বুধবার দুপুরে চট্টগ্রামের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের আইনি সহায়তায় মামলাটি দায়ের করেন নিহতদের বোন জিনাত সুলতানা শাহীন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ইফতেখারুল ইসলাম (৩৭) এসআই, টেকনাফ থানা, মাজাহারুল (৩৬), কনস্টেবল টেকনাফ থানা, দীন ইসলাম (৩৪) কনস্টেবল, আমজাদ (৩৫) কনেস্টেবল, টেকনাফ থানা সহ অজ্ঞাত আরও ৫-৬ জন।
মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট জিয়া হাবিব আহসান ইউএনবিকে জানান, আট লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে বাদীর বিদেশফেরত ও পেয়ারা চাষি দুই ভাইকে চন্দনাইশ পুলিশের সহায়তায় বাসা থেকে ধরে নিয়ে যান টেকনাফ থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা। এরপর টেকনাফ নিয়ে ক্রসফায়ারের নাটক সাজিয়ে তাদের হত্যা করা হয়।
আদালত মামলাটি গ্রহণ করে আগামী ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে আনোয়ারা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছে।
নিহত দুই ভাইয়ের বোন আইরিন আক্তার বলেন, তার ভাই আজাদ দীর্ঘদিন বিদেশে ছিল। গত ৬ রমজান দেশে আসে। বড় ভাই ফারুক দেশে মোবাইল সার্ভিসিংয়ের কাজ করতেন। পাশাপাশি তারা স্থানীয়ভাবে পেয়ারা বাগান করতেন। ফারুক ও আজাদ ইয়াবার কারবারে কখনো জড়িত ছিল না।
তিনি আরও বলেন, গত ১৩ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আজাদ তার এক বন্ধুর ফোন পেয়ে ঘর থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। সর্বশেষ ১৪ জুলাই রাত সাড়ে ৮টার দিকে আজাদের মোবাইল ফোন থেকে মায়ের মোবাইলে একটি মেসেজ আসে। তাতে লেখা ছিল ‘মা আমি শেষ।’
এর পরপরই তার পরিবারের পক্ষ থেকে মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। ১৫ জুলাই চন্দনাইশ থানায় এ বিষয়ে জিডি করতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় দুপুর ২টার দিকে ফারুকের বাসায় পুলিশ আসে। তারা বাসায় তল্লাশি চালিয়ে কিছু না পেয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা বলে ফারুককে নিয়ে যায় এবং জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে ছেড়ে দেয়া হবে বলে জানায় পুলিশ। কিন্তু রাত ৮টার দিকে জানতে পারি, ১৪ জুলাই ফারুকের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় মামলা হয়েছে, বলেন আইরিন।