চিকিৎসাসেবা প্রদানের সময় সুরক্ষা পোশাক সরবরাহের নিশ্চয়তা না পাওয়ায় সোমবার সকাল থেকে তারা কর্মবিরতি পালন শুরু করেন।
এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পিপিই ছাড়া সবধরনের সুরক্ষা সামগ্রী হাসপাতালে কর্মরত সবাইকে সরবরাহ করা হয়েছে। পিপিই সরবরাহ করার জন্য বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে অর্ডার দেয়া হয়েছে। তাদের কাছ থেকে পিপিই পাওয়া গেলে চিকিৎসক এবং সংশ্লিষ্টদের মাঝে সরবরাহ করা হবে।
জানা গেছে, রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজে প্রায় ১৫০ জনের মতো ইন্টার্ন রয়েছেন। করোনাভাইরাস সংক্রমণের খবর পাওয়ার পর থেকে তারা ব্যক্তিগত সুরক্ষার জন্য পোশাকের ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বলে আসছিলেন। গত দুইদিন আগে করোনাভাইরাস সংক্রমিত সন্দেহভাজন রোগীদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে দুইজন ইন্টার্ন অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপরও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পিপিই প্রদানের নিশ্চয়তা না দেয়ায় তারা সোমবার সকাল থেকে কর্মবিরতিতে গেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ইন্টার্ন জানান, প্রতিদিন করোনাভাইরাস সংক্রমিত সন্দেহজনক রোগী হাসপাতালে আসছেন। তাদের সেবা দিতে গিয়ে অনেকে আতংকিত এবং অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
‘আমরা চিকিৎসার কাজে জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে পিপিই প্রদানের দাবি গত কয়েকদিন ধরে জানিয়ে আসছিলাম। পিপিই সরবরাহের নিশ্চয়তা না পেয়েই আমরা কর্মবিরতিতে গিয়েছি। এ বিষয়ে নিশ্চয়তা পেলে আমরা আবার কাজে যাবো। তবে আজও কর্তৃপক্ষ কোনো আশ্বাস প্রদান করেননি,’ বলেন তিনি।
এদিকে হাসপাতালের পরিচালক ডা. তারেক আজাদ বলেছেন, আমরা চিকিৎসকদের জন্য মাস্ক, গ্লাভস এবং স্যানিটাইজার চাহিদামতো সরবরাহ করেছি। সারাদেশে এখন পিপিই সংকট। আমরা খুব দ্রুত এগুলো আমাদের চিকিৎসকদের জন্য যোগাড় করার চেষ্টা করছি।
তিনি আরও জানান, গত দুইদিন আগে আমরা সভা করে ইন্টার্নদের পিপিই’র জন্য অপেক্ষা করতে বলেছি। কিন্তু তারা কোনো আলোচনা ছাড়াই কর্মবিরতিতে গেছেন।
এখন পর্যন্ত রাগীব-রাবেয়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিজেরা ২৫টি এবং ওসমানী হাসপাতাল থেকে ৫টি পিপিই মোট ৩০টি পিপিই সংগ্রহ করেছেন। এগুলো আপাতত প্রয়োজনীয়তার নিরীখে সরবরাহ করা হয়েছে।
জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজে চিকিৎসক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারী মিলিয়ে হাজারখানেক জনবল রয়েছে।