বুধবার ভোর ৪টার দিকে যশোরের কেশবপুর উপজেলার সরফাবাদ ও বাজিতপুর গ্রামের নিজ নিজ বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার যুবকরা হলেন- কেশবপুরের সরফাবাদ গ্রামের আজিজ মোড়লের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (২৭), একই গ্রামের মৃত জোহর আলী মোড়লের ছেলে নোরিম মোড়ল (৭৮) ও একই উপজেলার বাজিতপুর গ্রামের শওকত আলীর ছেলে আজগর হোসেন (২৬)।
দুপুরে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, শাহীনকে গুরুতর আহত করে ভ্যান ছিনিয়ে নেয়ার প্রধান হোতা নাঈমুলকে সোমবার গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে সে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দীতে ওই তিন আসামিদের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয়।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইলতুৎমিশের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল বুধবার ভোরে তাদের গ্রেপ্তার করেন।
এ মামলার অভিযোগপত্র আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আদালতে দাখিল হবে বলেও জানান পুলিশ সুপার।
উল্লেখ্য, গত ২৮ জুন যশোরের কেশবপুর উপজেলার মঙ্গলকোট গ্রামের হায়দার আলী মোড়লের ছেলে কিশোর শাহীন ভ্যান চালাতে বের হয়। এ সময় তার ভ্যানে কয়েকজন যাত্রীবেশী ছিনতাইকারী তাকে নিয়ে কলারোয়া রওনা দেয়। পথিমধ্যে ধানদিয়া গ্রামে পৌঁছালে যাত্রীবেশী ওই দুর্বৃত্তরা শাহীনকে গুরুতর আহত করে ভ্যানটি নিয়ে পালিয়ে যায়।
বর্তমানে শাহীন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এই ঘটনায় শাহীনের পিতা হায়দার আলী বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলায় এ পর্যন্ত ছয় জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।