ঢাকায় পরীক্ষাগারে সকল পরীক্ষার প্রতিবেদন দেখে তার শরীরে করোনাভাইরাস নেই বলে জানা গেছে। রবিবার সিলেটে আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রতিবেদন আসবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
শনিবার রাতে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় জানান, সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) গত বৃহস্পতিবার ওই রোগীর রক্তের নমুনা ঢাকায় নিয়ে গিয়েছিল। শনিবার তারা মৌখিকভাবে জানিয়েছেন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় রোগীর শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। রবিবার তারা এ সংক্রান্ত লিখিত প্রতিবেদন পাঠাবে।
একই সাথে রবিবার তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হবে বলেও জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে তার আগে তাকে আরেকবার পরীক্ষা- নিরীক্ষা করা হবে। অন্য কোনো সমস্যা থাকলে তাকে চিকিৎসা দেয়া হতে পারে। সেজন্য হয়তো আরও কয়েকদিন হাসপাতালে রাখা হতে পারে।
সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মণ্ডল বলেন, কানাইঘাটের ওই যুবকের অবস্থা আগের চাইতে একটু ভালো। এখন তিনি ঘন ঘন কাশি দিচ্ছেন না এবং জ্বরের মাত্রাও একটু কম।
আরও পড়ুন : করোনাভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে সিলেটে প্রবাসীকে হাসপাতালে ভর্তি
প্রসঙ্গত, সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সুতারগ্রামের হাফিজ আলী হোসেনের ছেলে দুবাই প্রবাসী জাকারিয়া (৩২) ‘করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে’ গত বুধবার থেকে সিলেটের শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। জাকারিয়া দুবাইয়ের একটি আবাসিক হোটেল ও রেস্টুরেন্টে কাজ করতেন। সেই হোটেলের সবচেয়ে বেশি কাস্টমার ছিল চীনের নাগরিক। দুবাই থাকাকালীন জাকারিয়ার শরীরে জ্বর উঠে। সেখানে চিকিৎসাও করান। অবস্থার তেমন উন্নতি না হওয়ায় তিনি দুবাই থেকে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি দেশে চলে আসেন। দেশে আসার পরও তার শরীরের জ্বর ও কাশি কমেনি। তাই সিলেটের বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হন। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি।
পরে গত ৪ মার্চ বুধবার তিনি এসব উপসর্গ নিয়ে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। চিকিৎসকরা তখন সমস্যাগুলো শুনেন। যেগুলো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর লক্ষণের সাথে মিল থাকায় চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় যেতে বলেন। কিন্তু তিনি ঢাকায় যেতে না চাওয়ায় তাকে সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।