এসময় পুলিশের লাঠিচার্জে ১০ জন আউটসোর্সিং’র স্বাস্থ্যকর্মী আহত হন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সুনামগঞ্জ স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মরত ২৩৪ কর্মচারী ১১ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। বিভিন্ন সময় বেতনের দাবিতে তারা আন্দোলন করে আসছিলেন। বেতন না পাওয়ায় করোনাকালে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন তারা। কিন্তু স্বাস্থ্য বিভাগ তাদের বেতন না না দিয়ে নতুন করে আউট সোর্সিংয়ের লোক নিয়োগের জন্য দরপত্র আহ্বান করে।
এ সংবাদ শুনে পুরাতন আউট সোর্সিংয়ের কর্মীরা দরপত্র প্রদানে বাধা দেয়। খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ গেলে তাদের সাথে আউট সোর্সিংয়ের স্বাস্থ্য কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
সিভিল সার্জন ডা. শামস উদ্দিন বলেন, আউট সোর্সিংয়ের ঠিকাদার নিয়োগের দরপত্র ছিল। দরপত্র জমা দিতে এখানকার পুরাতন কর্মীরা বাধা দেয়ায় পুলিশে খবর দেয়া হয়। পুলিশ এসে তাদের সরিয়ে দেবার সময় ‘ঠেলা ধাক্কা’ হয়েছে। তবে পুরাতন স্বাস্থ্যকর্মীদের বেতন ভাতার জন্য আমি সব কাগজপত্র রেডি করে পাঠিয়েছি। আশা করি এক মাসের মধ্যেই তারা সব কিছু পেয়ে যাবে।
সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগে আউট সোর্সিংয়ের ঠিকাদার নিয়োগে দরপত্র প্রদানে আগের নিয়োগপ্রাপ্তরা বাধা দেয়। এই নিয়ে ‘ঠেলা ধাক্কাধাক্কির’ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল থেকে পরিস্থিতি সামাল দিতে ৮ আউটসোর্সিং কর্মীকে তাদের হেফাজতে নিয়েছে।