ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় ১০-১২ মিনিটের ঝড় ও ভারী বৃষ্টিতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ঝড়ে দুই নারী ও পানিতে ডুবে আড়াই বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়।
এছাড়া লন্ডভন্ড হয়ে গেছে দুটি ইউনিয়নের ২০টি গ্রাম। উড়ে গেছে কাঁচা বাড়িঘরের টিনের চালা। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শতাধিক পরিবার।
শনিবার (০১ মে) ভোর ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে আগুন: তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দাখিল
নিহতরা হলেন, উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের শালডাঙ্গা গ্রামের পইনুল ইসলামের স্ত্রী ফরিদা বেগম, একই গ্রামের জাহেদা বেগম ও লালাপুর নয়াপাড়া গ্রামের নাজমুল ইসলামের আড়াই বছরের ছেলে নাঈয়ুম।
নিহত ফরিদা বেগমের স্বামী পইনুল ইসলাম বলেন, সকালে ফজরের নামাজ পড়তে গিয়ে মসজিদে থাকা অবস্থায় ঝড় শুরু হয়। বাড়িতে ছুটে এসে স্ত্রীকে খুঁজে না পেয়ে ডাকাডাকি শুরু করি। পরে বাতাসে উড়ে এসে পড়া টিনের ছাউনি সরিয়ে দেখি নিচে চাপা পড়ে আছে স্ত্রী। উদ্ধার করে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত জাহেদা বেগমের স্বামী দবিরুল ইসলাম বলেন, ঝড়ের সময় বারান্দায় বসে ছিলেন জাহেদা। মেঘের গর্জন আর ঝড়ে গাছপালা উড়তে দেখে বারান্দাতেই মারা যান জাহেদা। জাহেদা দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। ঝড়ের সময় ভয়ে স্ট্রোক করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিহত নাঈয়ুমের বাবা নাজমুল ইসলাম বলেন, বাড়ির পাশে গর্তে বৃষ্টির পানি জমেছিল। নাঈয়ুম সেখানে পড়ে মারা যায়।
এদিকে ঝড়ে পাড়িয়া ইউনিয়নের তিলকড়া, শালডাঙ্গা, বঙ্গভিটা, লোহাড়া, বামুনিয়াসহ ১২টি গ্রাম, বড়বাড়ী ইউনিয়নের বেলহাড়া, বেলবাড়ী, বটের হাট, হরিপুরসহ ৮টি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বড়বাড়ী ইউনিয়নের আধারদিঘি বাজারে ৫টি দোকান এবং ২টি খাবার হোটেলের উপর গাছ ভেঙে পড়েছে।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফছানা কাওছার বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান ও আমাদের লোকজন ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণে কাজ করছে।
ঝড়ে তিনজনের মৃত্যুর ঘটনা স্বীকার করে শোক প্রকাশ করেছেন ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মাজহারুল ইসলাম সুজন।
তিনি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোতে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে আগুন: বৃহস্পতিবার পুড়ে যাওয়া এলাকা পরিদর্শনে যাচ্ছে তদন্ত কমিটি