পেয়ে স্থানীয় মেম্বারের মাধ্যমে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ অজ্ঞাতনামা লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। লাশ অর্ধগলিত এবং মুখমণ্ডল বিকৃত ছিল। তবে লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল তৈরি করার সময় পুলিশ ধারণা করেছিল এটি হত্যাকাণ্ড।
পরে পুলিশ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করে। এ ঘটনার তদন্তে নেমে হাটহাজারী থানা পুলিশের একটি টিম হাটহাজারী পৌর এলাকার কাঁচাবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে বেলালকে গ্রেপ্তার করে।
বুধবার রাতে জিজ্ঞাসাবাদে বেলাল হত্যার কথা স্বীকার করার পর জব্দ করা হয় হত্যায় ব্যবহৃত ধারাল দা।
হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর বলেন, ‘বেলাল হত্যার দায় স্বীকার করেছে। শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে ফাঁসাতেই সে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। নিহত আরিফের বিস্তারিত পরিচয় শনাক্তে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তবে তার বাড়ি ফটিকছড়ির ভুজপর এতটুকু জানতে পেরেছি।’