সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, ক্ষতিগ্রস্ত সব জায়গায় শিগগিরই বিদ্যুৎ সরবরাহ করার সম্ভাবনা কম।
বিদ্যুৎ ব্যবস্থার বিপর্যয়ে বিপাকে পড়েছেন লোকজন। বিশেষ করে পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বিভিন্ন বাসাবাড়ি ও হাসপাতালে রোগীরা পড়েছেন বিপাকে। সেই সাথে অফিস আদালতের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
জিন্দাবাজারের ব্যবসায়ী রাসেল আহমদ বলেন, ‘বিদ্যুৎ না থাকায় শহরে মানুষ কমে গেছে। এ রকম নগরী আমার জীবনে দেখিনি। বিদ্যুৎ কখন আসবে তা নিয়ে চিন্তায় আছি। বাসা থেকে জানিয়েছে পানির সংকট। পানি বাইরে থেকে কিনে নিতে হবে।’
টানা বিদ্যুৎহীনতায় অনেক ফিলিং স্টেশন বন্ধ থাকায় যানবাহন জ্বালানি সমস্যায় পড়েছে। বিশাল এলাকায় জনজীবনে মারাত্মক দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুমারগাঁওয়ে ১৩২/৩৩ কেভি বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। খবর পেয়ে দমকল বাহিনীর সাত ইউনিট এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে দুপুরের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
গ্রিডের অগ্নিকাণ্ডে ২০০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন উপকেন্দ্রের সংশ্লিষ্টরা।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী (বিক্রয় ও বিতরণ) খন্দকার মোকাম্মেল হোসেন দুপুরে জানান, গতকাল রাত থেকে প্রায় ৪০০ কর্মী কাজ করেছেন। আজ দুপুরের মধ্যে মেরামত করা কিছু পিলার পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হবে।
‘সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে বিকালের দিকে কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে। তবে বাকি এলাকায় কখন বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে তা বলা যাচ্ছে না,’ বলেন তিনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগুনে প্রায় ৭০ কোটি টাকার ২৫/৪১ এমবিএ দুটি ট্রান্সফরমার পুড়ে গেছে। এগুলোর বাইরের অংশ পুড়লেও ভেতরে কোনো ক্ষতি হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া ৩৩ কেভি ফিডার ও বার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সিলেট মহানগর ও আশপাশের ছাতক ও সুনামগঞ্জ জেলা শহরের প্রায় চার লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ না থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন।
খন্দকার মোকাম্মেল বলেন, ‘আমাদের শ্রমিকরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিদ্যুৎ পুনরুদ্ধারে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।’
সিলেট জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম বলেন, ‘আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধান ও ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণের জন্য একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হবে।’