নদ-নদীর পানি ধীর গতিতে নামার কারণে তলিয়ে যাওয়া লোকালয় থেকেও পানি নামছে ধীরে। ফলে বানভাসি মানুষের দুর্ভোগ কমছে না।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কন্ট্রোল রুম সূত্র জানায়, বুধবার দুপুর ১২টায় সুরমার পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপদ সীমার ৬২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। আর কুশিয়ারার পানি আমলশীদ পয়েন্টে ৩০ ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ৪৭ সেন্টিমিটার ওপরে ছিল।
এছাড়া সুরমা, কুশিয়ারা, সারি ও লোভার বাকি সবকটি পয়েন্টে পানি বিপদ সীমার বেশ কয়েক সেন্টিমিটার নিচ দিয়েই প্রবাহিত হচ্ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কানাইঘাটে ৬২ মিলিমিটার, সিলেটে ১৭ মিলিমিটার এবং শেওলায় ২৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আত্রাই নদীর পানি বিপদসীমার ১৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত
বুধবার সকাল থেকে বৃষ্টিপাত না থাকায় উঁচু এলাকা থেকে বন্যার পানি নামতে শুরু করে। তবে নিচু এলাকায় বন্যার পানি স্থিতিশীল রয়েছে। কিছু এলাকায় রাস্তাঘাট পানির নিচে থাকায় এখনও যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এদিকে, জনসাধারণের মধ্যে বিশুদ্ধ পানির অভাব তীব্র আকার ধারণ করেছে। গোখাদ্য সংকটও দেখা দিয়েছে। শুকনো খাবার না থাকায় ত্রাণের অপেক্ষায় রয়েছেন দুর্গত এলাকার মানুষ। অবশ্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পানিবন্দী মানুষের মাঝে ত্রাণ সহায়তা বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
এ পর্যন্ত বন্যাকবলিত ৩৭ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ২২০ মেট্রিক টন চাল, নগদ ৫ লাখ টাকা ও সহস্রাধিক প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
জেলায় নদীর পানি কমলেও ১৯-২০ জুলাই নাগাদ ভারী বর্ষণসহ আরেক দফা বন্যার আশঙ্কা রয়েছে বলে পূর্ভাবাসে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।