সহকারী সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান জানান, উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের মঙ্গলকান্দি গ্রামে এক নারীর করোনা উপসর্গ দেখা দেয়ায় দুই চিকিৎসক ওই নারীর নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়। এর মধ্যে ওই দুই চিকিৎসক স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সংস্পর্শে আসেন। এর আগে ওই নারী তথ্য গোপন করে চিকিৎসা নিতে গিয়ে এক চিকিৎসক দম্পতিকেও ঝুঁকির মধ্যে ফেলেন। পরে পরীক্ষায় ওই নারীর করোনা পজেটিভ আসে। চিকিৎসকদের মধ্যে সংক্রমণের সন্দেহ সৃষ্টি হওয়ায় ছয় চিকিৎসকের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকা আইইডিসিআরে পাঠানো হলে সোমবার সকালে নমুনা পরীক্ষায় তাদের করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট আসে।
চিকিৎসকরা জানান, একমাত্র করোনা শনাক্ত ওই রোগী বর্তমানে ভালো রয়েছেন। পুরোপুরি সুস্থ হলে তাকে পরীক্ষা করানো হবে। ইতোমধ্যে তার মা, সন্তান এবং এক প্রতিবেশীর নমুনা পরীক্ষায়ও করোনা নেগেটিভ এসেছে।
তারা জানান, চিকিৎসকদের করোনা নেগেটিভ আসায় তারা যেমন উদ্যম ফিরে পেয়েছেন, তেমনি করোনাযোদ্ধাখ্যাত এই চিকিৎসকদের জন্য সাধারণ রোগীদের মনেও স্বস্তি ফিরে এসেছে।
ছয় চিকিৎসক হলেন- উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুছ ছালাম সিকদার, ডা. মো. মাহবুবুর রহমান, ডা. লুৎফুন নাহার নিবিড়, ডা. মো. ইব্রাহিম খলিল রনি, ডাক্তার দম্পতি ডা. ফদলুল আজিম আবরার ও ডা. নাবিলা নাজরিন।
২৪ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন চিকিৎসাসেবা দেয়া এই চিকিৎসকদের করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানোর পর থেকে উপজেলার সর্বত্র কিছুটা ভীতি সঞ্চার হয়েছিল। পাশাপাশি গত দুই তিন দিন চিকিৎসক সঙ্কটে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগের চিকিৎসাসেবাও হয়ে পরেছিল মন্থর।