বুধবার ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. ময়নুল হক জানান, মঙ্গলবার সিলেট বিভাগের ৪টি জেলা থেকে ১১৬টি নমুনা পরীক্ষার জন্য আসে ওসমানীর ল্যাবে। প্রথম দিনে নমুনা পরীক্ষা করা হয় ৯৪টি। এসব নমুনার প্রত্যেকটির ফলাফলই ‘নেগেটিভ’ এসেছে। অর্থাৎ তারা কেউই করোনায় আক্রান্ত নন।
সিলেটে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্তকরণ কমিটির চেয়ারম্যান ডা. ময়নুল হক জানান, বুধবার সকাল থেকে ল্যাবে আরও ৭৩টি নমুনা পরীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, ওসমানী মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় তলার অণুজীববিজ্ঞান (মাইক্রোবায়োলজি ও ভাইরোলজি) বিভাগে স্থাপিত ল্যাবে চলছে পরীক্ষার কাজ।
প্রবাসীবহুল সিলেট অঞ্চল করোনা সংক্রমণের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ধরা হলেও এখানে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ পরীক্ষার সুযোগ ছিল না। এতে ক্ষোভ ছিল এই অঞ্চলের মানুষদের মধ্যে।
গত ১ এপ্রিল সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পিসিআরসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আনা হয়। মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি ও ভাইরোলজি ল্যাবকে পিসিআর মেশিন স্থাপনের জন্য প্রস্তুত করা হয়।
এদিকে গত ৫ এপ্রিল সিলেটে প্রথম কোনো ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। পেশায় চিকিৎসক ওই ব্যক্তি ওসমানী হাসপাতালেই কর্মরত ছিলেন। এছাড়া বিভাগের মৌলভীবাজারের রাজনগরে মারা যাওয়া এক ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, করোনা পরীক্ষার জন্য ল্যাবে মেডিকেল কলেজের ৪ জন অধ্যাপক ও ১০ জন টেকনিশিয়ান প্রতিদিন কাজ করছেন। এই পরীক্ষা করাতে কোনো ফি নেয়া হবে না। তবে এই পরীক্ষা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত নয়। চিকিৎসকরা যাদের পরীক্ষার প্রয়োজন মনে করবেন এবং সিলেট বিভাগের ৪টি জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে যে নমুনাগুলো আসবে সেগুলো এখানে পরীক্ষা করা হবে।