রবিবার রাতে সংশিষ্ট জেলার সিভিল সার্জন ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এ তথ্য জানান।
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় জানান, রবিবার ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এরমধ্যে ২২ জনের পজিটিভ আসে। আক্রান্তরা সবাই সিলেট জেলার বাসিন্দা।
নতুন আক্রান্তদের মধ্যে সিলেট সদর উপজেলার ১০ জন, জৈন্তাপুরের সাতজন, দক্ষিণ সুরমার চারজন ও গোলাপগঞ্জ উপজেলার একজন রয়েছেন। এ নিয়ে সিলেট জেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৫৭ জনে।
একইদিন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জিয়াউল ফারুক জয় সংবাদ মাধ্যমকে জানান, রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে ১২৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ২১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তরা সকলেই সুনামগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। এই ২১ জন নিয়ে সুনামগঞ্জ জেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৬৫ জনের।
মৌলভীবাজারের সিভিল সার্জন ডা. তাওহীদ আহমদ জানান, জেলায় একদিনে আরও ৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। রবিবার ঢাকার ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় এই ৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
তিনি বলেন, শনাক্ত হওয়াদের মধ্যে ১৮ জনই শ্রীমঙ্গল উপজেলার। বাকীদের মধ্যে কমলগঞ্জের ছয়জন, কুলাউড়ার তিনজন, বড়লেখার দুজন ও রাজনগরের একজন। এই ৩০ জন নিয়ে মৌলভীবাজারে এ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ১২৮ জনের।
হবিগঞ্জের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. মখলিছুর রহমান উজ্জ্বল জানান, জেলায় নতুন করে আরও ২০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। রবিবার ঢাকার ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় এই ২০ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এ নিয়ে হবিগঞ্জে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৯১।
শনাক্ত হওয়াদের মধ্যে বাহুবলের আটজন, চুনারুঘাটের চারজন, সদর উপজেলার চারজন, আজমিরীগঞ্জের দুজন, নবীগঞ্জের একজন ও লাখাইয়ের একজন বলে জানিয়েছেন তিনি। আক্রান্তদের মধ্যে পুলিশ সদস্য এবং স্বাস্থ্যকর্মীও আছেন।
রবিবারের ৯৩ জনসহ সিলেট বিভাগে এ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে মোট ১০৪১ জনের। এরমধ্যে সিলেট জেলার রোগী সংখ্যা ৫৫৭ জন, সুনামগঞ্জে ১৬৫ জন, হবিগঞ্জে ১৯১ জন ও মৌলভীবাজারে ১২৮ জন।
এদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত সিলেট বিভাগে মারা গেছেন ১৮ জন। এরমধ্যে সিলেটে ১৪, মৌলভীবাজারে তিনজন এবং হবিগঞ্জে একজন। আর হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১২২ জন।
অন্যদিকে সিলেট বিভাগে করোনাভাইরাসকে জয় করে বাড়ি ফিরেছেন ২৫০ জন রোগী। এরমধ্যে সিলেট জেলায় ৫৯, সুনামগঞ্জে ৬১, হবিগঞ্জে ৮৭, মৌলভীবাজারে ৪৩ জন বাড়ি ফিরেছেন।